১২ ফেব, ২০১১

সরকার কি শ্রমিকদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করতে চাচ্ছে ? ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩২


‘কঠোর হাতে দমন করা হবে’,‘দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে’,‘নৈরাজ্য সহ্য করা হবেনা’,‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হবে’। এ ধরণের সরকারি বিজ্ঞপ্তি বা বাণী শুনলে প্রথমেই ধরে নিতে হয় কেউ নো কেউ সরকারের বিরুদ্ধে হাত তুলেছে। কেউ না কেউ সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছে। কেউ না কেউ সরকারের নিকটবর্তি বা স্বশ্রেণীভূক্ত প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠির বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে। এর পর যা হয়-সরকারের এই ধরণের হুমকির পর সাধারণত বিদ্রোহী গোষ্ঠি বা বিক্ষোভরত জনগণ রণেভঙ্গ দেয় অথবা সরকারের হুমকি নির্মমভাবে কার্যকর হয়ে পরিস্থিতি সরকারের অনুকুলে চলে আসে।
এটাই এদেশের চিরাচরিত নিয়ম।এই নিয়ম যে কোন কিসিমের সরকার মতায় থাকুক না কেন তাতে কোন ব্যতিক্রম ঘটেনা।যেমন এবারকার সেনা সমর্থিত তদারকি সরকার। অন্যবারের তিন মাসের সরকারের সঙ্গে এদের মূল পার্থক্য-এরা দলীয় সরকারের প্রায় সকল আচরণই করছেন,কিন্তু বলার সময় বলা হচ্ছে-‘অস্থায়ী ত্বত্ত্বাবধায়ক সরকার। ’বিস্ময়ের ব্যাপার হচ্ছে, এই অস্থায়ী সরকার আর যে কোন শ্রেণীর সাথে যে আচরণই করুক না কেন, শ্রমজীবী মানুষ,নিম্নবিত্ত মানুষ, প্রান্তিক দরিদ্র মানুষ এবং অত্যাচারে -নিপীড়নে অতিষ্ট প্রতিবাদী মানুষের বিরুদ্ধে ইতিহাসের নির্মমতম আচরণ করেছেন। যা দলীয় সরকারও করার আগে তিন বার ভাবত। বলা হয়‘দলীয় সরকার তার দল ছাড়া বাকি সকলের সাথে বৈরি আচরণ করে’। অথচ সেই সব ধরণের বৈরি আচরণকে অতিক্রম করে এ বিষয়ে অর্থাৎ অত্যাচার-নিপীড়নে ‘প্রথম’ হয়েছেন বর্তমান ‘নিরপেক্ষ’ সরকার! এ কথা একারণেই বলতে হচ্ছে, যেহেতু সরকার তৈরি পোশাক শিল্পে বিশৃঙ্খলা কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের দেশের তৈরি পোশাক শিল্পে কী ঘটে সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। আমাদের এই নব্য উপনিবেশিক মালিকরা কতভাবে শ্রমিকদের শুষে নেয় তার বিস্তারিত প্রতিবেদন মাঝে-মধ্যেই কাগজগুলোতে প্রকাশিত হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার হলো,গার্মেন্ট মালিকরা যখন বিদেশী সৈনের মত দেশী শ্রমিকদের উপর গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তখন বাঁচার জন্য শ্রমিকদের সরকারের দ্বারস্থ হওয়ার কথা। বাঁচানোর জন্য শ্রমিকদের পাশে সরকারেরই দাঁড়ানোর কথা! কিন্তু আমরা গত প্রায় উনত্রিশ বছর ধরে দেখে আসছি,এখানে তার উল্টোটাই ঘটে। সরকার তার সমস্ত সশস্ত্র শক্তি নিয়ে শ্রমিকদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। তারপর মালিক,মালিকেদের ভাড়াটে গুন্ডা,সরকারের পুলিশ,র‌্যাব,বিডিআর সহ আরো কিছু পেটোয়া বাহিনী শ্রমিকদের উপর হামলে পড়ে। এক একটা হামলে পড়ায় কমপক্ষে পনেরবিশজন শ্রমিক আহত হয়,এবং নিয়মতান্ত্রিক ভাবেই দুচার জন নিহত হয়। এটা একধরণের রেগুলেশন ওয়ার্ক বা নিয়মিতকর্ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। হালের কয়েকটা ঘটনার উল্লেখ করা যাক।

১।‍‍"তৈরি পোশাক শিল্পে বিশুঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের কঠোরভাবে দমনের নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল মঙ্গলবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভায় এ নির্দেশ দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই সভা শেষে স্বরাষ্ট্র সচিব আবদুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, ‘পোশাক শিল্পে সামান্য ঘটনাকে কেন্দ কর্রে সম্প্রতি ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুরসহ বিভিন্ন স্থানে বেশকিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে। এসব নিয়ন্ত্রণে পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে। যখন যেখানে পুলিশের প্রয়োজন হচ্ছে, সেখানেই পুলিশ মোতায়েনসহ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’ বিকেএমইএর মতো বিজিএমইএ শ্রমিকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বেশি দিতে নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে। এছাড়া শ্রমিকদের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করতে সরকারের বিভিন্ন পর্যায় থেকে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। তাই রমজানে যেন কোনো সমস্যা না হয়, সেজন্য পুলিশকে সতর্ক রাখা হয়েছে বলে সচিব জানান”(সমকাল,৩,সেপ্টম্বর ২০০৮)

২।"গাজীপুর সদরের কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পাঞ্চলের গার্মেন্ট শ্রমিকদের বিক্ষোভ ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে প্রায় ৪০ জন আহত হয়েছে। এ অবস্থায় শিল্পাঞ্চলের ৭টি গার্মেন্ট ফ্যাক্টরি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পুলিশ উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগানের গুলি ও টিয়ার শেল নিপে করে।
জানা যায়, শনিবারের বিক্ষোভ-সংঘর্ষের পর শিল্পাঞ্চলের জরুন এলাকার স্ট্যান্ডার্ড গার্মেন্ট ফ্যাক্টরির শ্রমিকরা গতকাল সোমবার কাজে যোগ দিতে এসে দেখতে পায় ফ্যাক্টরির ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য লে-অফ ঘোষণার নোটিশ টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদে সমবেত শ্রমিকরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে এবং ফ্যাক্টরি খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্লোগান দিতে থাকে।
একপর্যায়ে উত্তেজিত শ্রমিকরা আশপাশের ওয়াইকে, বেস্টউল, তিতাস, আসিফ, স্বাধীন ও মেডিটেক্স-২ ফ্যাক্টরিতে গিয়ে শ্রমিকদের বেরিয়ে আসার আহ্বান জানায়। এ সময় পুলিশ উত্তেজিত শ্রমিকদের নিয়ন্ত্রণে আনতে ১০-১২ রাউন্ড শটগানের গুলি ও টিয়ার শেল নিপে করে। পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের প্রায় ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ চলে।
সংঘর্ষে পুলিশসহ ৩০ থেকে ৪০ জন আহত হয়েছে(সমকাল,২সেপ্টম্বর ২০০৮)

৩। "গাজীপুর সদর উপজেলার কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীতে রোববার আবারো পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। তবে কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর ভেতরে স্ট্যান্ডার্ড গ্রুপের দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করলেও অধিকাংশ কারখানা চালু ছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
এদিকে চরম শ্রমিক অসন্তোষের কারণে গতকাল রোববার সাভারে ঢাকা রফতানিকরণ প্রক্রিয়া অঞ্চলের (ডিইপিজেড) পুরাতন জোনে অবস্থিত ভারতীয় প্রতিষ্ঠান জিবি গার্মেন্ট ইন্ডাষ্ট্রিজ লিমিটেড অবশেষে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।পুলিশ ও শ্রমিক সূত্রে জানা গেছে, গতকালও কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর ভেতর থেকে শত শত শ্রমিক বিভিন্ন দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল সহকারে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে অবরোধ করতে চাইলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এ সময় ১০ জন শ্রমিক আহত হন। ঘটনার পর কোনাবাড়ী বিসিক শিল্পনগরীর আঞ্চলিক এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে(সমকাল,১সেপ্টম্বর,২০০৮)

এই তিনটি খবরই সংবাদপত্রের কাটিং। যে খবরটি সংবাদপত্রে আসেনি তা হলো,এক বা একাধিক শ্রমিকের লাশ গুম করার খবর।মালিক পক্ষ, টেলিভিশনঅলারা এটাকে ‘গুজব’ বলে চালিয়ে দিয়েছেন। এরই মধ্যে আর একটি চাঞ্চল্যকর খবর হচ্ছে, গাজীপুরে বা বিভিন্ন গার্মেন্ট ফ্যাক্টরিতে এই ‘সহিংসতা বন্ধ বা দমন বা নির্মূল’ না করা হলে সকল ফ্যাক্টরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে বিজিএমইএ বা তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর মালিক সমিতি ! আমরা আমাদের পূর্বাভিজ্ঞতায় দেখেছি যেহেতু বিজিএমইএ’র কর্তাব্যক্তিদের বলা হয় দেশের বৈদেশিক মুদ্রার প্রধান যোগানদাতা,(যদিও তথ্যটা সম্পূর্ণ মিথ্যা) তাই তারা কোন দাবি জানাবেন আর সরকার সেটা আমলে নেবে না, এমন ঘটনা ঘটতেই পারে না ! বিজিএমইএ যদি শ্রমিকদের ধমক দিতে বলে ,সরকারের পুলিশ তার বদলে হাত-পা ভাঙ্গবে। ধরে আনতে বললে, মেরে লাশ বয়ে আনবে ! সেখানে এই মহামহিম ডলার-ইউরো আয়কারীরা সরকারের কাছে আল্টিমেটাম দিচ্ছে ! সুতরাং সেই আল্টিমেটাম অবশ্যই পালিত হবে। খুব ভালভাবেই পালিত হবে।বিজিএমইএ আরো দাবি করেছে প্রত্যেকটা ফ্যাক্টরীতে পুলিশ পাহারা দিতে হবে। সরকার সাথে সাথে ইন্ডষ্ট্রিয়াল পুলিশের ব্যবস্থা করে দিয়েছে। এবার মোটামুটি মহামান্য স্যার আনিসুল হক এন্ড কোংরা নিরাপদ। এবার তারা নিরাপদে টাকা, ক্ষমতা,শিল্প-সাহিত্য,বাণী দেওয়ার ক্ষমতা, সবই অর্জন করবেন নিশ্চিন্তায়।এবার আর তাদের 'সাউন্ড স্লিপের' ব্যাঘাত ঘটবেনা। রাজা এবং রাজন্যরা অতঃপর সুখের পায়রা উড়িয়ে দেশের শনৈ শনৈ উন্নতি উপভোগ করবেন। বেশ।

এবার আমরা ছোট্ট কয়েকটা কার্যকরণ নিয়ে আলোচনা করব :-গুহাযুগ পেরিয়ে আসার পথে এই আজ পর্যন্ত বিশ্বে যা কিছু নির্মান ,যা কিছু সৃষ্টি,যা কিছু স্ট্রাকচারাল,যা কিছু উন্নতি, যা কিছু তে দাঁড়িয়ে,বসে উপভোগ করে,আরামে শুয়ে,দ্রুত ছুটে,হাউই
জাহাজে প্রমোদতরীতে, ক্লাবে-বারে,মসজিদে মন্দীরে,বঙ্গভবনে,সেনাকুঞ্জে, সরাইখানায়,কবরে এবং শ্মশানে , আমরা গাতিদারি,দফাদারি,চৌকিদারি, মেকদারি করে আসছি তার সবই কি শ্রমিকের নির্মাণ নয়? প্রশ্ন আসবে,টাকা তো আমাদের! তার উত্তরও কি তৈরি নেই ? সেই টাকাছাপার কলেও কি শ্রমিক নেই? মোদ্দা কথা হলো,আধুনিক সভ্যতা অনেক আগেই তেতোমুখে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে, শ্রমজীবী মানুষ ছাড়া আধুনিক সভ্য মানুষ(!) এক-পা ও চলতে পারে না। আজ যারা শ্রমিক পেঁদানোর জন্য সরকারকে দিয়ে রংবেরংয়ের বাহিনী বানাচ্ছেন,যারা নির্মম-নিষ্ঠুর ভাবে শ্রমিক নির্যাতন করছেন তারা আসলে খুব ধীরে ধীরে নিজেরাই নিজেদের খোঁড়া কবরের দিকে একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছেন।

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): শ্রমিক নির্যাতনশ্রমিক নির্যাতন ;
প্রকাশ করা হয়েছে: প্রবন্ধসমসাময়ীক রাজনীতি  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই জুন, ২০১০ রাত ১২:৫৫


  • ১০ টি মন্তব্য
  • ১৮৩ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ৬ জনের ভাল লেগেছে
১. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: সরকার যে কি করতে যাচ্ছে এই ইস্যুটাতে বুঝতে পারছি না :(
২. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৪
৩. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৯
মনজুরুল হক বলেছেন: @শামীম। শত অত্যাচারেও যেন শ্রমিকরা বিক্ষোভ দেখাতে না পারে সেরকম ফুলপ্রুফ প্রোটেকশন দিতে চাচ্ছে মালিকদের। আর তাতে করে মালিকরা প্রতিশ্রুত বেতন-ভাতা,ওভারটাইম না দিয়েও পার পেয়ে যাবে!
৪. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:০৮
রাতমজুর বলেছেন: আমার সেলুকাসরে ডাকতে ইচ্ছা করতেছে সরকার আর মালিকপক্ষের কান্ড দেইখা।
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪১
লেখক বলেছেন: বাংলাদেশে এখন আর সেলুকাসকে ডাকতে হয়না,এমনিতেই চলে আসে ! ধন্যবাদ রাতমজুর।
৫. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:১৫
বিগব্যাং বলেছেন: শ্রমকরা যেখানে শরীরের রক্ত পানি করে, হাড়ভাঙ্গা খাটুনি করে দেশের গারমেন্টস শিল্পকে টিকিয়ে রাখছে...সেখানে লুম্পেন মুনাফাপিশাচ মালিকশ্রেণী তাদের লালসাকে সর্বোচ্চকরণ করতে গিয়ে গার্মেন্টস শিল্পবিরোধী নানা কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে ও নানা দেশী বিদেশী চক্রান্তকে উস্কে দিচ্ছে ও সহযোগতা করছে...
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৪
লেখক বলেছেন: আপনার মন্তব্যটা চমৎকার,কিন্তু কেন যেন মনে হলো অসম্পূর্ণ।


আমাদের এই জমিদার মালিক শ্রেণীকে যখন আরো বড় জমিদার শাসকশ্রেণী তোষণ করে তখন বুঝতে বাকি থাকেনা -চোরে চোরে মাসতুতোভাই!
৬. ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ সকাল ৭:৩৯
নুশেরা বলেছেন: আনিসুল হক সাহেব তো "উন্নয়নের স্বার্থে" পরিবেশের ক্ষতির দিকে না তাকানোর নছিহতও করেছেন। শ্রমিকদের মনে করেন দাস। এরপর আর কী?
১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫১
লেখক বলেছেন: আনিসুল হক সাহেবরা এখন কেবলই সংবাদকর্মী নন। 'বাংলাদেশের সুনীল গঙ্গো-' তাদের ভুল ধরিয়ে দিতে গেলেই দেখবেন আবাল পা-চাটা মিডিয়া রে রে করে উঠেছে! নব্য সুশীলরা চ্যানেলগুলোর 'ভালোচোনা' অনুষ্ঠানে রাজা-উজীর মারা শুরু করেছে ! তার লেখাটার মোক্ষ জবাব হাত আছে,কিন্তু তিনি তো আবার এইসব 'অবিমিশ্বকারী' 'ভোরের কাগজ''সমকাল' পড়েননা !!
৭. ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩

কোন মন্তব্য নেই: