১৭ ফেব, ২০১১

ভীতু কাপুরুষ আলখেল্লা গায়ে যে কবিতার তার জন্মই আজন্ম পাপ!!

১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:০০

ভীতু কাপুরুষ আলখেল্লা গায়ে যে কবিতার
তার জন্মই আজন্ম পাপ
ভয়ার্ত মানুষের পাশ থেকে সরে যায় যে
কবিতা তার মৃত্যুই ভাল

জুবুথুবু মানুষ শীতজলে ভেজা কাকের পাশে
যে কবিতা আগুন হয়ে জ্বলে না
সে কবিতা নিক্ষিপ্ত হোক ডাস্টবিনে
কাঙ্গাল ভিখিরির হাতে যে কবিতা পয়সা
ছুঁড়ে দেয় সে কবিতা নয়।

শহীদের রক্ত মাখা সার্ট যে কবিতা চেনেনা
তার চোখ অন্ধ হয়ে যাক
উদোম গতরের কৃষানি দেখে যে কবিতা
কামভাবে ব্রত তাকে আমি ঘৃণা করি।

রাজপথে মৃত লাশ দেখে যে কবিতা কাঁদেনা
তাকে আমি পদাঘাত করি
ধর্ষিতা নারীর শরীরী শোভা দেখে যে কবিতা
তাকে আমি জ্যান্ত কবর দেই।

ফুটপাথে নগ্ন কিশোর কে গরম কাপড় দিতে
পারে না যে কবিতা তাকে উলঙ্গ করা হোক
প্রেম কে বিকৃত কামে সাজায় যে কবিতা
তার পশ্চাদ্দেশে লাথি মারি।

কত টুকু জমি চাষ করে কত দিন বাঁচে মানুষ
সে কথা যে কবিতা বলে না তার মুখে ঘৃণার থুথু
যে কবিতা মানুষ কে ভাগ করে দেশ জাতি ধর্মে
তার মুখে নির্বিকার পেচ্ছাপ করি।

সকল শোষণ বঞ্চনা শ্রেণীপিড়ন অনাচার অবিচার
মুখে মেখে যে কবিতা পুনর্জন্ম নেয় সাধু হয়ে
তকমা ঝোলায় তার শ্রীচন্দন মুখে লাথি মারি.....
নির্বিকার লাত্থি মারি....সমবেত মিছিল লাত্থি মারি.....




কবিতা বিষয়ে এই হলো আমার কথা। ভাল লাগতেই হবে এমন দিব্যি নেই......

লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): আজন্ম পাপ ;
প্রকাশ করা হয়েছে: কবিতা  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩৯


  • ২০ টি মন্তব্য
  • ২২৮ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ৫ জনের ভাল লেগেছে
১. ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:০৩
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:২২
লেখক বলেছেন:
নাহ্ , এক আদি এবং অকৃত্তিম মনজুরুল হক
২. ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:১০
পলাশমিঞা বলেছেন: কবিতাতো জবরদস্ত হয়েছিল!!!

কেন বললাম বলবেন।

আমি কিন্তু পীরিতির কবিতা বেশী লেখি। অন্যগুলা কেউ পড়তে চায়না তাই দেইনা।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৪৭
লেখক বলেছেন:
আমিও এইডি পারি, তয় লিখিনা, কারণ কবিতা দিয়ে পিরিতি হয়না তা আঠারোতেই বুঝেছিলাম..........
৩. ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:১১
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১২:৫৯
লেখক বলেছেন: সাফ জানিয়ে যাওয়া অন্যতম ব্যাপার।
৪. ১৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:৩৭
বিবর্ণ বলেছেন: পলাশমিঞা বলেছেন:
আমি কিন্তু পীরিতির কবিতা বেশী লেখি। অন্যগুলা কেউ পড়তে চায়না তাই দেইনা।


হৃহৃহৃহৃহৃ........
০২ রা এপ্রিল, ২০০৯ রাত ২:৫৭
লেখক বলেছেন:
পীরিতি শব্দটা শুনলেই কেমন যেন অশ্লীল আর দুর্গন্ধযুক্ত মনে হয়, কিসসু করার নেই!
৫. ২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১:০৩
কালপুরুষ বলেছেন: বিপ্লবী চেতনার আড়লে ঘৃণাভরা শব্দে মোড়ানো কঠিন এক কবিতা! ভাল লাগলো।
২৭ শে মার্চ, ২০০৯ রাত ১:১২
লেখক বলেছেন:
এটা ড্রাফটে ছিল দাদা! অনেক দিন পর বের করলাম। ভাল লেগেছে জেনে আনন্দ পেলাম। ধন্যবাদ দাদা।
৮. ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৪:৫০
তনুজা বলেছেন: সকল শোষণ বঞ্চনা শ্রেণীপিড়ন অনাচার অবিচার
মুখে মেখে যে কবিতা পুনর্জন্ম নেয় সাধু হয়ে
তকমা ঝোলায় তার শ্রীচন্দন মুখে লাথি মারি.....
নির্বিকার লাত্থি মারি..

আজ পড়লাম
খুব সুন্দর তবে কেন যেন নিজের মত এডিট করে পড়তে বেশি ভাল লাগল

প্রথম প্যারাটা বলি যেমন পড়লাম (রাগ করবেন না জানি )

ভীতু কাপুরুষ আলখেল্লা গায়ে যে কবিতার ---
জন্মই তার আজন্ম পাপ
ভয়ার্ত মানুষের পাশ থেকে সরে গেলে
কবিতার মৃত্যুই ভাল।



১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১৫
লেখক বলেছেন:
অসঙ্গতিটুকু ধরে ফেলেছেন!
এটা প্রথমে যা ছিল সেটিকে খানিকটা এডিট করে অনেক পরে ড্রাফ্ট থেকে বার করেছিলাম। এডিট করা হয়েছিল বেশ কিছু ক্যাওড়ামি। কিছুটা সুশীল রূপ ফেরানোও হয়েছিল।

আপনার বলা প্যারাটি আমারচে' সুন্দর। নাহ রাগ তো নয়ই, বরং কৃতজ্ঞ হলাম।

আমার বদভ্যস হলো এডিট বা প্রুফ না করা। যখন কাগজে লিখতাম তখনতো একেবারেই না। এখন কম্পুতে কিছুটা সংশোধন করতে পারি। তবে আমার পছন্দের লেখা সবই কাগজে লেখা। সেসবের মাত্র দুয়েকটিই ব্লগে এসেছে।কোন প্রকার ছেদ ছাড়াই আমি টানা লিখে যাই। লেখা শুরু করার আগে তিন-চার দিন ধরে ভাবি, কিন্তু শুরু করলে ব্রেকহীন ট্রেন......লেখার মাঝপথে থেমে গেছে, এমন লেখা আর শেষ করি না। ছিঁড়ে ফেলি!

আজ অনেক এলেবেলে কথা বলে ফেল্লাম।
৯. ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:১৮
ভালো-মানুষ বলেছেন: শেষের ইটালিক ফরম্যাটের লাইনটিও কবিতার সাথে বেশ মানিয়ে যেত। আবৃত্তির ঢঙে পড়লাম। ভালো লাগল। ধন্যবাদ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৪২
লেখক বলেছেন:
ইটালিক ফরম্যাটটা আমার পছন্দের তালিকায় ওপরে অবস্থান করে। অচেনা বলে ব্যবহার করি না। আপনিই প্রথম ব্যাপারটার প্রশংসা করলেন।

শুভকামনা।
১০. ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:২৫
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৪৩
লেখক বলেছেন:
হাঃহাঃহাঃ খারেজি, দিব্যি না দিলেও বিশ্বস করতাম!
১১. ১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৫:৫২
একলব্যের পুনর্জন্ম বলেছেন: কবিতাটা ভালোই লেগেছে.....শকিং ইনস্পারেশন আছে।

কিন্তু যে মেসেজটা....

সব কবিতা স্লোগান হয়ে গেলে ভালো লাগবে বলে মনে হয় না।আর কবিতায় সময় এর ছাপ টাও অনেক প্রভাব ফেলে।বনলতা সেন প্রেমের কবিতা.....নিখাদ প্রেম...একে কি শুধু প্রেমের কবিতা এই দায় এ দন্ড দিলে সাহিত্য এর জন্য কোনো সুখবর হবে?কবিতায় ব্যক্তি আনন্দ আসতেই পারে.....সমাজ যেন বাদ না যায় সেটাই বড় কথা,তাই বলে সমাজ কে আনতে গিয়ে কবিতা আর পোস্টার এর মধ্যে পার্থক্য না করতে পারলে সমাজ ও যাবে....সাহিত্যও।ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে সমাজ না...

একান্তই নিজের মত।

ভালো থাকুন।শুভ নববর্ষ।
১৮ ই এপ্রিল, ২০০৯ ভোর ৬:০৩
লেখক বলেছেন:
আপনার মতের সাথে অনেকাংশেই একমত আমি। তবে আমাদের এখানে সত্তরের দশকের পর সমাজ-রাজনীতির প্রাকটিসটা এত কম হয়েছে যে, পোস্টার থেকে আলাদা করতে গিয়ে কবিতা আর কবিতা থাকেনি(সামগ্রীকতা হারিয়েছে, ব্যক্তিকেন্দ্রীকতা প্রাধান্যে এনেছে)। তা হয়ে উঠেছে চরম আধুনিকতার নামে, এক্সপেরিমেন্টের নামে একধরণের ভ্রষ্টাচার, বিকৃত যৌনাচার।

শুভ নববর্ষ। আপনিও ভাল থাকুন।

কোন মন্তব্য নেই: