০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:২৭
----------------------------------------------
----------------------------------------------
‘রইসুদ্দি বাড়িত আছ,বাইরাও’
ভাঙ্গা বেড়া,তোবড়ানো ঝাঁপ ঠেলে
বেরিয়ে এসেছিল রইসুদ্দি।
‘বাহের আছ ?সব ঠিক তো?’
কি সব ঠিকঠাক করে নেমে এসেছিল বাহের।
‘হারান খুড়ো ?’
কুচে মাছের মত কালো হারান,
মূর্তিমান অসূর।ল্যাজা,বল্লম আর সড়কি
হাতে মিশে গেছিল ভিড়ে।
জনা দশেক মানুষ,পাথর খোদাই করা
মুখ নিয়ে সোজা হলো।
জনা দশেক মানুষ আড়াই হাজার বছরের
ঘৃণা নিয়ে ঘাড় বাঁকাল।
জনা দশেক মানুষ,জনে জনে বাড়বে বলে
অগ্রসর হলো।
জনা দশেক মানুষ জনা দশেকে যোগ হলো।
তারা যাত্রা করল নিশ্চিত অনিশ্চিতে।
খালি-পা মানুষের হাঁটায় শব্দ হয় না,
শ্বাপদের মত হাঁটে,কখনো বেড়ালের মত,
রুগ্ন শীর্ণ মানুষের গম্ভির কলতানও হয় না,
নিঃশব্দ চরাচরে গুইসাপ হয়ে বুকহাঁটে।
জনা কুড়ি গুইসাপে যোগ হলো আরো।
রাত শেষের কুয়াশা,ছেঁড়া মেঘ,নিড়ছাড়া পাখি
চষাক্ষেত,বিরানভূঁই,ঘরের কোণের কুহক পাখি,
মাচায় তোলা চালকুমড়ো,ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা
মানকচু,লতানো লাউডগা,বটের ঝুরি আর তালের
শরীরে পরগাছা পেরিয়ে জনা চল্লিশ মানুষ
হাঁটা ধরেছিল.....পৌঁছুতে হবে ওই সূর্যটার কাছে,
যে এখনো ওঠেনি। তবে উঠবে,নিশ্চই।
ঝিমধরা শেষ রাতের কাহন
নেশা লাগানো আলো আঁধারীর খেলা
উল্টানো থালার মত বিলের শেষে
কালো কালো গ্রাম.....সবাই তখনো শীতনিদ্রায়.......
শুধু এরা বাদে।এরা আজ দল বেঁধেছে বহু সাধনায়,
এরা আজ শাবল,খোনতা,সড়কি-বল্লম-ল্যাজা সব এনেছে
এরা লুঙ্গীর গিঁটে,ধূতির খোঁটায়,শাড়ির আঁচলে আর হাতে
হাতে দেশলাই এনছে,মুখভরে কেরোসিন এনেছে,
সূর্য রক্তবর্ণ হওয়ার আগেই লেলিহানরাঙা হয়ে উঠবে এই জনপদ।
আগুন ছাড়া মানুষ বাঁচে না,ওরা বাঁচবে বলে
আগুন দিয়েছে অস্তাচলের দূর্গে.....চল্লিশ হাজার মানুষ
আগুন বুকে নিয়ে আগুন ছুঁয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে বাঁচবে বলে ।
ভাঙ্গা বেড়া,তোবড়ানো ঝাঁপ ঠেলে
বেরিয়ে এসেছিল রইসুদ্দি।
‘বাহের আছ ?সব ঠিক তো?’
কি সব ঠিকঠাক করে নেমে এসেছিল বাহের।
‘হারান খুড়ো ?’
কুচে মাছের মত কালো হারান,
মূর্তিমান অসূর।ল্যাজা,বল্লম আর সড়কি
হাতে মিশে গেছিল ভিড়ে।
জনা দশেক মানুষ,পাথর খোদাই করা
মুখ নিয়ে সোজা হলো।
জনা দশেক মানুষ আড়াই হাজার বছরের
ঘৃণা নিয়ে ঘাড় বাঁকাল।
জনা দশেক মানুষ,জনে জনে বাড়বে বলে
অগ্রসর হলো।
জনা দশেক মানুষ জনা দশেকে যোগ হলো।
তারা যাত্রা করল নিশ্চিত অনিশ্চিতে।
খালি-পা মানুষের হাঁটায় শব্দ হয় না,
শ্বাপদের মত হাঁটে,কখনো বেড়ালের মত,
রুগ্ন শীর্ণ মানুষের গম্ভির কলতানও হয় না,
নিঃশব্দ চরাচরে গুইসাপ হয়ে বুকহাঁটে।
জনা কুড়ি গুইসাপে যোগ হলো আরো।
রাত শেষের কুয়াশা,ছেঁড়া মেঘ,নিড়ছাড়া পাখি
চষাক্ষেত,বিরানভূঁই,ঘরের কোণের কুহক পাখি,
মাচায় তোলা চালকুমড়ো,ঠাঁয় দাঁড়িয়ে থাকা
মানকচু,লতানো লাউডগা,বটের ঝুরি আর তালের
শরীরে পরগাছা পেরিয়ে জনা চল্লিশ মানুষ
হাঁটা ধরেছিল.....পৌঁছুতে হবে ওই সূর্যটার কাছে,
যে এখনো ওঠেনি। তবে উঠবে,নিশ্চই।
ঝিমধরা শেষ রাতের কাহন
নেশা লাগানো আলো আঁধারীর খেলা
উল্টানো থালার মত বিলের শেষে
কালো কালো গ্রাম.....সবাই তখনো শীতনিদ্রায়.......
শুধু এরা বাদে।এরা আজ দল বেঁধেছে বহু সাধনায়,
এরা আজ শাবল,খোনতা,সড়কি-বল্লম-ল্যাজা সব এনেছে
এরা লুঙ্গীর গিঁটে,ধূতির খোঁটায়,শাড়ির আঁচলে আর হাতে
হাতে দেশলাই এনছে,মুখভরে কেরোসিন এনেছে,
সূর্য রক্তবর্ণ হওয়ার আগেই লেলিহানরাঙা হয়ে উঠবে এই জনপদ।
আগুন ছাড়া মানুষ বাঁচে না,ওরা বাঁচবে বলে
আগুন দিয়েছে অস্তাচলের দূর্গে.....চল্লিশ হাজার মানুষ
আগুন বুকে নিয়ে আগুন ছুঁয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে বাঁচবে বলে ।
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): মুখভরা কেরোসিন ;
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৪
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:২৪
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫০
লেখক বলেছেন: সময় বারোয়ারী হয়ে যাওয়ার কারণে গদ্য লিখতে পারছি না। ঈদ নামক 'ষ্টিমরোলার' শেষ হোক,গদ্য হবে। শুভেচ্ছা আপনার পরিবারের সবাইকে।
২. ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:২৭
জাতিশ্বর বলেছেন: এইডা ভাল করছেন। ঈদের শুবেচ্চার ঠেলায় চওক্ষে আন্ধার দেকতেআচিলাম! উরি বাপ রে বাপ ! ঈদের শুবেচ্চা যেন রিলিফে পাওয়া যাইতেচে !
দাদা,কোবতে ফাটাফাটি । সবাই যকন পাতানো খুশিতে নাচতেসে
তকন এই রকম আগুন ধরা কতা বলার হিকমত দেকালেন। সাবাসী লন।
দাদা,কোবতে ফাটাফাটি । সবাই যকন পাতানো খুশিতে নাচতেসে
তকন এই রকম আগুন ধরা কতা বলার হিকমত দেকালেন। সাবাসী লন।
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
লেখক বলেছেন: আপনার পোস্টটা দেখলাম। ওখানে আর একটা বিষয় বাদ পড়েছে। ঈদের পর কাগজ বেরুলে দেখবেন...........জনা বিশেক মানুষ বাড়ি যাওয়ার পথে মারা গেছে,কেউ কেউ ধনীদের ফিতরা বেলানোর আয়েশি
কান্ডে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে মারা গেছে...,কারো বউ নতুন শাড়ি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে......এসব শোনার পর 'এলো খুশির ঈদ ' শুনলে ঘেন্না লাগে !
কান্ডে চিড়েচ্যাপ্টা হয়ে মারা গেছে...,কারো বউ নতুন শাড়ি না পেয়ে আত্মহত্যা করেছে......এসব শোনার পর 'এলো খুশির ঈদ ' শুনলে ঘেন্না লাগে !
৩. ০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৩০
০১ লা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ। এ ছাড়া আর কি-ই বা দিতে পারি।লিখে যাব ধুলোমাখা পথে হাঁটতে হাঁটতে...আয়ুষ্কাল অব্দি.....
৪. ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৭:৪১
শ্রেয়া বলেছেন: আগুন ছাড়া মানুষ বাঁচে না,ওরা বাঁচবে বলে
আগুন দিয়েছে অস্তাচলের দূর্গে.....চল্লিশ হাজার মানুষ
আগুন বুকে নিয়ে আগুন ছুঁয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে বাঁচবে বলে ।
+++++!!!!
আগুন দিয়েছে অস্তাচলের দূর্গে.....চল্লিশ হাজার মানুষ
আগুন বুকে নিয়ে আগুন ছুঁয়ে উঠে দাঁড়িয়েছে বাঁচবে বলে ।
+++++!!!!
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৩
লেখক বলেছেন: হুমম ! আগুন লেগেছে আজ চারিধারে.....................
৫. ০২ রা অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৩:৪০
ত্রিভুজ বলেছেন: হুমম.. ভাল লিখেছেন. ঈদ মোবারক..
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৪
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৬. ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ১১:১৯
নাসিমূল আহসান বলেছেন:
বন্ধু প্রিয় ; ঈদের শুভেচ্ছা। আর আমাদের ছোট্ট গ্রুপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এ আমন্ত্রণ। আমারা একসাথে পথ চলতে চাই; আমাদের প্রিয় রুগ্ন দেশটাকে সুস্থ করে তুলতে চাই শব্দের হাতিয়ার কাঁধে নিয়ে।
আমরা ভাগাভাগি করে নেব আমাদের সব স্বপ্ন; আমরা পথ করে দেব নতুন প্রজন্মকে; যাদের কে দেখতে হবে না রাষ্ট্রের ময়লা রূপ। যারা চোখ মেললেই দেখবে চারিদিকে সুখি মানুষের কোলাহল! আমরা নির্মান করতে চাই হাজারো
শব্দের কারিগর; যারা শব্দ দিয়ে বদলে দিতে চান সমাজের কাঠামো; যারা ভেঙে ফেলতে চান সব শেকল; শোষিত মানুষকে নিয়ে যেতে চান দেয়ালের বাইরে-
Click This Link
বন্ধু প্রিয় ; ঈদের শুভেচ্ছা। আর আমাদের ছোট্ট গ্রুপ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়-এ আমন্ত্রণ। আমারা একসাথে পথ চলতে চাই; আমাদের প্রিয় রুগ্ন দেশটাকে সুস্থ করে তুলতে চাই শব্দের হাতিয়ার কাঁধে নিয়ে।
আমরা ভাগাভাগি করে নেব আমাদের সব স্বপ্ন; আমরা পথ করে দেব নতুন প্রজন্মকে; যাদের কে দেখতে হবে না রাষ্ট্রের ময়লা রূপ। যারা চোখ মেললেই দেখবে চারিদিকে সুখি মানুষের কোলাহল! আমরা নির্মান করতে চাই হাজারো
শব্দের কারিগর; যারা শব্দ দিয়ে বদলে দিতে চান সমাজের কাঠামো; যারা ভেঙে ফেলতে চান সব শেকল; শোষিত মানুষকে নিয়ে যেতে চান দেয়ালের বাইরে-
Click This Link
০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ৯:৩৮
লেখক বলেছেন: প্রিয় নাসিমূল আহসান,
আপনাদের আমন্ত্রণ সক্রিয় বিবেচনায় রইল।ধন্যবাদ।
আপনাদের আমন্ত্রণ সক্রিয় বিবেচনায় রইল।ধন্যবাদ।
৭. ০৩ রা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৫
অপ্সরা বলেছেন: সুন্দর লেখা।
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৩৬
লেখক বলেছেন: দেশলাই,কেরোসিনের মধ্যে কি সুন্দর থাকতে পারে !! ধন্যবাদ।
৮. ০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫৫
নুশেরা বলেছেন: আগুন-ঝরা লেখা। আপনার গদ্যের চেয়ে কবিতারই তো বেশী ভক্ত হয়ে যাচ্ছি মনে হয়...
০৪ ঠা অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫৮
লেখক বলেছেন: আলসেমিতে পেয়েছে।গদ্যে কষ্ট বেশি বলে সংক্ষেপে কবিতা !!
ভাল বুদ্ধি না ?
ভাল বুদ্ধি না ?
৯. ০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:১৯
রাতমজুর বলেছেন: আগুন পোষ্ট
০৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:৪১
লেখক বলেছেন: আগুনাহত অভিনন্দন।
আপনার গদ্য পদ্য দুটোই যত পড়ছি তত মুগ্ধ হচ্ছি।
ভালো থাকুন।