বাবু এয়েচেন গ্রামে। ধূতির কোচা দুলিয়ে,খোটা পকেটে পুরে,মচমচ শব্দে চালাবেড়া কাঁপিয়ে যকন আঙ্গিনায় এসে দাঁড়ালেন পাইক-প্যাঁদা ত্রাহী ত্রহী ছুঁটে এলো। ঘটিতে জল-কাঁসার বাসনে ফলাহার-ফুলচন্দনচর্চিত রমণীকুলের খিল খিল রবে রিনিঝিনি তুলে বাবুকে বরণ করা হলো। বাবু দাওয়ায় বসে আয়েসে তাম্বাকু সেবনে ব্রতি হলেন। খানিক বাদে প্রজাকুলের নম:শুদ্র,চাড়াল-চন্ডালেরা ভেট দিতে এলো। অবনত মস্তকে ভেট প্রদান হলে বাবু পরিতৃপ্তির শ্বাস ছাঁড়লেন এবং তাম্বাকুপ্রজ্জলিতধোঁয়ার আঁধারে স্মিত হেসে শুধোলেন-হ্যাঁরে,তোরা ভাল তো?
শহর কোলকেতায় তকন ষষ্টি চলচে। চারিদিকে আবের আঁটি, কাঁটালের
ভোষঁড়া, জামেরবিচি সয়লাব। মাছি ভন ভন করচে। মাতাল মাতাল গন্ধে মৌ মৌ করচে। এঁদোকাদা শুকনো ফলের আঁশ-ফাঁটাবাঁশ এবং ইত্যকার বিষয়াদির আধিখ্যে শ্রবণ-ভাদ্রের ঠাঁঠানো তাপে বাবুদের বৈকালিক আবহ ভাল যাচ্চে না।
ঠিক এই মাপের বাবুরা এই একবিংশ শতকে যখন সায়েব হয়েছেন। তাদের গায়ে যখন শেরওয়ান-আচকান-ধূতির বদলে প্যান্টালুন উঠেছে,তারা যখন সকালে প্রর্থনা-টার্থনা সেরে আল্লা-খোদা-ভগবান-ঈশ্বর জপে কাজে গিয়ে ফের সন্ধ্যেবেলা দু’পেগ নিয়ে বসছেন, রাতে উম্দা চ্যানেলের বিন্দাস ঝাঁকিনৃত্য দেখে গভীর রাতে ১৮ রেটেড দেখে গরমি খাচ্ছেন, আবার ন্যায়নীতি কপচে,আদর্শ-টাদর্শের ধ্বজা উড়িয়ে এখানে সেখানে জ্ঞানের বীজ ছিটিয়ে দিচ্ছেন, কাকসাদৃশ্য পোঁদে ময়ূরের পুচ্ছ লাগিয়ে পেখম মেলে বেলাজের মত পোঁদ দোলাচ্ছেন, টাকার মাপে কৃষ্টি-কালচার,সাহিত্য-টাহিত্য,মানবতা-মনুষ্যত্যের গাঁড় মেরে দিচ্ছেন, বনেদি আর দাপ্তরিক ক্ষমতাবলে আম- পাব্লিকের পেছনে কাঠি করে চৌরাস্তায় খাড়া করে দিচ্ছেন, ঠিক সেই মাপের কিছু মাল একটা নাইটকোচে উঠে বসেছিল। গন্তব্য-দক্ষিণ বাংলা।
৩৬ জন যাত্রী নিয়ে বাসটা আরিচায় ফেরীতে উঠেছিল। কার্টিজ লাইট জ্বেলে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। যারা জেগে ছিল তারা দেখল লম্বাপনা একজন ইন্জিনের পেছনে এসে দাঁড়াল। তারপর খুব আলতো ভাবে হেটে হেটে জাগ্রতদের হাতে একটা ছাপানো কাগজ ধরিয়ে দিল। সবাই ভাবল নিশ্চই সাহায্য-টাহায্য হবে, দলাকরে ছুঁড়ে ফেলতে গিয়েও কেউ পারল না। মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়তে লাগল। অদ্ভুতব্যাপার ! তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নামে একটা করে চিঠি! আশ্চয্য!লোকটা নাম জানল কী করে? প্রত্যেকেই তার নিজের টা পড়া শেষ করে অন্যের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে! সবাই ভাবছে-ওর টাতেও কী আমার কথা লেখা? কী লেখা ছিল কাগজগুলোতে?
>আপনি আজ যে পেনশনের ফাইলটা আটকে দিলেন,সেই লোকটি আজ নিয়ে ৪৩২ দিন ধরে ঘুরে এই সন্ধ্যেয় মারা গেছেন।
>আপনি সকালে যে বস্তির ছেলেটাকে গাড়িচাপা দিয়েছিলেন,সে মরে গেছে দুই ঘন্টা আগে।
>আপনার বউ আপনার মানিব্যাগে ডবকা মেয়েটির ছবি দেখে ফেলেছে। সে এখন তার পুরোনো বন্ধুর সাথে শুয়ে আছে। ক্রসবিট।
>যে মেয়েটিকে আজ আপনি হাসপাতালে ভর্তি হতে দিলেন না,সেই মেয়েটি এখন রমনাপার্কের পাশে ছটফট করছে, রাতটা হয়ত শেষ হবেনা,তার আগেই সে মারা যাবে।
>১৪ বছর ধরে যে মামলাটা জিতব জিতব বলে মক্কেলের ভিটেমাটি বিক্রি করিয়েছেন,নেই লোকটি আজ রাতে আত্মহত্যা করতে চলেছে,এতক্ষণে হয়ত করেও ফেলেছে।
>আপনি কাল যাকে ’ক্রসফায়ারে’হত্যা করেছেন,তার মরদেহ আকড়ে ৭ বছরের মেয়েটা হার্টফেল করেছে।
>আপনার কারণে যে নিরাপরাধী লোকটা সাড়েছয় বছর ধরে জেলখাটছে, আজ রাতে সে ৩৬টা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে...................................
হঠাৎ করে যেন সবাই সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে.....কেউ কেউ জানালা দিয়ে কালো আকাশের ক্যানভাসে একফালি ঝুলেথাকা চাঁদ দেখার চেষ্টা করে.....গোঁ গোঁ শব্দে ফেরী চলকে থাকে....মাছধরা নৌকাগুলো সাৎ করে পাশকেটে যায়। মোচার খোলার মত দুলতে থাকে। দূরে আর একটা ফেরী ভোঁবাজিয়ে এগিয়ে যায়। পাশের বাসগুলোয় চটুল হিন্দীগান বাজতে থাকে। এক ল্যাংড়া ফকির হাঁক দিয়ে সরে যায়।
ইন্জিনের পেছনে এখন কেউ নেই! সবার হাতেধরা কাগজগুলো অনড়, মুখগুলো খোদাইকরা। দু:স্বপ্ন ভেবে সবাই হালকা হবার জন্য অনর্থক শব্দ করে ওঠে...কই কেউ তো নেই এখন? কেউ কি ছিল? আদৌ কি কেউ.........
অসমাপ্ত....
শহর কোলকেতায় তকন ষষ্টি চলচে। চারিদিকে আবের আঁটি, কাঁটালের
ভোষঁড়া, জামেরবিচি সয়লাব। মাছি ভন ভন করচে। মাতাল মাতাল গন্ধে মৌ মৌ করচে। এঁদোকাদা শুকনো ফলের আঁশ-ফাঁটাবাঁশ এবং ইত্যকার বিষয়াদির আধিখ্যে শ্রবণ-ভাদ্রের ঠাঁঠানো তাপে বাবুদের বৈকালিক আবহ ভাল যাচ্চে না।
ঠিক এই মাপের বাবুরা এই একবিংশ শতকে যখন সায়েব হয়েছেন। তাদের গায়ে যখন শেরওয়ান-আচকান-ধূতির বদলে প্যান্টালুন উঠেছে,তারা যখন সকালে প্রর্থনা-টার্থনা সেরে আল্লা-খোদা-ভগবান-ঈশ্বর জপে কাজে গিয়ে ফের সন্ধ্যেবেলা দু’পেগ নিয়ে বসছেন, রাতে উম্দা চ্যানেলের বিন্দাস ঝাঁকিনৃত্য দেখে গভীর রাতে ১৮ রেটেড দেখে গরমি খাচ্ছেন, আবার ন্যায়নীতি কপচে,আদর্শ-টাদর্শের ধ্বজা উড়িয়ে এখানে সেখানে জ্ঞানের বীজ ছিটিয়ে দিচ্ছেন, কাকসাদৃশ্য পোঁদে ময়ূরের পুচ্ছ লাগিয়ে পেখম মেলে বেলাজের মত পোঁদ দোলাচ্ছেন, টাকার মাপে কৃষ্টি-কালচার,সাহিত্য-টাহিত্য,মানবতা-মনুষ্যত্যের গাঁড় মেরে দিচ্ছেন, বনেদি আর দাপ্তরিক ক্ষমতাবলে আম- পাব্লিকের পেছনে কাঠি করে চৌরাস্তায় খাড়া করে দিচ্ছেন, ঠিক সেই মাপের কিছু মাল একটা নাইটকোচে উঠে বসেছিল। গন্তব্য-দক্ষিণ বাংলা।
৩৬ জন যাত্রী নিয়ে বাসটা আরিচায় ফেরীতে উঠেছিল। কার্টিজ লাইট জ্বেলে দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই ঘুমিয়ে পড়েছিলো। যারা জেগে ছিল তারা দেখল লম্বাপনা একজন ইন্জিনের পেছনে এসে দাঁড়াল। তারপর খুব আলতো ভাবে হেটে হেটে জাগ্রতদের হাতে একটা ছাপানো কাগজ ধরিয়ে দিল। সবাই ভাবল নিশ্চই সাহায্য-টাহায্য হবে, দলাকরে ছুঁড়ে ফেলতে গিয়েও কেউ পারল না। মন্ত্রমুগ্ধের মত পড়তে লাগল। অদ্ভুতব্যাপার ! তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা নামে একটা করে চিঠি! আশ্চয্য!লোকটা নাম জানল কী করে? প্রত্যেকেই তার নিজের টা পড়া শেষ করে অন্যের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে আছে! সবাই ভাবছে-ওর টাতেও কী আমার কথা লেখা? কী লেখা ছিল কাগজগুলোতে?
>আপনি আজ যে পেনশনের ফাইলটা আটকে দিলেন,সেই লোকটি আজ নিয়ে ৪৩২ দিন ধরে ঘুরে এই সন্ধ্যেয় মারা গেছেন।
>আপনি সকালে যে বস্তির ছেলেটাকে গাড়িচাপা দিয়েছিলেন,সে মরে গেছে দুই ঘন্টা আগে।
>আপনার বউ আপনার মানিব্যাগে ডবকা মেয়েটির ছবি দেখে ফেলেছে। সে এখন তার পুরোনো বন্ধুর সাথে শুয়ে আছে। ক্রসবিট।
>যে মেয়েটিকে আজ আপনি হাসপাতালে ভর্তি হতে দিলেন না,সেই মেয়েটি এখন রমনাপার্কের পাশে ছটফট করছে, রাতটা হয়ত শেষ হবেনা,তার আগেই সে মারা যাবে।
>১৪ বছর ধরে যে মামলাটা জিতব জিতব বলে মক্কেলের ভিটেমাটি বিক্রি করিয়েছেন,নেই লোকটি আজ রাতে আত্মহত্যা করতে চলেছে,এতক্ষণে হয়ত করেও ফেলেছে।
>আপনি কাল যাকে ’ক্রসফায়ারে’হত্যা করেছেন,তার মরদেহ আকড়ে ৭ বছরের মেয়েটা হার্টফেল করেছে।
>আপনার কারণে যে নিরাপরাধী লোকটা সাড়েছয় বছর ধরে জেলখাটছে, আজ রাতে সে ৩৬টা ঘুমের বড়ি খেয়ে আত্মহত্যা করেছে...................................
হঠাৎ করে যেন সবাই সম্বিৎ ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করে.....কেউ কেউ জানালা দিয়ে কালো আকাশের ক্যানভাসে একফালি ঝুলেথাকা চাঁদ দেখার চেষ্টা করে.....গোঁ গোঁ শব্দে ফেরী চলকে থাকে....মাছধরা নৌকাগুলো সাৎ করে পাশকেটে যায়। মোচার খোলার মত দুলতে থাকে। দূরে আর একটা ফেরী ভোঁবাজিয়ে এগিয়ে যায়। পাশের বাসগুলোয় চটুল হিন্দীগান বাজতে থাকে। এক ল্যাংড়া ফকির হাঁক দিয়ে সরে যায়।
ইন্জিনের পেছনে এখন কেউ নেই! সবার হাতেধরা কাগজগুলো অনড়, মুখগুলো খোদাইকরা। দু:স্বপ্ন ভেবে সবাই হালকা হবার জন্য অনর্থক শব্দ করে ওঠে...কই কেউ তো নেই এখন? কেউ কি ছিল? আদৌ কি কেউ.........
অসমাপ্ত....
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫২
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ, বানানগুলো ওইরকমই।কালীপ্রসন্ন সিংহ'র 'হুতোম প্যাঁচার নকসা'য় বাবুদের এভাবেই দেখানো হয়েছিল।
ঠিক ধরেছেন।উপক্রমণ মূল গল্পকে খর্ব করেছে খানিকটা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক ধরেছেন।উপক্রমণ মূল গল্পকে খর্ব করেছে খানিকটা।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৪:৪২
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: গল্পের শুরুতে একটু কেমন জানি মনে হলো। মাঝখানে এসে গল্পের গতি পেয়েছে বলে মনে হয়েছে। আপনার লেখার হাত অসাধারণ। শব্দবুনন ভালো লেগেছে। থিমটাও ভালো।
অসমাপ্ত মানে কি দ্বিতীয় পর্ব আসবে??
তাহলে তো অপেক্ষা করতে হয়।
অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বলে ফেললাম।
ভালো থাকুন।
অসমাপ্ত মানে কি দ্বিতীয় পর্ব আসবে??
তাহলে তো অপেক্ষা করতে হয়।
অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই বলে ফেললাম।
ভালো থাকুন।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৫
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
হ্যাঁ,দ্বিতীয় পর্ব আসছে।
অপ্রয়োজনীয় বলছেন কেন?আপনিতো ঠিকই বলেছেন।
হ্যাঁ,দ্বিতীয় পর্ব আসছে।
অপ্রয়োজনীয় বলছেন কেন?আপনিতো ঠিকই বলেছেন।
৩. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৫:০৮
নাজিম উদদীন বলেছেন: হুমম, দেখি কি হয়? ভূমিকাটা জমিয়ে বলেছেন।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৬
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ নাজিম উদদীন।
ধন্যবাদ নাজিম উদদীন।
৪. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৬:১৫
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৭
লেখক বলেছেন: চলবে মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
৫. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:০৮
নিশাচর বলেছেন: একটু ভিন্নরকম। ভালো লাগলো .. ধন্যবাদ। +
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:৫৮
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
'অন্যরকমই' করার ইচ্ছা।
'অন্যরকমই' করার ইচ্ছা।
৬. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১২:২১
ফারহান দাউদ বলেছেন: চমৎকার। আপনার পাঠকের তালিকায় আরো একজন বাড়ল।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০০
লেখক বলেছেন: ফারহান দাউদেরও পাঠক তালিকায় আর একজন যোগ হলো।
ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ।
৭. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০০
নুশেরা বলেছেন: ফারহান দাউদ বলেছেন: চমৎকার। আপনার পাঠকের তালিকায় আরো একজন বাড়ল।
ফারহান, সচলায়তনে একই লেখকের আরো কিছু চমৎকার গল্প পাবেন, মনজুরাউল নামে লেখা। বাংলা সাহিত্য, সাহিত্যিক- এমন কিছু বিষয়ে ওনার আলোচনাও আগ্রহোদ্দীপক।
http://www.muktopran.org/user/monjuraul
ফারহান, সচলায়তনে একই লেখকের আরো কিছু চমৎকার গল্প পাবেন, মনজুরাউল নামে লেখা। বাংলা সাহিত্য, সাহিত্যিক- এমন কিছু বিষয়ে ওনার আলোচনাও আগ্রহোদ্দীপক।
http://www.muktopran.org/user/monjuraul
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০৫
লেখক বলেছেন: নুশেরা,ধন্যবাদ আপনাকে।
দিলেন তো ঝামেলা বাঁধিয়ে ! ওই 'বিতর্কীত' লেখাটা আমি ভুলে যেতে চাই।এই চরম অস্থির সময়ে ভ্যালুজ-ট্যালুজ নিয়ে তর্ক ভাল লাগে না,অথচ ওই লেখায় তর্ক হবেই।
দিলেন তো ঝামেলা বাঁধিয়ে ! ওই 'বিতর্কীত' লেখাটা আমি ভুলে যেতে চাই।এই চরম অস্থির সময়ে ভ্যালুজ-ট্যালুজ নিয়ে তর্ক ভাল লাগে না,অথচ ওই লেখায় তর্ক হবেই।
৮. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:০২
কম্পাইলার বলেছেন: সচলকে এভাবেই বিদায় দিয়ে এলেন । ভালই করছেন । আপনার মত একজনরে সচল না করে যে দুইচারজনরে সচল করা হৈছে এটা দেখে কষ্ট পাইছি । ওরা সচল হওয়ার পরেই আমি সচলায়তন সাইটে অনুসরনে গেছিলাম সদস্যসূচী দেখতে কারা কারা সচলে হয়েছে । আপনার নামের পাশে অতিথি দেখে খারাপ লাগছে আর সচলের প্রতি আবারও অনাস্থা জাগছে । লেখেন এখানেই লেখেন আপনার সাথে আছি।
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২০
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ কম্পাইলার।
এ ছাড়া আর উপায়ও ছিল না। লেখকদের বিত্তবৈভব,টাকাপয়সা থাকেনা।অন্য কোন ক্ষমতাও থাকে না। যা থাকে তা অন্যের কাছে মূল্যহীন আত্মমর্যাদা। সেটা যখন আক্রান্ত হয় বা অবহেলিত হয় তখন আর সেখানে থাকা যায় না।যদিও সচলের কারো সাথেই আমার সামান্যতম টানাপোড়েন ছিল না।
এ ছাড়া আর উপায়ও ছিল না। লেখকদের বিত্তবৈভব,টাকাপয়সা থাকেনা।অন্য কোন ক্ষমতাও থাকে না। যা থাকে তা অন্যের কাছে মূল্যহীন আত্মমর্যাদা। সেটা যখন আক্রান্ত হয় বা অবহেলিত হয় তখন আর সেখানে থাকা যায় না।যদিও সচলের কারো সাথেই আমার সামান্যতম টানাপোড়েন ছিল না।
৯. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:১৫
নুশেরা বলেছেন: মনজুরাউল, আপনার মতের সঙ্গে একমত হতে না পারি, তাই বলে আপনার লেখার শক্তিকে অস্বীকার করব কোন্ যুক্তিতে!
উন্মুক্ত অন্তর্জালে যা আছে, আমি না বললেও আপনার লেখায় আগ্রহী পাঠক তা অনায়াসেই খুজে নেবে। ভুল বললাম?
উন্মুক্ত অন্তর্জালে যা আছে, আমি না বললেও আপনার লেখায় আগ্রহী পাঠক তা অনায়াসেই খুজে নেবে। ভুল বললাম?
২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২২
লেখক বলেছেন: উহু,মোটেই ভুল বলেননি।
অন্তর্জাল অন্তর্জালই হয়ে উঠুক।ভাল থাকবেন।
অন্তর্জাল অন্তর্জালই হয়ে উঠুক।ভাল থাকবেন।
১০. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:২৭
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৫
লেখক বলেছেন: আর কোন বিত্তে ওঠার/নামার ক্ষমতা নেই।
১১. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ দুপুর ১:৫৭
জ্বিনের বাদশা বলেছেন: অসাধারণ আপনার লেখার স্টাইল !!!
মুগ্ধ হলাম
একটা কৌতুহল, এন্টিগল্প বলার পেছনের কারণটা জানতে চাই।
চলুক
মুগ্ধ হলাম
একটা কৌতুহল, এন্টিগল্প বলার পেছনের কারণটা জানতে চাই।
চলুক
১২. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৩:০৩
যীশূ বলেছেন: কিছুটা অসংগতি আছে মনেহলো, কিছু খাপছাড়া। তবু ভালো লেগেছে।
২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৪:০৬
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
১৩. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:২৭
রাতমজুর বলেছেন: অসাধারন হয়েছে। পরেরটা কবে পাব?
১৪. ২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:৩৯
১৫. ০২ রা মে, ২০০৯ রাত ১০:৫৬
মেহবুবা বলেছেন: আপনার লেখা আগে পড়েছি বিচ্ছিন্নভাবে । সময় করে পড়ব আগ্রহ জাগছে সে রকম ।
০৩ রা মে, ২০০৯ রাত ২:১৯
লেখক বলেছেন:
এতকাল পরে কিভাবে খুঁজে পেলেন মেহবুবা? আপনার আগ্রহ জাগছে জেনে আগ্রহী হলাম। উড়াকান্দির মেলার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
এতকাল পরে কিভাবে খুঁজে পেলেন মেহবুবা? আপনার আগ্রহ জাগছে জেনে আগ্রহী হলাম। উড়াকান্দির মেলার কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
১৬. ০৪ ঠা মে, ২০০৯ রাত ৮:৫১
মেহবুবা বলেছেন: আমার "সার্বজনীন হয়ে যাওয়া সেইসব দিনগুলো " তে আপনার মন্তব্য পড়ে আপনার লেখা গুলো পড়তে শুরু করলাম ।
সময় হয় না গুছিয়ে লেখার , তা না হলে সেই ছোট বেলায় দেখা ওড়াকান্দির মেলার কথা লেখা হয়ে যেত কবে আমার ;
লেখার ইচ্ছা আছে , খুব দাগ কেটে আছে মনে ঢাকের শব্দ , লাফিয়ে নাচার দৃশ্য আরো কত কি । আপনি লিখুন না , পড়ে মন জুড়াক ।
সময় হয় না গুছিয়ে লেখার , তা না হলে সেই ছোট বেলায় দেখা ওড়াকান্দির মেলার কথা লেখা হয়ে যেত কবে আমার ;
লেখার ইচ্ছা আছে , খুব দাগ কেটে আছে মনে ঢাকের শব্দ , লাফিয়ে নাচার দৃশ্য আরো কত কি । আপনি লিখুন না , পড়ে মন জুড়াক ।
০৫ ই মে, ২০০৯ রাত ১২:০৭
লেখক বলেছেন:
গল্প পড়তে চাইলে একটু পেছনে যেতে হবে। মাস এর উপর ক্লিক করলে এন্টি গল্প পাবেন।
হ্যাঁ আমার ফেলে আসা গ্রামের স্মৃতি নিয়ে লিখব। আমি কিন্তু কখনোই টানা বছরের পর বছর গ্রামে থাকিনি! সর্বোচ্চ থেকেছি নয় মাস একটানা! তা বাদে বছরে একবার দুবার করে যেতাম। জন্মের চার মাস পর থেকেই শহরে মানুষ। তবুও আমার অনেক স্মৃতি। সবই লেখার ইচ্ছে আছে।
ভাল থাকবেন।
গল্প পড়তে চাইলে একটু পেছনে যেতে হবে। মাস এর উপর ক্লিক করলে এন্টি গল্প পাবেন।
হ্যাঁ আমার ফেলে আসা গ্রামের স্মৃতি নিয়ে লিখব। আমি কিন্তু কখনোই টানা বছরের পর বছর গ্রামে থাকিনি! সর্বোচ্চ থেকেছি নয় মাস একটানা! তা বাদে বছরে একবার দুবার করে যেতাম। জন্মের চার মাস পর থেকেই শহরে মানুষ। তবুও আমার অনেক স্মৃতি। সবই লেখার ইচ্ছে আছে।
ভাল থাকবেন।
"আবের","কাঁটালের" বানানগুলি কি ইচ্ছাকৃত ?না টাইপিং মিসটেইক্।
আর গল্প যথারীতি ভালো।তবে গল্পের সূচনা থেকে মূল বক্তব্যে(মানে বাসযাত্রা পর্যন্ত) যাত্রাটা অনেকটা জোর করে করা হয়েছে,মনে হয়েছে।