১২ ফেব, ২০১১

এন্টি গল্প > দোপাটি ফুলের রং সাদা > ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:৫৭

এন্টি গল্পের চরিত্রগুলোর মধ্যে কোন হী-ম্যান নাই।যদি কেহ ইহাতে ঝুম্পা লাহিড়ির স্ট্রেইন্থ, অরুন্ধুতির চমত্কারিত্ব,হুমায়ূন আজাদের আদিরস,হুমায়ূন আহমদের 'ভাঁড়ামো',কিংবা সুবিমলের এক্সপেরিমেন্ট খুঁজিতে চাহেন,নিরাশ হইবেন । এন্টি গল্পের সকল চরিত্রই আটপৌরে এবং নিরাভারণ। বলা বাহুল্য ইহার কোন রূপ সাহিত্য মান তালাশ করিতে চাওয়া অনর্থক :

আপনি জন্মানোর পরে আপনার বাবা আপনার জন্ম-খুশিতে গরু মেরে খাইয়ে ছিল। আড়াই বছর যেতে না যেতে আপনাকে টেনে লম্বা করার চেষ্টায় ওই বয়সেই আপনাকে ঠেলে পাঠশালে পাঠিয়েছিল।আপনি বাবার ইচ্ছা মত কলাগাছের মত ধাঁই ধাঁই করে বড় হতে পারলেন না। তালগাছের মত ধীরে ধীরে বাড়লেন। শরীরের মাঝ বরাবর আগ্রহ বাড়ার বয়সে আপনি স্বপ্ন দেখতে শুরু করলেন। আপনার প্রতিপালকরা সেটা দেখানোর জন্য আপনার কানে কানে মন্ত্রবীজ ঢুকিয়ে দিল।"চলো পালাই" গোছের বয়সে আপনি ডাক্তার-ইনজিনীয়ার, জজ-ব্যারিস্টার স্বপ্ন চোখে মেখে ঘুমুতে যেতেন। তারপর? তারপর এই বঙ্গ দেশে সচারচর যা হয়, তা-ই হলো । আপনি সরকারি অফিসের কেরানি হলেন । যথারিতি আপনাকে গোলগাল ফর্সামত নাদুশ নুদুশ এক আঠারো-উনিশের সাথে বিয়ে দেওয়া হলো । আপনি ফেঁসে গেলেন।

কেরানি । ইহো জগতে এইরূপ প্রাণী বোধকরি দ্বিতীয়টি খুঁজিয়া পাওয়া যাইবে না। ইহারা প্রভূত পরিমান বিদ্যা বুদ্ধি লইয়াও কাগজে কলম চালাচালি ,ফুটো করিয়া ট্যাগ লাগানো এবং বড় কর্তার সম্মূখে চালান করা ভিন্ন সৃষ্টিশীল কিছু করিবার সুযোগ পান না। বাঙলা ভাষায় ইহাদের বিভিন্ন তাচ্ছিল্যপূর্ণ নামে সম্বোধন করা হইয়া থাকে। যেমন 'মাছিমারা কেরানি', 'ছাপোষা কেরানি', কিংবা 'দু'পয়সার কেরানি'। ইহারা রাজনীতি,অর্থনীতি,সমাজ-সংসার,যুদ্ধ-বিগ্রহ সকল কিছু লইয়াই ভাবে। সাদ্দাম হোসেন ধরা পড়ার আগ পর্যন্ত, রিপাবলিকান গার্ড গর্তে ঢোকার আগ পর্যন্ত ইহারা সাদ্দামের ঘোর সমর্থক । যেই সাদ্দাম পালাল, রিপাবলিকান গার্ড গর্তে ঢুকল অমনি বুশের অনুগামী হইয়া কহিল-"বড় বাড় বেড়েছিল ব্যাটার,দ্যাখ এখন.."?

আমরা যেরকম দেখলাম সে রকমই একটা কাঠামোর নাম ধরে নেওয়া যাক ৫৩ । কেন ওর নাম ৫৩, আমরা সে বিচারে নাইবা গেলাম । এই ৫৩কে একদিন দেখা গেল অফিসে ভীষণ চিত্কার-চেচামেচি করছেন । কী ব্যাপার ?

৫৩'র একমাত্র সন্তান হাসপাতালে। গলি মহল্লা,হাঁতুড়ে ধনন্তরী ঘুরে শেষমেশ ক্লিনিকে । জানাগেছিল ওর মেয়ে অন্তির রোগটা জটিল । সরকারি দাওয়াখানা 'না' করে দিয়েছে । ক্লিনিকের ডাক্তার রা ফর্দ দিয়েছে দেড় থেকে দু'লাখ !৫৩ বোঝেনি। সোজা করে ওকে বলা হয়েছে -'আপনার মেয়ের সব রক্ত প্রতি মুহূর্তে পানি হয়ে যাচ্ছে। বাঁচাতে হলে ওকে ঘন্টায় ঘন্টায় রক্ত দিতে হবে।

৫৩'র বউ সোনাদানা যা ছিল সব বেঁচে দিয়ে মাত্র হাজার কুড়ি পেয়েছে। এর পর ৫৩ তার গ্রাচ্যুইটি প্রভিডেন্টফান্ড খাত থেকে লোনের জন্য আবেদন করেছিল। তারপর টানা ১১দিন সকাল-দুপুর-বিকেল ছুঁটে বেড়িয়েছে অফিসের রুম থেকে রুমে, দুয়ার থেকে দুয়ারে । সন্ধেবেলা মেয়ের কাছে যেয়ে মেয়ের এতটুকু হয়ে যাওয়া ফ্যাকাসে মুখের দিকে চেয়ে বুকের ভেতরটা মোচোড় দিয়ে উঠেছে ।১২ দিনের দিন ৫৩'র দরখাস্ত মন্জুর হতে চলেছে ।

অন্তিকে যেদিন ক্লিনিকে নেওয়া হয় তার কিছুদিন আগে অন্তি রেবাদের বাড়ি থেকে একটা দোপাটি ফুলের প্রায় কুঁড়ি আসা চারা এনে ঘরের কোনায় লাগিয়েছিল। ১২ দিন পর চারাটা তরতরিয়ে উঠেছিল। অন্তিকে ক্লিনিকে আনার ৪ দিন পরেই চারাটার দু'টো কুঁড়ি বেরিয়েছিল। ১১ দিনের দিন ৯ টা। ১৩ দিনের মাথায় ৫৩'র লোন স্যাংশন হলো,অথচ ৫৩'কে বলা হয়নি অন্তির অবস্থা ক্রমেই খারাপ হচ্ছিল। ওর বউ বলেনি। সে দেখেছে লোকটা সারাদিন ঘোরাঘুরি করে হাঁপিয়ে ঘেমে নেয়ে হাসপাতালে আসে । এসেই মেয়েটার পাসে বসে নিশ্পলক তাকিয়ে থাকে । যেদিন, সম্ভবত ৫ দিনের দিন ডাক্তার রেগেমেগে বলল-"কেস খুবই সিরিয়াস,আপনারা বুঝতে পারছেন
না,ইমিডিয়েটলি ওর রক্ত পানি করে দেওয়া গ্লান্ড আর সিড্সগুলো রিপ্লেস না করা হলে ওকে বাঁচানো যাবে না, আপনারা টাকা ম্যানেজ না করতে পারলে উই উড বি সে....'সরি '।"

অন্তির মা প্রতিদিন বাড়ি থেকে বেরুনো আগে দেখত দোপাটি গাছে আরো কুঁড়ি বেরিয়েছে,কযেকটা ফুলও ফুটেছে । ওর বিশ্বাস ছিল গাছটা যেভাবে বেঁচেছে,কুঁড়ি ধরেছে,ফুল ফুটেছে তেমনি ওদের অন্তিও.............এই বিশ্বাসটা বুকের খুব ভেতরে জায়গা করে নিয়েছিল । হঠাৎ ১৩ দিনের দিন অন্তি মা'কে জিজ্ঞস করেছিল..'মা দোপাটি ফুটেছে ?'মা অন্তির মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিল-'হ্যাঁ মা টকটকে লাল ফুল ফুটেছ,বাড়ি যেয়ে দেখিস কেমন সুন্দর লাগে গাছটা '। একটা শুকনো হাঁসি অন্তির মুখে ফুটেই আবার মিলিয়ে গিয়েছিল ।

১৪ তম দিন দুপুরে ৫৩ দেড় লাখ টাকার চেকটা ভাঙিয়ে বাসে না উঠে ট্যাক্সি নিয়ে সোজা চলে এসেছিল হাসপাতালে । তারপর কী হয়েছিল আমরা জানি না,তবে পরে জানা গেছে অন্তির মা বাড়ি ফিরে সেই দোপাটি ফুলের গাছটা টান দিয়ে তুলে সেখানেই বসে দু'হাতে মাটি খামচে ধরেছিল ।
  • ৫৬ টি মন্তব্য
  • ৪৪৭ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ১২ জনের ভাল লেগেছে
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: হুমম।তারপর ? ধন্যবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০৭
লেখক বলেছেন: ঠিকাসে।আপনাকে সাধুবাদ।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০৯
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নূরী-মুনিরার পতিপ্রবর।
৪. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:০৪
পারভেজ বলেছেন: চমৎকার!!! লেখার ভেতর একটু কয়েক দশক আগের ছায়া পাওয়া যায়। হয়তো এইজন্য আরো বেশী ভালো লেগেছে!
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১০
লেখক বলেছেন:
ভাললাগার জন্য অকৃপণ শুভকামনা।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১২
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ পড়ার জন্য।
৬. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১৫
শান্তির দেবদূত বলেছেন: খুব ভালো লাগলো স্টাইলটা !! কোথায় যেন একটা মিল খুজে পেলাম ..... অনেক ভেবে মনে হলো , "বিমল কর" - কঁড়ি দিয়ে কিনলাম এর কথা মনে হলো ......

জানি না কেন ঐ উপন্যাসটার কথায় মনে হলো, তবে বেশ ভালো লেগেছে এইটা পরিস্কার বুঝতে পেরেছি ....... ধন্যবাদ :)
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২০
লেখক বলেছেন: মহা ঝামেলায় ফেলে দিলেন।আমি তো 'বিমল কর' পড়িইনি !
এটা একটা গোঁজামিল গোছের স্টাইল বলতে পারেন।

ধন্যবাদ।
৭. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১৫
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২১
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।
৮. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:১৯
আহমেদ হেলাল ছোটন বলেছেন: ভালো লাগল।
স্টাইলটা পছন্দ হয়েছে- আপনার পুরোনো পোস্টগুলো খুলছি।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২৩
লেখক বলেছেন: এই যাহ:
পুরোনো পোস্টে তো কিছুই নেই ! সবে গতকাল ফ্রন্টপেজে এ্যাক্সেস পেলাম।
৯. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:২৮
শান্তির দেবদূত বলেছেন: বিমল কর - পড়েন নি ? মাই গড !!

আমি যখন "কঁড়ি দিয়ে কিনলাম" পড়েছি, বিশ্বাস করেন পাঁচশর উপরে পাতা আমি ৩ দিনে শেষ করেছি :) .....

আমি পুরা অন্য জগতে ছিলাম, প্রতি মূহুর্তে মনে হয়েছে, আরে এই চরিত্রটা তো পুরা আমি !! ৬০/৭০ বছর আগের বই তবুও মনে হবে বর্তমানকে চিত্রায়িত করে হয়েছে , এতই জীবন্ত !!!!!! সময় পেলে পড়ে নিয়েন।

আর আমিও দুই একটা গল্প লিখেছি (আল্লায় জানে কি হইছে :(( ) পড়লে খুশি হবো :)
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৮
লেখক বলেছেন:
নারে ভাই আর সময় নেই। গাব্দাগোব্দা বই দেখলেই আজকাল ভয় লাগে! বরং ছোটখাট নভলেট হলে একটানে মেরে দেওয়া যায়।
১০. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩১
আহমেদ হেলাল ছোটন বলেছেন: হ্যাঁ।
পুরোনো দুটি পোস্টে তেমন কিছু পেলাম না - তবে আশা করি সামনের পোস্টে পাবো।
ভালো থাকুন।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৬
লেখক বলেছেন: চেষ্টা থাকবে নিরন্তর।
ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।
১১. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৩৫
পারভেজ বলেছেন: লেখার ঢং এ "নরেণ্দ্রনাথ মিত্রের" একটা ধাঁচ পেলাম। যাকে ছোট গল্পের সবচেয়ে শক্তিশালী লেখক ধরা হতো এমনকি রবী ঠাকুরের আমলেও!! যদিও আমার ধারণা, আপনি উনার কোন গল্প পড়েননি।
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫১
লেখক বলেছেন:
আপনার ধারণা ঠিক,পুরোটা নয়। নরেণ্দ্রনাথের গল্প পড়েছি,বেশি নয়।নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায় আমার প্রিয়দের ভেতর একজন।এই এন্টি গল্পের কাঠামোগুলোতে মাঝে মাঝেই এর ওর ছায়া আসবে,তবে ঠিক কার সেটা মেলাতে গেলে খটকা লাগতে পারে।
১২. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫২
এরশাদ বাদশা বলেছেন: শুরুর স্টাইলটা অন্যরকম লাগলো। আপাতত বুকমার্ক; ধীরেসুস্থে পড়বো। আপাতত লগআউট।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:০০
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ এতখানি মনযোগ আকর্ষিত হওয়ায়।
১৩. ২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৪
একরামুল হক শামীম বলেছেন: গল্পটা ভালো লাগছে।

অফটপিক : আপনিই কি অ্যা লিটল ফাইটার স্লিপিং উইথ আর্মস খ্যাত সেই মনজুরুল হক?
২৬ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
লেখক বলেছেন:
'খ্যাত' নই ভাই।খুবই সাধারণ মানুষ।হ্যাঁ,ঠিক ধরেছেন।
১৪. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:১১
একরামুল হক শামীম বলেছেন: আপনার মেইল অ্যাড্রেসটা কি আমি পেতে পারি?

একটা রাত জেগেছিলাম আপনার লেখার কিছু অংশ পরে। আপনার সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারলে ভালো লাগবে।

Click This Link
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪১
লেখক বলেছেন: monjuraul@yahoo.com

প্রিয় শামীম,
এ কোন বাঁধনে বাঁধলেন।আপনি যেভাবে যতটা হৃদয়গ্রাহী করে লিখেছিলেন সেভাবে বোধকরি আমিও পারতাম না।তখন পড়লে কী হতো জানিনা।তবে এখন পড়ে কান্না পাচ্ছে।মনে হচ্ছে দূরে কোথাও গিয়ে যদি চিৎকার করে কেঁদে আসতে পারতাম............................
১৫. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:১৭
আহসান হাবিব শিমুল বলেছেন: সচলায়তনে আপনার এন্টি গল্প সিরিজে বেশ কয়েকটা গল্প পড়েছিলাম।একটাতে মনে হয় মন্তব্যও করেছিলাম।

এইটা পড়া হয়নি।এই গল্পটা কি সচলে দিয়েছিলেন।

গল্প সম্পর্কে কি বলব?আপনি তো ভূমিকাতেই বলে দিয়েছেন কেমন হবে গল্পের প্রকৃতি;হাসান আজিজুল হকের ভাষায় যাকে বলে " সোশ্যাল রিপোর্টং"।কেতাবী ভাষায় যেমন বলে মান,কাঠামো,গদ্য প্রভৃতির ব্যাতায় ঘটেনি,আমার মনে হয়েছে।যদিও আমি এইসব তেমন বুঝি না।

সা,হো,ইন-এ স্বাগতম।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৬
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ,দিয়েছিলাম।

ভিন্ন ভিন্ন এন্টি গল্প লিখতে লিখতে একটাকে টেনে নভলেট করতে করতে বন্ধ করে দিয়েছি।কেন? জানিনা।

জানেন না কী বলছেন?দু'লাইনে গদ্য নিয়ে দুর্দান্ত বলেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
১৬. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৩
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৯
লেখক বলেছেন:
তাও ভাল বেশি নাড়া লাগেনি !
ধন্যবাদ।
১৭. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৪৮
একরামুল হক শামীম বলেছেন: ভালো থাকবেন আপনি। আপনার সঙ্গে একদিন দেখা করতে পারলে খুব ভালো লাগবে আমার।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:৫৪
লেখক বলেছেন: মেইলে আমরা একদিন সময় ঠিক করে নেব। আমারও খুব ভাল লাগবে
আপনার সঙ্গ পেতে।

ভাল থাকবেন আপনিও।
শুভকামনা।
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১:০৯
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ ফারহান দাউদ।
১৯. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ২:০০
কথামালা বলেছেন:





মাসাল্লাহ ভাল ।

ভরসা করে কিছু কথা কইবার চাই
কেউ ব্যক্তিগত ভাবে না নিয়ে চিন্তাগত ভাবে নিবেন আশা রাখি

সময়
সমাজ
সমাজের নানান প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বেড়ে উঠা মানুষ
এবং তাঁদের মুনাফেকি অবস্থান
টাকার অভাবে চিকিৎসার অভাব
সবই ঠিক আছে......
সু হোয়াট


আপনি কেঠা যে কথা কইতাছেন
কোন রঙ এর মাটির উপর খাড়াইয়া কথা কইতাছেন
আপনার বাসনার রঙ কেমন



প্রাজ্ঞ দর্শক কিংবা বুদ্ধিজীবির মত বয়ানই কি শুধু চলবে

পয়েন্ট অব রেফারেন্স কই

মজাপাইলাম শুধু আপনার গল্প পড়ে নয়
মধ্যবিত্ত পাঠকের চিন্তায় এবং প্রশংসার বুলিতে আদি বাবদের পাপ (হীনমন্নতা) দেখেও



তারপর কী হয়েছিল
অথবা কি হবে আমরা জানি

আমরা জানি আপনার মত মধ্যবিত্ত চিন্তার লেখক এবং পাঠকের বকবকানি চলবে
চলবে নানান রূপে উপস্থাপিত এই মধ্যবিত্ত মরিচিকাময় চিত্তের
রঙ লাল শোষণ ছেঁড়ার নামে
প্রতিক্রিয়াশীল বয়ান এবং এরূপ চক্রের বাহ্ বাহ্ দেয়া নেয়া

আর ওদিকে লড়াই চলবে
ইরাকআফগানফিলিস্তিন
সহ মাঠে ময়দানে

আপনি কিংবা আপনারা হয় তা না দেখার ভান করবেন কিংবা বলবেন ইহা প্রতিক্রিয়াশীলদের লড়াই

জয় বাবা জর্জ বুশ
কিংবা
ভড়জোড় বুশ একজন আধিপত্যবাদী বলে গলাগালি




সাম্য চেতনায় উদ্বুত ইনসাফের লড়াই দুনিয়াময় চলছে চলবে

জয় মেহনতী মানুষের

সবাইকে বর্ণহীন সালাম






২০. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ৩:১৩
পি মুন্সী বলেছেন: পেটি-বুর্জোয়ার গল্পের চেয়ে 'কথামালা' র কথাগুলো অমৃত সমান।
বর্ণহীন সালাম!
২১. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৪:৫৪
নুশেরা বলেছেন: আপনার সবগুলো এন্টিগল্পই মন্ত্রমুগ্ধের মতো পড়েছি। এখানে আরো অনেক বেশী পাঠকের মাঝে সেগুলো সমাদৃত হোক। ভাল থাকুন।
(কন্যা এখন কেমন আছে?)
২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ বিকাল ৪:০২
লেখক বলেছেন: শুভকামনা আপনার জন্য।
হ্যাঁ, জায়গাটা টাফ।

নাহ,কন্যা ভাল ছিল না। আপনাদের সকলের শত শুভকামনার পর সেরে উঠে আবারো অসুখে পড়েছিল।১৪দিন টাইফয়েডের পর ৪দিন গ্যাপ দিয়ে ডেঙ্গুজ্বর! ৮দিন হাসপাতালে যুদ্ধ করে কাল বাড়ি ফিরেছে।৯দিন পর কাল লিখতে পেরেছি।

আপনি ভাল থাকবেন।
২২. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৬:১০
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৫
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ কাঁকন।
ভাল থাকবেন।
২৩. ২৭ শে আগস্ট, ২০০৮ সকাল ৭:৫০
২৯ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১১:৫৬
লেখক বলেছেন: অজস্র ধন্যবাদ।
২৪. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ ভোর ৪:৫১
শফিউল আলম ইমন বলেছেন: লেখাটি গতকাল পড়েছি। মন্তব্য করা হয় নি।
আপনার লেখা যত পড়ছি মুগ্ধ হচ্ছি। স্টাইলটা খুবই ভালো লাগছে। লেখার শুরুতে যে ডিসক্লেইমার দিয়েছেন তার অনেক কিছু কিন্তু লেখাটিতে পেয়েছি। চমৎকারিত্ব, আদিরস, এক্সপেরিমেন্ট সবই তো ছিলো।
পরেরটার অপেক্ষায় আছি।
ভালো থাকুন।
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:০১
লেখক বলেছেন: কৃতজ্ঞ আপনার প্রতি।

এই চেন্জড স্টাইলের জন্য 'এন্টি গল্প'।ন্যারেটিভগুলো প্রচলিত মতেই, তবে বলার এবং শোনানোর স্টাইলটা আলাদা করা চেষ্টা করি আরকি.........
ভাল থাকুন।
২৫. ২৮ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১০:১০
এরশাদ বাদশা বলেছেন: তারমানে অন্তির অন্ত?

অসাধারন একটা গল্প। ভাষা, বর্ণনা, গল্পের সহজবোধ্যতা সবকিছু মিলিয়ে- দারূন!! শেষটা যেরকম বাস্তবমুখী হওয়া দরকার সেরকমই হয়েছে।

কেরানী শব্দটার মধ্যে কেমন যেন হতভাগা হতভাগা ভাব আছে তাই না মনজুর ভাই?

++
৩০ শে আগস্ট, ২০০৮ রাত ১২:০৩
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ,এই হতভাগারাই যুগ যুগ ধরে বাঙালি সমাজ নির্মাণ করে চলেছে,অথচ এ্যাচিভমেন্ট শূণ্য।

আপনার মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
২৬. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৫
নিঝুম মজুমদার বলেছেন: মঞ্জু ভাই, আপনি মুক্তিযোদ্ধা??? আহা... সচলে কত ঝগড়াইনা আপনার সাথে করেছি । আপনি আমার কাছে এখন অনেক অনেক বড় শ্রদ্ধার মানুষ।
২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ১২:১৫
লেখক বলেছেন: পরম পাওয়া................
২৭. ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ২:০৮
০৬ ই মে, ২০০৯ রাত ২:২৮
লেখক বলেছেন:

নিঝুম আজ এত দিন পরে.... ভাল আছেন তো ? আপনাকে লগইন দেখে লিখলাম।
২৮. ০৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ১:২০
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: লেখাটা পড়তে এসে শামীমের লেখাটাও পড়ে ফেললাম....আপনার লাইফটাকে ভিজুয়ালাইজ করার চেষ্টা করছি।।।

গল্প প্রসঙ্গ বলি: কলেবর ছোট হলেও গল্পের অন্তর্নিহিত বক্তব্যটা পাঠক মনকে নাড়া দেয়ার জন্য যথেষ্ট, বিশেষ করে শেষ লাইনের কনট্রাস্টটা দারুণ লাগল।।।
০৭ ই জুলাই, ২০০৯ রাত ২:০০
লেখক বলেছেন:
ভাইরে আমার আবার লাইফ, তার আবার ভিজ্যুয়ালাইজ!

রক্তাক্ত ক্ষতবিক্ষত শৈশব,তাড়া খেয়ে পালিয়ে বেড়ানো কৈশোর আর যৌবন! আর এখন মধ্যবয়সে সিদ্ধান্তহীনতায় বিমূঢ়! গল্প বলতে পারা মানুষটা নিরস কাঠকোট্টা কলাম লেখে। সবকিছু দুমড়ে-মুচড়ে পাল্টে দেওয়ার প্রতিজ্ঞা কেন মরে যায়, সেই অব্যক্ত যন্ত্রণায় গোঁঙায়........

ভাল লাগল এত দিন বাদে এই গল্পের পাঠক পেয়ে। আপনার ব্লগে শুধু নয়, অনেকেরই ব্লগে যাওয়ার সময় হয়না! এ জন্য কিছু মনে করবেন না যেন। শুভেচ্ছা।
২৯. ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ বিকাল ৪:০৮
ত্রিশোনকু বলেছেন: নিটোল সুন্দর ছোট গল্প। উইলিয়াম সমারসেট মমের কথা মনে পড়ে গেল।
২৭ শে সেপ্টেম্বর, ২০০৯ রাত ১:২৫
লেখক বলেছেন:
কোথায় মম আর কোথায় মন !!!

কোন মন্তব্য নেই: