১২ ফেব, ২০১১

এন্টি গল্প > ব্রুটাল > ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১০


রাশেদ।পাঁচ ফুট ছয়। ছত্রিশ-ত্রিশ-চৌত্রিশ।চশমা। স্টিলরীম। ওয়ান পয়েন্ট ফাইভ। চোখ ভাসা ভাসা। হনুর হাঁড় সামান্য উঁচু। চেস্টের বা পাশের রিবের সাত আর আটের মাঝখানে গর্তমত। ডান বাম দুটো হাতই সমান চলে। আক্রান্ত হলে সোজা এগিয়ে এসে
আক্রমনকারীর কণ্ঠনালী চেপে ধরে। প্রিয় অস্ত্র- জানা যায়নি। চুলে কোন বিশেষ বিশিষ্টতা নেই.....................

ফাইলটা খুলে গড় গড় করে পড়ে গেলেন ডিপার্টমেন্টের সবচে' তুখোড় পুলিশ সুপার মন্ডল। কেরামত মন্ডল। বিশেষ দায়িত্বে এই এলাকায় আসার পর থেকে সাধারণ পুলিশ পর্যন্ত খামারি দেয়া ভুলে গেছে। তার সামনে যাওয়ার পর তাদের স্বভাবিক বোলচালের ছন্দ পর্যন্ত ঘুলুট হয়ে গেছে।...হ্যাঁ স্যার..বানচো... সরি স্যার.....মাদারচো.......না না আমি বলছি কি স্যার.....চুত্.......না স্যার...বলছিলাম....এর পর 'সাট্আপ', 'স্টপ' এসবের কিছুই বলতে হয়নি। মন্ডলের চোখের ঠান্ডা সাপের চাউনিতেই বুকের রক্ত হিম হয়ে গেছে দারোগা-সেপাই সকলের ।

মন্ডল ফাইলটা দারোগার সামনে ছুঁড়ে দিয়ে বললেন-গেট লস্ট। টাইম ওনলি থারটিসিক্স আওয়ারস। ওনলি থারটিসিক্স।

১৮ মাস আগে। শহরের একটা বিশেষ জায়গায় গোরাঘুরি করে গোয়েন্দাদের বিশেষ সন্দেহের উদ্রেগ করার পর ফাঁদ পেতে রাশেদকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রাশেদ একটা ভাঙ্গাবাড়ি খুঁজছিল......... দশ বছর আগে ই তো বাড়িটা ছিল এখানে ? যাবে কোথায়? পষ্ট মনে আছে একটা টিনের গেট পেরিয়ে খোঁয়া বিছানো পথ ধরে কুড়ি-পঁচিশ পা হাঁটলেই একটা দোচালা ঘর , তার ঠিক পেছনই একটু ঢিবি মত। ঢিবিটার পাশেই একটা ঘোড়ানীমের গাছ ছিল ! সব মনে পড়ছে ওর। আশ্চর্য,বাড়ি,গাছ,গেট হাওয়া হয় কি করে? পর পর তিন দিন রহস্যজনক ভাবে ঘোরাঘুরি করার পর আশপাশের লোকজন পাগল পাগল বলে পিছু নিয়েছিল।

টিনের সেই গেটটার পাশে এখন কাঁচঘেরা একটা দোকান। টগবগে সব ছেলে-মেয়ে ঢুকছে আর বেরুচ্ছে। ওর দৃঢ়বিশ্বাস জিনিসটা আছে । ওখানেই আছে। কাল আবার আসবে এটা ভেবে বড় রাস্তায় উঠে এসেছিল। তারপর আপন মনে ফিরতি পথ ধরেছিল। নিজেকেই যেন শোনাচ্ছিল...থাকতেই হবে, এখানেই আছে। একবারের জন্যও ওর ষড়রিপুর কোনরিপুতে ক্রিয়া করেনি যে ওর গতিবিধি নিয়ে রিপোর্ট হয়েছে, একটা ফাইলও তৈরি হয়েছে। জানবে কি করে ? দশ বছর আগের একটা ফাইল যে পুলিশের ওপর মহলের বিশেষ নির্দেশে ধূলো ময়লা ঝেড়ে আপটুডেট করে রখা হয়েছে সেটা ওর জানার কথা নয়।

চতুর্থদিন ও এ্যরেস্ট হলো। কথা বের করার জন্য পুলিশের ট্রাডিশনাল কায়দাগুলো এ্যপ্লাইও করা হলো, কিন্তু পুলিশ কিছুই বের করতে পারল না। সেপাইদের ধারণা হলো মাদা....দ এ্যয়সা ঘোড়েলের ঘোড়েল ,সহজে চিৎ হবে না। জোর করে চিৎ করে তারপর ইয়ে করতে হবে।

সপ্তম দিন পুলিশ হাসপালের ডাক্তার এসে রিপোর্ট দিল ......লেফ্ট আর্ম ব্রোকেন। রাইট নীক্যাপ ডিজলোকেট। নাম্বার এইট অব ব্যাকবোন স্পিলিট ডিসপ্লেসড। মে বি ওয়ান এ্যান্ড হাফ লিটার ব্লাড ডিসচার্জড....এ্যান্ড হি ইজ মেন্টালি পার্ট ডিজএ্যাবল।
দারোগা কুদ্দুসের মেজাজ বিগড়ে গেল ওই বালের রিপোর্ট দেখে।
-যা: বাঁড়া,মারলামনা ধরলামনা তাদেই শালার মাল খসে গেল ? এ তো দেখছি মহা চোদনাগিরিতে পড়া গেল !
ডাক্তারের রিপোর্টে যা হলো , রাশেদ কে হাসপাতালে ট্রান্সফার করা হলো। চোদ্দ-পনের দিনের মাথায় একটু একটু হাঁটতে পারল দেখে ওই রাতেই বেডশিট টুকরো টুকরো করে দড়ি বানিয়ে জানালা দিয়ে পালালো । ও পালানোর পরদিনই বিশেষ দায়িত্ব নিয়ে মন্ডল এসেছিলেন।
থারটিসিক্স আওয়ারের দরকার ছিল না। গোয়েন্দা বিভাগের হাসিখুশি চেহারার খুবই সদালাপি এমরান ফিস ফিস করে বললেন -খোঁজাখুঁজির দরকারই নেই, ওই বাড়িটার কাছে যেয়ে বসে থাক, ও ওখানে যাবেই। দায়িত্বপ্রাপ্ত দারোগার খোমা আবারো লাল হয়ে গেল - শালা বকরি চো- বলে কি? আমরা বলে ঘাম ঝরিয়ে দিচ্ছি, আর মাগিপটানো চোদনা জ্ঞান দিচ্ছে?

কুদ্দুস যতই গালি দিক ঠিকঠাক ওই বাড়ির সামনে ওৎ পেতে বসল। ঘন্টাখানেক পরই ওর মেজাজ চড়তে শুরু করল। শালা কোথায় কায়েসের দোকানে বসে থাকা কচি মালটা ছানাছানি করব, শালা জিনিস বটে! ওইটুকু একটা শরীর ! তার মধ্যে ইয়া দুইটা ইয়ে নিয়ে...... ধ্যাত্ বাল! কিছুক্ষণ পর আর থাকতে না পেরে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে প্যান্টের চেন খুলল। কাজটা হয়ে যাবার পর দুতিনটা আড়াঝাঁকি দিয়ে জায়গামত ওটা সাইজ করতে গিয়েই দেখল -চান্দু আসেছ। ঠিক!

প্রথমত:অন্যায়, দ্বিতীয়ত: হাজতপালানো,তৃতীয়ত:ওদের ছানাছানি তে বাগড়া দেয়ার সব ঝাল একসাথে মিটিয়ে দেয়া হলো। যখন প্রায় জ্ঞান হারানোর অবস্থা ঠিক সেই সময়ে ধীর পায়ে উদয় হলেন মন্ডল......স্টপ! ধমকে উঠলেন মন্ডল। তোমাদেরকে ধরে আনতে বলেছি, মেরে ফেলতে নয়। স্টুপিড কোথাকার! বেরোও, বেরোও, যত্তোসব আনাংলার ধাড়ি।
রাশেদকে তুলে মন্ডলের ঘরে নিয়ে যাওয়া হলো। রক্তটক্ত মুছিয়ে মোটামুটি ভদ্রস্থ করার পর খুব মোলায়েম স্বরে মন্ডল বললেন...
আমার মধ্যে ওরকম কোন ব্রুটালিটি পাবে না। আমি জানি পুলিশের এক্তিয়ার কতটুকু। আমি বিশ্বাস করি টর্চার করে কোন দিন ইনফরমেশন বের করা যায় না। তুমি আমাকে তোমার বড় ভাই ভাবতে পারো। -ছি: দেখেছ কি ভাবে মেরেছে গোঁয়ার গুলো! এই ভাবে কেউ মারে ?আমি এসব নিয়ে রিপোর্ট করব।

অনেক দিন পর একজন মানুষকে দেখে রাশেদ অভিমানে কষ্টে কেঁদে ফেলল। হুড়মুড় করে বলতে গেল তার টর্চারের কাহিনী.........থামো থামো....দরকার নেই আমি যা বোঝার বুঝে নিয়েছি..... তুমি এখন রিল্যাক্স হও। আর কোন ভয় নেই, আমি থাকা অবস্থায় কেউ তোমার কিচ্ছুটি করতে পারবে না । কিছুক্ষণ মন্ডলের মুখের দিকে চেয়ে রাশেদের আতংক অনেকটাই কেটে গেল । আরো কিছুক্ষণ পর মন্ডল ফিস ফিস করে জানতে চাইল....তুমি ওখানে কি খুঁজছিলে রাশেদ ?
-কই কিছু না তো !
-না না খুঁজছিলে । হাসতে হাসতে বলল মন্ডল।
-আমি ওখানে গিয়েছিলাম......কিন্তু নেই...ওটা নেই......
-কি নেই
-তাতো জানি না ।
-জানো। তুমি কি কিছু লুকিয়ে রেখেছিলে ?
ঝট্ করে মন্ডলের মুখের দিকে তাকায় ও। অফিসার কি বলতে চায় ? ও কি জেনে গেছে?...
-কি ভাবছ? হ্যাঁ আমি জানি। তুমি ........
রাশেদের মাথার মধ্যে ঝড় বয়ে যাচ্ছে...কি যেন মনে করতে চেয়েও পারছে না...কি সেটা ?..এক একবার মনে হয় মনে পড়ছে, আবার গুলিয়ে যাচ্ছে......জিহ্বা দিয়ে ঠোঁটের রক্ত চাটছিল ও, নোনতা। আসটে গন্ধ। জিহ্বাটা একটা ভাঙ্গা দাঁতে লাগতেই ছড়ে যায়...দাঁত...দাঁত.... হঠাৎ শব্দ করে বলে ওঠে ও...আপনি অফিসার...আপনার একটা দাঁত...উপরের মাঁড়ির আট নম্বর....সোনা বাঁধানো...দাঁত.. হ্যাঁ হ্যাঁ...ঝট্ করে উঠে বসে রাশেদ। বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে থাকে ও.....আপনি মন্ডল....দশ বছর আগে....হ্যাঁ ২০০৮ সাল...রাজশাহী...নওগাঁ....মুখের দুই কষা বেয়ে রক্ত গড়াচ্ছিল......
আমি চিনেছি আপনাকে.....।
মন্ডলের মুখে দু'ধরণের ছবি খেলে যায়। একবার ঝাঁপসা নেগেটিভ। একবার পরিষ্কার পজেটিভ। মন্ডল সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে। পকেট থেকে ছোট্ট একটা চাকু বের করে। ব্লেডটা মাত্র সাড়ে তিন ইন্চি। ..আমার মধ্যে কোন ব্রুটালিটি পাবে না । আমি জানি বাম বুকের ঠিক স্তনের বোঁটার নিচে দুই রিবের মাঝখানে দিতে হবে। এক ফোঁটা রক্তও বেরুবে না। একেবারে পরীক্ষিত।
এবারো জয়ী হলো মন্ডল । হয়তো ওই বাড়িটার নিচে যা ছিল তা মন্ডলের জন্যই দশ বছর ধরে পড়ে ছিল। হাইরাইজ । ফাস্টফুড। পিচঢালাপথ। মার্বেল স্লাব। মাটি কই? তাছাড়া মাটি অত দিন মেটালকে রাস্ট করে দেয় বলে বিশেষজ্ঞরা ধারণা দেন।











লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): গল্পএন্টি গল্পমেটালকে রাস্ট করে দেয়গল্পএন্টি গল্পমেটালকে রাস্ট করে দেয় ;
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৫১


  • ২৬ টি মন্তব্য
  • ২৯৫ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১৭
লেখক বলেছেন: তেমন কিছুই না। গল্প > বড় গল্প > ছোট গল্প > অনু গল্প > ক্ষুদে গল্প > টুনি গল্প > ঊন গল্প>>>>>>>>> এন্টি গল্প।

ছোট গল্পেরই আর একটা ফর্ম আরকি। কিলিয়ার ?
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২০
লেখক বলেছেন: ঠান্ডামাথার ব্রুট...............তার ঠান্ডা কাজটা ব্রুটালিটি.........অথচ দেখলে আবৃত্তির শিল্পী মনে হবে । এই কিছিমের মাল আমাদের ধারেকাছে ঘুরঘুর করছে......
৩. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
রাতমজুর বলেছেন: ঠিক! ব্যাটা সুশীল মুখোশধারী। ঠিক বলেছেন। আমাদেরকে ঘিরে ফেলছে ওরা। কেন যেন মনে হয়, বৃত্ত্বটা ছোট হয়ে আসছে ধীরেধীরে।
৪. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৭
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৫
লেখক বলেছেন: হহ, এইবার ঠিকৈসে।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৫
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ ভাঙা চাঁদ।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৫
লেখক বলেছেন: ভাবতাছি এন্টি লেকা বাদ দিয়া 'প্রো-রুমজান' লিকব....রুমজান এর এফতার নিয়া যে ঘিচক্যাং ঘিচক্যাং ছলচে তাতে........
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:২৮
লেখক বলেছেন: থ্যাংস ফারহান।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩০
লেখক বলেছেন: হ রে ভাই,জটিল এবং ব্রুটাল !
১০. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৯:৪৮
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৯
লেখক বলেছেন: খেলেন তো ফাঁকি দিতে চেয়েও দেওয়া গেল না !

মেয়ে নিয়ে হাঁসকে খাবার দেয়া ছবিটা দারুণ।
১১. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:৩৮
কঁাকন বলেছেন: নুশেরা বলেছেন: বীভত্সতার বর্ণনাও এভাবে দেয়া সম্ভব!
এমন গাঁথুনি; পুরোটা না পড়ে পারা গেলনা।
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
লেখক বলেছেন: পুরোটা পড়তে পারলেন ? ধন্যবাদ এই অসাধ্য কাজের জন্য !:)
১২. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৩৮
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
লেখক বলেছেন: ঠিক।ঠিক।বিলকুল ঠিক।নিঃশব্দে ধন্যবাদ লীলেন !
১৩. ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ৮:০৭
বিগব্যাং বলেছেন:
আপনার সবগুলো লেখা পড়লাম...

ব্লগে এই মাত্রার ভালো লেখা আমার চোখে পড়েছে খুবই কম...
আপন ভেবে দুটো পরামর্শ...
১। স্টিয়ারিং শক্তভাবে না ধরে থাকলে নিকট ভবিষ্যতে আছাড় খাওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না...
২। রিয়র ভিঊ মিররে চোখ রাখা দরকার...(সুবিমল কে? অপভ্রংশ কি? শুনে আমার ভয় হচ্ছে যে আপনার বুঝি রিয়র ভিউ মিররে চোখ নেই...)

সর্বাত্মক শুভেচ্ছা থাকলো...
০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৭
লেখক বলেছেন: অভিনন্দন, বিষয়ের গভীরে যাওয়ায়।'আপন ভেবে কথাটা'মনে গেঁথে রাখলাম।
১। আছাড় খাওয়াটা এখন আর 'খাওয়া'ভাবিনা।দৈনন্দিন অংশ মনে হয় জীবনের।
২। না। চোখ আছে। এক রিয়র ভিউ মিরর গারবেজে ফেলে এসেছি। আপনি যেটার কথা বলছেন,সে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যেতে চাইছিলাম। >>>

সুবিমল আর ল্যাডলি মুখোপাধ্যায় মিলে একটা কাগজ বের করেছিল-'কাগজের বাঘ' নামে। ওখানে ওরা ফর্ম নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেওছিল। সুবিমল প্রধানত এ্যান্টি উপন্যাস ফর্ম নিয়ে কাজ করেছিল। "আর পাইপগান এত গরম হয়ে যায় যে এর ব্যবহার ক্রমশ:কমে আসছে" নামের উপন্যাস নিয়ে মোটামুটি হৈচৈ হয়েছিল। সেও আশির দশকের গোঁড়ার দিকের কথা।এর পর যা হয় বাংলা সাহিত্যে ! ফটাফট অনুকরণ আর গেটিজ প্রবিষ্টকরণ।একসময় বিষয়টা হারিয়েই যায়।
'এন্টি' নামটা হয়ত সুবিমলের ধারণা থেকেই এসেছে,তবে আমার রিয়র ভিউ মিররে সে নেই, আছে নবারুণ।ভালভাবেই আছে।আর আছে অতি পুরোনো নারায়ন গঙ্গোপাধ্যায়।বাকিটা নিজের ভেতরকার স্টাইল-মানুষ যে ভাবে কথা বলে সে ভাবেই লিখে যেতে চাওয়া।

আপনার শুভেচ্ছা গহিনে ঠাঁই পেল।
ফিরতি শুভেচ্ছা।
১৪. ০৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩১
খিলালী বলেছেন: আমি মুখ্খু মানুষ। ভাসিলাম এন্টি গল্প মানে গল্পের উল্টা-পাল্টা কিসু। তয় ভালৈসে! পিলাচ।
০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৫
লেখক বলেছেন: আমি আফনের চাইতেও মুখখু সুখখু মানুষ,তয় পিলাস ব্যাফারডা খারাপ না !

কোন মন্তব্য নেই: