১৫ ফেব, ২০১১

হা-ঈশ্বর আমার দাঁড়াবার জমিন কই?

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৬  

----------------------------------------

আদি পর্বে সমুদ্র শ্যাওলা,মন্থনজর্জরিত
সময়কাল,অনাদি সময় পর্বে প্রাণের রেশ,
হাঁটি হাঁটি পা-পা তোমার সভ্যতা।
লতাগুল্ম আর সমুদ্র ফেনায় বয়ে আনা
মনুষ্য প্রাণ।জগদিশ্বর,সেখানে আমার
দাঁড়াবার জমিন কই ?

একফালি মাটি,দুফালি আকাশ আর
কাদামাটির অবগাহনে তোমার মানুষ।
শিরায় শিরায়,হৃদপিন্ডব্যাপী প্রচন্ড
চুটোছুটি,নালিতে নালিতে চনমনে
জাগৃতি,উদয়ান্ত বেঁচে থাকার কৌমার্যে
তোমাতে লুটোপুটি-
হা-ঈশ্বর সেখানে আমার বাঁচার উপায় কই?

দেখে দেখে পেরিয়ে এলাম লক্ষ কোটি বছর,
চাইলাম আকাশে কালান্তরব্যাপী,
ধ্রুবতারা হয়ে রইলাম অগুন্তি সময়।
আদম সুরত ঠাঁয় দাঁড়ানো
দেখলাম তেপ্পান্ন কোটি বছর।
হা-ঈশ্বর আমার সেই অনন্ত সময় কই?

কবেকার সূর্য আজও দীপ্যোমান,শ্যাওলাধরা
বুড়ো চাঁদ তবুও নতুন।কোটি বছরের তারারা
আজও অনূঢ়া,সময় হাত ধরে নিয়ে যায়
আর এক সময়কে।কাল বহমান থেকে যায়
কালান্তর প্রান্তে ,এখানে ওখানে কোথাও তো আমি নেই !
হা-ঈশ্বর আমার সেই পুরোনো সাকিন কই?

তোমার বিলাসী খেয়ালে জুটেছিল দুকাঠা ভুঁই,
তোমার মানুষেরা উদার বিলিয়েছিল এক সমুদ্র
আশা-ভরসা আর আরোপিত ভালবাসা।
ঘটি বাটি,চালা-ঝাঁপ,বৃক্ষ,নদী,বেড়ে ওঠা
ফণিমনসা,কেঁচো এবং শুয়ো পোকারা।

কারা যেন এসেছিল পশ্চিম থেকে,সফেদ
নাটুকে ঢঙে।হাতে ছিল মলাটে মোড়া বিশ্বাস,
আর হাত ছিল ওপরে ছাতার মত,প্রায় মুদে
থাকা চোখে অজন্তিক প্রলোভন,আমি বিমোহিত।
আমি আরহাত দেখিনি,যে হাতে ছিল তোমার
ছবি আঁকা মুখ।সেই মুখ আঁকা ছিল
জেল্লা দেওয়া সঙ্গীণে।কচুকাটা করেছিল
আমার অতীতকে,বর্তমানকে,আর আমার চেতনাকে।
যে টুকু পড়ে আছি আমি,অর্ধাঙ্গ কিংবা উপাঙ্গে
যা কিছু টিকে আছে আমার,বিশ্বাসে অথবা
অবিশ্বাসে,তাই নিয়েই তো আমি!
আমার সেই আমিই আজ নিরুদ্দেশ,
আমি কে খুঁজে ফিরি আমি,কি ভয়ংকর অনিশ্চয়তায়-
হা-ঈশ্বর আমার আমার সেই আমি কই?
হা-ঈশ্বর আমার সেই দাঁড়াবার জমিন কই?


লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): ঈশ্বর ;
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৫


  • ৩১ টি মন্তব্য
  • ৪২৯ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ১০ জনের ভাল লেগেছে
১. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
ফারুক আহেমদ রনি বলেছেন: প্রত্যাশা

আল্লার বিশাল পৃথিবীতে একখন্ড
খাস জমিন একান- আমার হতে পারেনা?
আমার শয়নের সাড়ে তিন হাত জমিন
কি অনেক বেশি!

আল্লার বিশাল পৃথিবীর একখন্ড জমিন
আমার হলে কার এমন ক্ষতি হয়ে যায়,
কোন ধিরাজের রাজ্য শুণ্য হয়ে যাবে?
আমার বলে কেবোল মাত্র অস্থিত্বটুকুই!

দিনের আলোয় আমি কখনো কারো
সুখের শরীরে পক্ষঘাত নই,
শুধু নৈশ্য যাপনের জন্য মাত্র..
বিস্তর খোলা মাঠে কিঞ্চিত জমিন চাই।
আমার সামনে, পিছে অনেক সুউচ্চ প্রাসাদ
আলোয় জ্বলসানো কৃত্রিম আবাস
মানুষই গড়েছে সব..
আমি কি তাহলে মানুষ নই!
আমার বাসের উপযোগ্য না হোক
একান্ত- রাত্রি যাপনের সাড়ে তিন হাত
জমিন কি খুব বেশি চড়াও?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:২৪
লেখক বলেছেন: আল্লার পৃথিবী আর আল্লার থাকেনি ভাই।আল্লার নামে তকবীর দিয়ে সব দখল করে ফেলেছে।
৩. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:০১
মনজুরুল হক বলেছেন: দেখলাম। এই ধরণের ভিডিও দেখার অভিজ্ঞতা নতুন নয়।পায়ের রক্ত মাথায় উঠে আসে।

তবে পোস্টকারী মালটার উদ্দেশ্য ভাল নয়। এখানে এটা দেখিয়ে সিম্প্যাথি কুড়োচ্ছে,টাচিম্যান এর ট্যাগ লাগাচ্ছে.... একে কাল দেখলাম মুহম্মদ কেসে নাস্তিকদের মা-বোন কে কন্সিফ করিয়ে দিচ্ছে!!
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:২১
লেখক বলেছেন: নিশ্চই।ওটা অফট্র্যাকেই থাকুক।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩২
লেখক বলেছেন: কোন বিষয়টা ?
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৫
লেখক বলেছেন: আমি কেমন লিখি সেটা মোটেই কোন ফ্যাক্টর নয়।মানুষের এই কষ্টগুলো আমাদের বোধে আনতে চাইছি।ধন্যবাদ।
৭. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
নুশেরা বলেছেন: স্তব্ধ করে দেয় এমন লেখা, এমন কবিতা...
আপনি সেদিন কাকে যেন বললেন, কবিতা সবে ধরেছেন; অবিশ্বাস্য। এর চাষবাষের ভূমিটি যেন আপনার অনাদিকালের অভিজ্ঞ বীজতলা।

লেখা অতিমাত্রায় অসাধারণ হলে দুএকটা বানানের এদিক-সেদিকও কিন্তু চোখে লাগে, মনজুরুল ভাই...

০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
লেখক বলেছেন: ভিষণ লজ্জার কথা ! ঠিক করে দিয়েছি।
৮. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৩
নুশেরা বলেছেন: একটু ওপরে আপনার একটা কমেন্ট দেখে মনে বড় শান্তি পেলাম। ভাল কিছুর উছিলাতেও কিছু মানুষ স্যাডিস্টিক আনন্দ খোঁজে। আমার দশ ডলার খরচের পরিশ্রমের উপহার কেকের সঙ্গে একজন মুসা বিন শমশেরের জুতো প্রদর্শনীর মিল খুঁজে পেয়েছেন।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪৯
লেখক বলেছেন: রিল্যাক্স নুশেরা।
এক ভদ্রলোক ব্লগার আমার 'পেটকাটি চাঁদিয়াল' গল্প পড়ে খুব সিরিয়াসলি মন্তব্য করলেন.........."ভাই কি আগে পকেমার ছিলেন"!!?

এর উত্তরে কি বলা যায় ?!আমি উত্তর দেব কি হাসতে হাসতেই মরি...
৯. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫৩
লেখক বলেছেন: ঠিক।

তবে মাইনাস দিলেও কোন ক্ষেতি আছিল না।
১০. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:০৮
নাসিমূল আহসান বলেছেন:
কার কারে প্রশ্ন ছুইড়া দিয়া জমিন খোজেন আপনে? যার লগে আমাগোর কোনো যোগ নাই; যে কেবল পুঁজির থলিতে নাইচা বেড়াই।

যার জমিন নাই এককড়া; তার কাছে জমিন চাওয়া???
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
লেখক বলেছেন: ভাল বলেছেন।দেখেন এই কথায় আবার না কারো জেহাদি জোশ জাইগ্গা ওঠে !!
০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
লেখক বলেছেন: আমি তো বুঝতেছি.....ধন্যবাদ।
১২. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৩৭
মানুষের পৃথিবী বলেছেন: কবিতার শৈলী এবং শব্দগুলোর এগিয়ে চলা অ-সা-ধা-র-ণ।

এবং নাসিমূল আহসান-এর সাথে একমত।


আজকে এক পোস্টে মন্তব্য দিয়েছিলাম আল্লাহর(?) দুনিয়ায় সোমালিয়া, ইথিউপিয়া সহ বিশ্বে লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে মারা যাওয়া সত্ত্বেও কি তাকে সকলের রিজিকদাতা বলা যায়?

উত্তরে লেখক বললেন বলা যায়। এবং এও বললেন ধনী গরিবের এই বিশাল ফারাক নাকি সবিশেষ প্রয়োজনীয়। এতে করে নাকি সামাজিক ভারসাম্য বজায় থাকে।

আপনার কবিতার মাথার উপর, হৃদয়ের গহীনে বল্লম মারা এই সাদাকালো না খাওয়া মানুষগুলোর দিকে তাকিয়েও কিন্তু তারা বলবে এই অবস্থাতো নেহাত প্রয়োজনীয়।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫০
লেখক বলেছেন: আমরা অযথাই গোয়েবলসকে গালাগাল দেই।সব চেয়ে বড় গোয়েবলস তো বসে আছে আমাদের ধর্মবিশ্বাসে,সংস্কৃতিতে,মননে এবংবাণীতে।শত শত বছর ধরে গরিব খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে বোঝানো হচ্ছে.....আল্লাই ধনী-গরিব বানিয়েছে।অশিক্ষিত-অর্ধশিক্ষিত মানুষগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দি ধরে তা-ই বিশ্বাস করে আসছে। কখনো বিশ্বাস করতে না চাইলে আমরা বিদ্যাবুদ্ধির ব্যাপারিরা তাদেরকে শিখতে/মেনে নিতে/বশ্য করতে বাধ্য করেছি আমাদের সাহিত্য দিয়ে,লজিক দিয়ে,গণতন্ত্রের পাঠ দিয়ে অত:পর বন্দুকের বাঁট দিয়ে!

ওই নির্বোধ মাথামোটা ধর্মবেত্তাদের কথা ওঠায় মুখের লাগাম খুলে যাওয়ার আশঙ্কায় ইতি টানলাম।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫৯
লেখক বলেছেন: ভাসতেই আছি....ভাসতেই আছি.......ভাসতেই আছি........
১৪. ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
লেখক বলেছেন: একজন তো করেছিল। এনভার হোক্সা(আনোয়ার হোজ্জা বলে মুসলমানরা)।আলবেনিয়ার প্রায় সব মসজিদ গুড়িয়ে আশ্রয়স্থল,হাসপাতাল,স্কুল গড়ে উঠেছিল।তিরানায় একটা মাত্র মসজিদ ছিল আর্কিটেক্চারাল ইনোভেশনের জন্য।

পূর্ব ইউরোপের পুন:মূশিকোভব: দশার সময় আবার আমেরিকান গণতন্ত্রের কোলে চড়ার পর সেই পুরোনো আলবেনিয়ায় ফিরে গেছে তারা।এখন আলবেনীয়রা ইতালীতে শ্রম বেঁচতে যায়!

বাংলাদেশের সাড়ে চার লাখ মত মসজিদ আর হাজার পাঁচেক মন্দরি গির্জা,প্যাগোডা ইত্যাদিতে থাকার সংকুলান করে দিলে সারা দেশের সকল ছিন্নমূলের আবাস সমস্যা মিটে যায়।কে করবে?
২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৫৭
লেখক বলেছেন: আলবেনিয়া! হায় আলবেনিয়া!!
১৬. ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:২৩
ত্রিশোনকু বলেছেন: এ পৃথিবীতে আসার একটা মুখ্য উদ্দেশ্য থাকে সবার। আপনারটা বোধ হয় কবিতা লেখা। এটার ওপর আরো জোর দেবার জন্য অনুরোধ করছি।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:৩১
লেখক বলেছেন:
"কবি মনজুরুল হক" তুমি কষ্মিন কালেও কবি হয়ে উঠলে না!!!
১৭. ২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ২:০৮

কোন মন্তব্য নেই: