১৭ ফেব, ২০১১

অপারেশন ডে-ব্রেক >বিশ্বযুদ্ধের হারিয়ে যাওয়া গল্পমালা-১ >



১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫৩

বার্লিন সীমান্তঘেসা স্কাসিন শহরটা পোল্যান্ডের একেবারে পশ্চিমে।সেই শহর থেকে আরো পশ্চিমে ছোট্ট একটা উপশহর।হিটলারের নাজি বাহিনী তখন পোল্যান্ডে পুরোটাই দখল করে নিয়েছে।স্টালিনের রেডগার্ড তখনো স্টালিনগ্রাড ছেড়ে পশ্চিমে আসেনি।হিটলারের বাহিনী দোর্দন্ড প্রতাপে ইউক্রেনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।এই সময়টাতে পোল্যান্ডের ওই ছোট ছোট শহর আর গ্রামগুলোয় খন্ড খন্ড প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল সাধারণ নাগরিকেরা।সেই রকমই এক প্রতিরোধ বাহিনীর নেতৃত্ব দিচ্ছিল রুশভ আর নিকভ।আপন দুই ভাই।সৈন্যদের কাছ থেকে পাওয়া কিছু পিস্তল,গ্রেনেড আর গোটা দুই কারবাইন দিয়েই তাদের ক্ষুদে বাহিনী সজ্জিত হয়েছিল।

হিটলার বাহিনীর কনভয়ের উপর অতর্কীতে আক্রমন করা,দলছুট জার্মান সৈন্যদের গোপনে হামলা করা,সরাইখানায় কিংবা হোটেল-রেস্তোরায় ঝড়ের বেগে ঢুকে গ্রেনেড মেরে পালিয়ে যাওয়া...এরকমই ছিল তাদের গেরিলা যুদ্ধ।ওদের দলের যোদ্ধাদের প্রায় সকলেরই বয়স কুড়ির নীচে। মোট সদস্য সংখ্যা কত সেটাও প্রতিদিনকার গণনায় ঠিক থাকত না।কেউ মারা গেলে বাড়িতেও জানানো হত না। নিজেরাই লাশ কবর দিয়ে দিত। যদিও অধিকাংশ সময় সাথীদের লাশ পেত না ওরা।

শীতের শুরুতে রুশভ ঠিক করল,এবার বড় ধরণের অপারেশন করতে হবে,কেননা বেশ কয়েকটা গেরিলা অপারেশন করে ওদের সাহস এবং মনোবল বেড়ে গেছিল। রুশভ চিন্তাভাবনা করে নিত্যনতুন কৌশল বের করত,তারপর টিম মিটিং করে অপারেশনে নেমে পড়ত।এবারকার মিটিংয়ে কেউ কেউ অবশ্য বলেছিল-স্কাসিনের জার্মান গ্যারিসনে ঠিক এই মুহূর্তে হামলা করা ঠিক হবে না।কিন্তু রুশভ অনড়। শেষমেশ হামলার দিনক্ষণ ঠিক হল।

নিদৃষ্ট দিনে গোটা দলটা দুইভাগ করে শুরু হলো অপারেশন ডে-ব্রেক।গ্যারিসনের ছয়-সাতশ’ গজ দূরে একটা পরিত্যাক্ত বাঙ্কারে আশ্রয় নিল রুশভ আর নিকভের টিম। উল্টো দিকের রাস্তার ঢালে অপেক্ষায় থাকল আর একটা টিম।প্ল্যান ছিল ওই বাঙ্কার থেকে সুড়ঙ্গ কেটে একেবারে গ্যারিসনের নিচে চলে যেতে হবে।তারপর গ্যারিসনের আর্মার ঘরটার নিচে দুটো মাইন রেখে আসতে হবে।মাইনের ব্যবহার জানত না ওরা,শুধু শুনেছিল-মাইন থেকে দুটো তার বের করে এনে ব্যাটারি দিয়ে ফাটাতে হয়।সারা রাত মাটি খুঁড়ে একটু একটু করে এগোয়,আর দিন হলে মাটিতে শুয়ে ঘুমিয়ে নেয়। অন্য টিমও সারা রাত পাহারা দেয়,আর দিন হওয়ার আগেই পালিয়ে যায়।

আর মাত্র একদিন খুঁড়লেই আর্মারের নাগাল পাবে!যত সময় যাচ্ছে তত ওদের আতংক আর উত্তেজনা বেড়ে যাচ্ছে।যেদিন প্রায় কাজটা শেষ হতে চলেছে, সেদিনই দুজন জার্মান সৈন্য বাঙ্কারের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় মাটি খোঁড়ার শব্দ পেল।পাথরে লেগেছিল গাইতি,তাতেই শব্দ।

কিছুক্ষণের মধ্যেই সাজোয়া যান সহ সৈন্যদের গোটা ট্রুপ ঘিরে ফেলল ওদের। বাঙ্কারের মুখে দাঁড়িয়ে টানা মেশিনগানের গুলি।প্রথম চোটেই পাঁচ-ছ’জনের মুত্যু হলো।বাকিরা প্রাণ বাঁচাতে হাত তুলে বেরিয়ে এলো।সৈন্যরা ওদের নিয়ে চলেই যাচ্ছিল,হঠাৎ ওদের একজনের মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল.....রুশভ !সৈন্যরা একে অপরের মুখ চাওয়া চায়ি করে তিন জন কে নিচে পাঠাতেই কারবাইনের ম্যাগজিন খালি করে ফেলল রুশভ।মৃত্যু হলো তিন জার্মানের।নিকভ চিৎকার করে বলল..আমাদের কাছে মাইন আছে,কাছে আসলেই ফাটিয়ে দেব.....

ধরা পড়া ছেলেগুলোকে সার দিয়ে দাঁড় করিয়ে খুব ফরমাল কায়দায় গুলি করা হলো।কয়েক জন কে রেখে গাড়ি ফিরে গেল গ্যারিসনে।লাশগুলো পড়ে থাকল বাঁকাচোরা ভঙ্গিতে।কমান্ডিং অফিসার অনেক ভেবে চিন্তে কৌশল ঠিক করল।বাঙ্কারের ভিতর গ্রেনেড ছোঁড়া যাবে না।তাতে বিস্ফোরণে আর্মারেও বিস্ফোরণ ঘটে যাবে। তাই ঠিক করা হলো বাঙ্কারে পানি ঢালা হবে।ঘন্টাখানেকের মধ্যে পানির গাড়ি এনে পানি ঢালা শুরু হলো।বাঙ্কারের শেষ মাথায় দুই ভাই।পানি বাড়ছে.....পা-হাঁটু-কোমর-বুক----পানি বাড়ছে----গলা অব্দি উঠে এলো পানি।রুশভ-নিকভ একে অপরের দিকে নিঃস্পলক তাকিয়ে আছে।চোখে সামান্যতম ভয় বা আতংক নেই!কারবাইনের গুলি শেষ! সম্বল শুধু দুটো পিস্তল আর মাইনটা।পানি যখন মুখ স্পর্শ করল,রুশভ শান্ত গলায় বলল-'নিকভ তুই আমায় গুলি কর!' নিকভ পাথরের মত নিশ্চুপ!চিৎকার,ধমক দিয়েও নিকভকে রাজি করানো গেল না।অবশেষে রুশভ ভাইকে আলিঙ্গন করে নিজের পিস্তল তার কপালে ঠেকাল ! বলল,এবার তোরটা আমার মাথায় ঠেকা,---সময় নেই---ধরা দেব না কিছুতেই...পানিতে খাবি খেয়ে মরার চেয়ে এই-ই ভাল না ভাই ?এবার শান্ত ছেলের মত নিকভ তার পিস্তলটাও রুশভের কপালে ঠেকাল----পানি বেড়ে চিবুক ছুঁলো----তারপর ঠোঁট---নাক স্পর্শ করার সাথে সাথে দুটো পিস্তল থেকে এক সাথে দুটো গুলি বেরিয়ে গেল...........



প্রকাশ করা হয়েছে: মুক্তিযুদ্ধ  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৩০


  • ২৩ টি মন্তব্য
  • ৩৮০ বার পঠিত,
Send to your friend Print
পোস্টটি ৮ জনের ভাল লেগেছে
১. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩৪
২. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৫১
৩. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ সকাল ৯:৫০
~টক্স~ বলেছেন: সচলে তেমন দেখিনা কেন আজকাল ?
বিশ্বযুদ্ধের গল্পে আমার উৎসাহ বেশ পুরানো।
এটাও ভাল লাগছে তাই পড়তে।
১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:১৩
লেখক বলেছেন: সাধারণত এই সময়ে আমি পিসির কাছে বসি না।চেখ বুলিয়েই চলে যাচ্ছিলাম।আপনার মন্তব্য আটকে দিল।

বিশ্বযুদ্ধের গল্প হোক বা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের গল্প হোক,আমায় টানে। পৃথিবীর যে কোন প্রান্তের যুদ্ধ মানেই অসহায় মানুষের এড়াতে না পারা হাহাকার! কৈশরে যে কত ওয়ার মুভি দেখেছি.....আজো চোখের সামনে ভাসে 'ব্যাটল অব বার্লিন,''হরনেষ্ট নেস্ট", 'লিবারেশন'
'ফল অব বার্লিন' এর মত ছবি!

মানুষ প্রতিনিয়ত যুদ্ধকে এড়াতে চায়,কিন্তু যুদ্ধ যেন অনিবার্য এই ক্ষমতাদাম্ভিকতার বিশ্বে.....

আমি 'সচল' ছেড়ে চলে এসেছি,সেতো প্রায় দেড় মাস ! সচলের সিলেক্টিভ 'জুতোর' মাপে পা-টাকে মিনিমাইজ করতে পারলাম না।

ধন্যবাদ।
৪. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:১৯
মাহবুব লীলেন বলেছেন:
দুর্দান্ত গল্প
বহুদনি আগে এরকম ছোট মানুষদের বড়ো বিশ্বযুদ্ধ প্রতিরোধ নিয়ে একটা উপন্যাস পড়েছিলাম- ট্যাঙ্গো
লেখক গিওর্গি কারাস লাভোব
(সম্ভবত বুলগেরিয়ান)

থ্যাংকস স্যার
১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৫
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ বুলগেরিয়ান।এই সব লেখকরাও আজকাল আমাদের মননে 'সেকেলে' হয়ে গেছে ! রাউল ভালদেজ ভিভো, জর্জি দিমিত্রভ দের মত লেখকদের পুরোনো উঁইপোকা ধরা বইগুলো আমি পরম যত্নে মুছে রাখি। এ্যালিবাই বলতে পারেন।

এই সিরিজে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের এরকম ছোট ছোট গল্প তুলে আনার ইচ্ছে আছে।

আমি যতবার আনা ফ্রাঙ্কের ডাইরি পড়ি ততবারই অভিভূত হই! একজন ইহুদীর দিনপঞ্জি কিভাবে যেন মিলে যায় ওয়েষ্টব্যাংক আর গাজার ফিলিস্তিন শিশুদের সাথে!
৫. ১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ দুপুর ১২:৪৫
এক্সবিজনেস বলেছেন: একটা প্রাসংগিক প্রশ্নঃ অনেককেই বলতে শোনা যায় যুদ্ধে যে কোন কিছু করা যায় অর্থাৎ জয় টাই আসল । নীতিফিতি কিছুরই বালাই নেই যুদ্ধে এ নিয়ে আপনি কি ভাবেন ? আমি এই ব্যপারটার ঘোর বিরোধী । নীতি থাকা অবশ্যই উচিত বলে আমি মনে করি । নয়ত যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধকালিন সময়ে ঐ জন্তু গুলোর সব জান্তব কার্যকলাপকেও জায়েজ মনে করতে হবে ।
১১ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:৩৬
লেখক বলেছেন: আপনার প্রথম আর শেষ লাইনের বক্তব্য পরশ্পর বিরোধী হয়ে যাওয়ায় সমস্যায় পড়া গেল।

হ্যাঁ,যুদ্ধে জয়টাই আসল। তার পরও প্রচীন সম্মূখ যুদ্ধে দেখা যেত কেউই প্রতিপক্ষকে পেছন থেকে আঘাত করছে না। এটাই নীতি।

জেনেভা কনভেনশন স্বাক্ষর হওয়ার পর কোন বন্দিকেই নির্যাতন বা হত্যা করার নিয়ম নেই।সেইটা ফলো করেই প্রায় ৯৭ হাজার পাকিস্তানী সৈন্যকে দেশে ফিরতে দেওয়া হয়েছিল।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানীরা কোন কনভেনশন অনুসরণ করেনি,কারণ তারা এটাকে মনে করত গৃহযুদ্ধ। সেই তারাই আবার তাদের হাতে আটক(পশ্চিম সীমান্তে)ভারতীয় সৈন্যদের ছেড়ে দিয়েছে !

পাকিস্তানীদের যে কারণে কোন দিন ক্ষমা করা যাবে না, কারণ তারা কনভেনশনাল ওয়ার করেনি। নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়েছে।
২০ শে জানুয়ারি, ২০০৯ রাত ৮:৫২
লেখক বলেছেন: কবে......
৭. ১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৩৮
১২ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:৪৪
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ দেখলাম।বুঝলাম।মানলাম। দিস ইজ সা.ইন নাগরি ভাই...ইয়ে হ্যায় বুম্বাই মেরে জান.....
৮. ১৩ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:১৫
সাংবাদিক বলেছেন:
নতুন গ্রুপ ‌'সাংবাদিক' - মুক্ত মনের প্রতিচ্ছবি

হাটি হাটি পা করে চলতে শুরু করেছে নতুন গ্রুপ 'সাংবাদিক'। সুচিন্তিত , সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ মতামত প্রকাশকারী ব্লগারদের এই গ্রুপে স্বাগতম জানাই। সত্যের পক্ষে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলম চালাতে আমরা দ্বিধাবোধ করি না। আমরা যা দেখি তাই লেখি কারণ আমাদের চোখ সবসময় প্রস্তুত সত্য উদঘাটনে আর আমাদের হাত সব সময় প্রস্তুত সত্য প্রকাশে। তো আর দেরী কেন? যদি হোন সাহসী সাংবাদিক কিংবা লেখক, এক্ষুণিই ঐক্যবদ্ধ হোন আমাদের সাথে। সদস্যপদ গ্রহণ করুন আমরা তো আছিই আপনার সাথে। শুভ হোক আপনাদের প্রতিটি ক্ষণ।
ক্লিক করুন :
http://www.somewhereinblog.net/group/Sangbadik
৯. ১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৩৬
তারার হাসি বলেছেন: আমার খুব ইচ্ছা করছে বদলে দিতে এর শেষ অংশ .........
আরো লিখুন প্লিজ।
১৪ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৪২
লেখক বলেছেন: আমরা যতটা ভাবি,মানুষ তার চেয়েও সৃষ্টিশীল,তার চেয়েও মহৎ।

শত কোটি টাকাও কি পারে দেশের জন্য উৎসর্গীকৃত এমন ক্যাভাসের ছবি আঁকতে !!
১০. ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ ভোর ৪:৪৮
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: আপনি যে শহরের গল্প করলেন । সে শহরটা আমার দু বছরের চেনা ।
এই শহরে আমি দু বছর ধরে আছি ।

যে স্থানে এই কাহিনী হয়েছিলো সেটার নাম খুব সম্ভবত 'দোবড়া'

আমার হল মেইটদের গল্পটা শোনালাম । কেউ কিছু বলতে পারলো না ।

আরো খোঁজ নিবো দেখি ।

আপনি কি কাহিনীটার রেফারেন্স দিতে পারবেন দয়া করে ...


আপনার এ ধরনের আরো লেখার অপেক্ষায় থাকলাম ।

(শহরটার উচ্চারন স্কাসিন না । পোলিশ রা উচ্চারন করে 'স্টেচিন' আর জার্মানরা উচ্চারন করে 'স্টেটিন')
১১. ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ বিকাল ৫:২৭
মনজুরুল হক বলেছেন: এটা কোন মৌলিক গল্প নয়। গল্পের প্লট ,প্রকরণ,চরিত্রদের নাম সবই বানানো। আপনি হল মেইটদের কাছে কিছুই পাবেন না। ১৯৪৮ সালে প্রকাশিত "দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিস্মৃত গল্প (পার্ট ওয়ান)" নামক বই থেকে নেয়া।

গল্পটা আমি চারভাগের একভাগ পরিমানে অনুলিখন দিয়েছি। সংক্ষিপ্ত বা সংকলিত বলতে পারেন।

এরিখ মারিয়া রেমার্ক, বরিস পলেভয়, শেভচেঙ্কো দের এই রকম কিছু কাহিনীর ছায়া অবলম্বনে এ ধরণের গল্পগুলো লেখার ইচ্ছে আছে।

৪ নং কমেন্টের উত্তরে কথাটা বলে এসেছি।
-------------------------------------------------

ধন্যবাদ।
১২. ১৫ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ও আচ্ছা .... বুঝলাম ।

তবে লেখা ভালো লেগেছে ... আরো পড়ার অপেক্ষায় রইলাম
১৬ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:১১
লেখক বলেছেন: থ্যাঙ্কস।
১৩. ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১২:৪৮
১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ১:৫৭
লেখক বলেছেন: কিছু না বুঝেই বোকার মত বলি.....হুমম।
১৪. ১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:০৩
রাতমজুর বলেছেন: ব্রেষ্ত কেল্লার কথাটা মনে পড়লো, কটা বাচ্চা ছেলে শেষ প্রতিরোধ গড়েছিলো।
১৮ ই অক্টোবর, ২০০৮ রাত ২:২১
লেখক বলেছেন: এইরকম একটা ছবির নাম ' হরনেস্ট নেষ্ট ' । আগামী কাল পরলে এটা নিয়ে ২য় পর্ব ধরব।

কোন মন্তব্য নেই: