১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৩৯
কোলকাতায় লেখক মহলে একটা বেশ চালু প্রবাদ এরকমঃ "আজও মানুষ হলো না বাঙালি ! এরা সেই প্রজন্মের মানুষ,যারা সৌরভকে ডিফেন্ড করে না,মিছিলে যায় না,রবীন্দ্রনাথ পড়ে না’।" অর্থাৎ বাঙালি এখন যা-ই করুক তার ভেতর কোন না কোন ভাবে সৌরভ এসে যায়।যে লোকটিকে নিয়ে এই প্রবাদ সেই সৌরভ চন্ডিদাস গাঙ্গুলি ক্রিকেটকে আরো খানিকটা আকর্ষণহীন করে ব্যাট গ্লাভস প্যাড খুলে ফেললেন।প্রতিশ্রুতি মত নাগপুর টেস্টের পরই চিরচেনা মাঠকে বিদায় জানালেন।ড্রপসিন পড়েগেল এক যুগের ক্যারিয়ারে।বাইশ গজের ওই সাদা মত জায়গাটা ছেড়ে আসার সময় রেখে এলেন বিশাল মাপের কীর্তিগাথা আর সহস্র দিনের অম্লমধুর স্মৃতি।
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাস যত দিন পঠিত হবে,ততদিন সৌরভের নাম উচ্চারিত হতে হবে।এই ভেতো বাঙালি বাবুই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সব চেয়ে সফলতম অধিনায়ক।পাকিস্তানের মাটি থেকে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ী অধিনায়ক।উপমহাদেশের বাইরে থেকে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতে আনা অধিনায়ক।এরকম আরো অনেক রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই বাঙালির নাম।ক্রিকেট এরিনায় যখনই সৌরভের নামটা উচ্চারিত হয় তখনই সৌরভ শুধু ভারতের বা পশ্চিম বঙ্গের সৌরভ থাকেন না, হয়ে ওঠেন ২৫ কোটি বাঙালির প্রতিনিধি। আমাদের এই বাংলাদেশও তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। ৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নেয়ার আগে সৌরভই প্রথম বাঙালি যিনি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেছেন। রেকর্ড টেকর্ড নিয়ে বলতে শুরু করলে শেষ হবে না। ক্রিকেট মানেই শত সহস্র রেকর্ড ভরা প্যানডোরার বাক্স।
এমনিতেই এখন আর ক্রিকেট তেমন করে টানে না। শৈশবে রেডিওতে শোনা সেই সময়কার গর্ডন গ্রিনিজ,হেইন্স,ভিভ রিচার্ডস,তারও আগে আলভিন কালিচরণ,জেফ্রি ডুজন,গ্যারি সোবার্স, গাভাস্কার,বিশ্বনাথ মুনসুর আলী খান পতৌদি, একনাথ সোলকার,ডেভিড গাওয়ারদের খেলা আর বর্তমানের মিকিমাউস ওয়ানডে বা কর্পোরেট টি টুয়েন্টিকে আমি আসল ক্রিকেট বলতে রাজি নই। টেস্ট ক্রিকেট ক্রমশঃ দুর্লভ হয়ে নিত্য নতুন ফর্মেটের যে ক্রিকেট শুরু হয়েছে সেখানে রং আছে জৌলুশ আছে চমক আছে কিন্তু ক্রিকেট নেই। যে দিন কপিল দেবের রেকর্ড ভেঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশ অবসরে চলে গেলেন সেদিনই ক্রিকেটের রংধনু থেকে একটি রং খসে পড়ল।এর পর একে একে কার্টলি এ্যামব্রোস,কার্ল হুপার,জিমি এ্যাডামসরা খসে গেলেন।ক্রিকেট একটু একটু করে রং হারাতে থাকল। ওয়াকার-ওয়াসিম চলে যাওয়ার পর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রং অবশিষ্ট!গত বিশ্বকাপে উইন্ডিজ কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় যখন ব্রায়ান চার্লস লারা হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসলেন তখন ক্রিকেট যেন বাই কালারের ফটোগ্রাফ হয়ে উঠল!
শেষ দিকে এসে ক্রিকেট বিশ্বের মাত্র তিনটি ছবিতে মন আটকে থাকত...সৌরভ শচীন আর লারার ব্যাটিং,এবং ওয়াসিম ডোনাল্ড আর ম্যাকগ্রার বোলিং। লারা চলে যাওয়ার পর অনেক দিন ক্রিকেট দেখাই প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।মনে পড়ে যেদিন রাতে লারার অবসরের কথা শুনলাম সেদিন অমিতকে (বর্তমানে সমকালের চিফ নিউজ এডিটর)ফোন করেছিলাম! রাত তখন আড়াইটা-তিনটা হবে! পনের-বিশ মিনিট কথা বলার পর দেখা গেল দুজনই কাঁদছি! সেদিনই প্রথম আবিষ্কার করলাম,এই কালো মানুষটিকে কতটা ভালবাসতাম! আজ সৌরভের বিদায়ের পর মনে হচ্ছে ক্রিকেট তার শেষ রং টুকুও হারাল! ক্রিকেট যেন রংহীন ফ্যাকাসে এক এপিসোর্ড হয়ে গেল!
যখন ক্রিকেট লিখতাম তখন সম্ভবত এই সৌরভকে নিয়ে আমার ৪০/৪৫টা আলাদা পোস্ট ছিল। ওকে নিয়ে গ্রেগ চ্যাপেলের শয়তানীর বিরুদ্ধে এই দেশে বসেও প্রবল প্রতিবাদে লিখতে থাকতাম।মনে পড়ে বাংলাদেশের উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচে গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ষ্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলাম।সাধারণত আমি মাঠে খেলা দেখার পক্ষপাতি নই। ওই দিন শুধু সৌরভকে দেখতে এবং কথা বলতে গিয়েছিলাম।আর একবার কথা বলেছিলাম কোলকাতার প্রখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে গৌতম ঘোষের ফোনে। সৌরভ গৌতমকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে গৌতম প্রশ্ন করেছিল-‘মানুষ সৌরভ কি কোলকাতার সামাজিক খোঁজ-খবর রাখে’? উত্তরে ও বলেছিল-‘না, আমি ক্রিকেটার না হলেও রাখতাম না’! কথাটা শুনতে খুব খারাপ লেগেছিল। পরে গৌতমের ফোনে হেসে দিয়ে বলেছিল-‘আপনারা ভিন দেশে বসেও এটা খেয়াল করেছেন? সরি দাদা, আসলেই ওভাবে বলাটা ঠিক হয়নি'’।তার পর আর কোন দিন কথা হয়নি।শুধু একবার ওই গৌতমের মাধ্যমেই ওকে বলতে বলেছিলাম-ও কিছুতেই শর্টপিচ কে হুক করতে পারছে না,টপএজ হয়ে শর্টলেগে ক্যাচ উঠে যাচ্ছে, ওকে চেস্টগার্ড ফেলে দিতে বলো,ব্যাকফুটে এসে সম্পূর্ণ শরীর যদি ঘোরাতে না পারে তাহলে যেন হুক করতে না যায়।
টিমমেটরা বলত- অফ সাইডে ঈশ্বরের পর সবচেয়ে ভাল শর্ট নেয় দাদা।বিশেষত বিশ্বে যারাই বা-হাতি তাদেরই ব্যাটিং শৈলী ছবির মত। চোখ চেয়ে দেখার মত। জেফ বয়কট একারণেই ওকে নাম দিয়েছিল-‘প্রিন্স অব ক্যালকুট্টা’! এই প্রজন্মে মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানই অমন রূপশৈলীময় ব্যাট করত।ডেভিড গাওয়ার,ব্রায়ান লারা আর সৌরভ। হায় ! সেই ক্রিকেটের শেষ বরপুত্রও চলে গেলেন!
সৌরভের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের সবটুকু তুলে দেয়া যাবে না এই পরিসরে। শুধু এটুকুই বলা যায়ঃ টেস্টে ১১৩ ম্যাচে ৭২১২ রান,সর্বোচ্চ ২৩৯, সেঞ্চুরী ১৬,অর্ধশতক ৩৫ । আর বোলার হিসেবে ৯৯ ইনিংসে ১৬৮১ রানে ৩২ উইকেট।ওয়ানডে তে ৩১১ ম্যাচে ১১৩৬৩ রান। সর্বোচ্চ ১৮৩(এই স্কোরটা সহজেই ডবলসেঞ্চুরী হতে পারত,হয়নি অজয় জাদেজার হারামিপনার জন্য) সেঞ্চুরী ২২ আর অর্ধশতক ৭২। গড় ৪১.০২, টেস্ট গড়-৪২.১৭। ওয়ানডে বোলার হিসেবে ৩১১ ম্যাচে গুণে গুণে ১০০ উইকেট।বেষ্ট বোলিং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টরেন্টোতে ১৬ রানে ৫ উইকেট।
সৌরভ কোন জাতের নেতা? ২০০৪ সাল।অস্ট্রেলিয়া সফরে সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারত। সারা দুনিয়া তখন হিসাব কষছে স্টিভদের আক্রোশের আগুনে পুড়বেন সৌরভ। ২০০১ সালের লজ্জা নিবারণের জন্য ঘরের মাঠে ভারতের ওপর গুলি খাওয়া বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে বিশ্বজয়ীরা। কিন্তু বোদ্ধাদের সব হিসাব পাল্টে দিলেন সৌরভ। চার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্রিসবেনে ব্যাট করতে নেমেই ১৪৪ রানের ইনিংস খেললেন সৌরভ। বলা বাহুল্য, প্রথম ইনিংসে ভারতের একমাত্র সেঞ্চুরি এটা। এক সেঞ্চুরির কাছেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সব জারিজুরি কারিকুরি। ব্রিসবেনে হারল অস্ট্রেলিয়া। সৌরভ-টনিকে উদ্দীপ্ত ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এটা ছিল আবার স্টিভ ওয়াহর বিদায়ী সিরিজ। জীবনের শেষ সিরিজে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্টিভ ওয়াহকে। সিডনিতে জীবনের শেষ ইনিংসে ম্যাচে হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হয়েছে স্টিভ ওয়াহকে।অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় পেসাররা আজ যে সমানতালে লড়াই করার সাহস দেখাচ্ছে সবকিছুর মতো সেটার শুরুও করতে হয়েছিল সৌরভকেই।
গতকাল নাগপুরে সৌরভের বিদায় নিয়ে আবেগাপ্লুত ভাষায় ভারতের ব্যাটিং বিস্ময় শচীন টেন্ডুলকার বললেন, ‘আমরা সবাই দাদাকে ভীষণ মিস করব।’ সারা দুনিয়া মিস করবে ত্রিকেটার সৌরভকে। আর আমরা মানে বাঙালিরা অনুভব করব বিশ্বজয়ী বাঙালির অভাব। ঢাকায় ত্রিকেট খেলতে এসে আর কোনো ত্রিকেটার বলবে না 'দাদা, এখনো ইলিশ খাওয়া হলো না।' এই সৌরভ যে একান্তই আমাদের। তাই সৌরভের বিদায়ে আর চোখের জল গলায় বাষ্পনয়।
বিদায় বেলা বন্ধু নাজমুল হক তপন এর লাইনটা দিয়েই শেষ করছি..... নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে লেখা চিঠিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, 'বীরকে ভগবান ভালোবাসে আর ভগবানকে মানুষ পুজো দেয়। তুমি বীর আর আমি মানুষ।' সেই কথাকে শ্রেয় জ্ঞান করে কোটি কোটি বাঙালির পক্ষ থেকে বলছি 'বিশ্ববিজয়ী বাঙালি তোমাকে স্যালুট।'
ভারতের ক্রিকেট ইতিহাস যত দিন পঠিত হবে,ততদিন সৌরভের নাম উচ্চারিত হতে হবে।এই ভেতো বাঙালি বাবুই ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসের সব চেয়ে সফলতম অধিনায়ক।পাকিস্তানের মাটি থেকে প্রথম টেস্ট সিরিজ জয়ী অধিনায়ক।উপমহাদেশের বাইরে থেকে ভারতের হয়ে প্রথম টেস্ট সিরিজ জিতে আনা অধিনায়ক।এরকম আরো অনেক রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই বাঙালির নাম।ক্রিকেট এরিনায় যখনই সৌরভের নামটা উচ্চারিত হয় তখনই সৌরভ শুধু ভারতের বা পশ্চিম বঙ্গের সৌরভ থাকেন না, হয়ে ওঠেন ২৫ কোটি বাঙালির প্রতিনিধি। আমাদের এই বাংলাদেশও তাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। ৯৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অংশ নেয়ার আগে সৌরভই প্রথম বাঙালি যিনি বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করেছেন। রেকর্ড টেকর্ড নিয়ে বলতে শুরু করলে শেষ হবে না। ক্রিকেট মানেই শত সহস্র রেকর্ড ভরা প্যানডোরার বাক্স।
এমনিতেই এখন আর ক্রিকেট তেমন করে টানে না। শৈশবে রেডিওতে শোনা সেই সময়কার গর্ডন গ্রিনিজ,হেইন্স,ভিভ রিচার্ডস,তারও আগে আলভিন কালিচরণ,জেফ্রি ডুজন,গ্যারি সোবার্স, গাভাস্কার,বিশ্বনাথ মুনসুর আলী খান পতৌদি, একনাথ সোলকার,ডেভিড গাওয়ারদের খেলা আর বর্তমানের মিকিমাউস ওয়ানডে বা কর্পোরেট টি টুয়েন্টিকে আমি আসল ক্রিকেট বলতে রাজি নই। টেস্ট ক্রিকেট ক্রমশঃ দুর্লভ হয়ে নিত্য নতুন ফর্মেটের যে ক্রিকেট শুরু হয়েছে সেখানে রং আছে জৌলুশ আছে চমক আছে কিন্তু ক্রিকেট নেই। যে দিন কপিল দেবের রেকর্ড ভেঙ্গে কোর্টনি ওয়ালশ অবসরে চলে গেলেন সেদিনই ক্রিকেটের রংধনু থেকে একটি রং খসে পড়ল।এর পর একে একে কার্টলি এ্যামব্রোস,কার্ল হুপার,জিমি এ্যাডামসরা খসে গেলেন।ক্রিকেট একটু একটু করে রং হারাতে থাকল। ওয়াকার-ওয়াসিম চলে যাওয়ার পর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটি রং অবশিষ্ট!গত বিশ্বকাপে উইন্ডিজ কর্মকর্তাদের খামখেয়ালিপনায় যখন ব্রায়ান চার্লস লারা হঠাৎ অবসরের ঘোষণা দিয়ে বসলেন তখন ক্রিকেট যেন বাই কালারের ফটোগ্রাফ হয়ে উঠল!
শেষ দিকে এসে ক্রিকেট বিশ্বের মাত্র তিনটি ছবিতে মন আটকে থাকত...সৌরভ শচীন আর লারার ব্যাটিং,এবং ওয়াসিম ডোনাল্ড আর ম্যাকগ্রার বোলিং। লারা চলে যাওয়ার পর অনেক দিন ক্রিকেট দেখাই প্রায় ছেড়ে দিয়েছিলাম।মনে পড়ে যেদিন রাতে লারার অবসরের কথা শুনলাম সেদিন অমিতকে (বর্তমানে সমকালের চিফ নিউজ এডিটর)ফোন করেছিলাম! রাত তখন আড়াইটা-তিনটা হবে! পনের-বিশ মিনিট কথা বলার পর দেখা গেল দুজনই কাঁদছি! সেদিনই প্রথম আবিষ্কার করলাম,এই কালো মানুষটিকে কতটা ভালবাসতাম! আজ সৌরভের বিদায়ের পর মনে হচ্ছে ক্রিকেট তার শেষ রং টুকুও হারাল! ক্রিকেট যেন রংহীন ফ্যাকাসে এক এপিসোর্ড হয়ে গেল!
যখন ক্রিকেট লিখতাম তখন সম্ভবত এই সৌরভকে নিয়ে আমার ৪০/৪৫টা আলাদা পোস্ট ছিল। ওকে নিয়ে গ্রেগ চ্যাপেলের শয়তানীর বিরুদ্ধে এই দেশে বসেও প্রবল প্রতিবাদে লিখতে থাকতাম।মনে পড়ে বাংলাদেশের উদ্বোধনী টেস্ট ম্যাচে গলায় কার্ড ঝুলিয়ে ষ্টেডিয়ামে হাজির হয়েছিলাম।সাধারণত আমি মাঠে খেলা দেখার পক্ষপাতি নই। ওই দিন শুধু সৌরভকে দেখতে এবং কথা বলতে গিয়েছিলাম।আর একবার কথা বলেছিলাম কোলকাতার প্রখ্যাত ক্রিকেট লিখিয়ে গৌতম ঘোষের ফোনে। সৌরভ গৌতমকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে গৌতম প্রশ্ন করেছিল-‘মানুষ সৌরভ কি কোলকাতার সামাজিক খোঁজ-খবর রাখে’? উত্তরে ও বলেছিল-‘না, আমি ক্রিকেটার না হলেও রাখতাম না’! কথাটা শুনতে খুব খারাপ লেগেছিল। পরে গৌতমের ফোনে হেসে দিয়ে বলেছিল-‘আপনারা ভিন দেশে বসেও এটা খেয়াল করেছেন? সরি দাদা, আসলেই ওভাবে বলাটা ঠিক হয়নি'’।তার পর আর কোন দিন কথা হয়নি।শুধু একবার ওই গৌতমের মাধ্যমেই ওকে বলতে বলেছিলাম-ও কিছুতেই শর্টপিচ কে হুক করতে পারছে না,টপএজ হয়ে শর্টলেগে ক্যাচ উঠে যাচ্ছে, ওকে চেস্টগার্ড ফেলে দিতে বলো,ব্যাকফুটে এসে সম্পূর্ণ শরীর যদি ঘোরাতে না পারে তাহলে যেন হুক করতে না যায়।
টিমমেটরা বলত- অফ সাইডে ঈশ্বরের পর সবচেয়ে ভাল শর্ট নেয় দাদা।বিশেষত বিশ্বে যারাই বা-হাতি তাদেরই ব্যাটিং শৈলী ছবির মত। চোখ চেয়ে দেখার মত। জেফ বয়কট একারণেই ওকে নাম দিয়েছিল-‘প্রিন্স অব ক্যালকুট্টা’! এই প্রজন্মে মাত্র তিনজন ব্যাটসম্যানই অমন রূপশৈলীময় ব্যাট করত।ডেভিড গাওয়ার,ব্রায়ান লারা আর সৌরভ। হায় ! সেই ক্রিকেটের শেষ বরপুত্রও চলে গেলেন!
সৌরভের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের সবটুকু তুলে দেয়া যাবে না এই পরিসরে। শুধু এটুকুই বলা যায়ঃ টেস্টে ১১৩ ম্যাচে ৭২১২ রান,সর্বোচ্চ ২৩৯, সেঞ্চুরী ১৬,অর্ধশতক ৩৫ । আর বোলার হিসেবে ৯৯ ইনিংসে ১৬৮১ রানে ৩২ উইকেট।ওয়ানডে তে ৩১১ ম্যাচে ১১৩৬৩ রান। সর্বোচ্চ ১৮৩(এই স্কোরটা সহজেই ডবলসেঞ্চুরী হতে পারত,হয়নি অজয় জাদেজার হারামিপনার জন্য) সেঞ্চুরী ২২ আর অর্ধশতক ৭২। গড় ৪১.০২, টেস্ট গড়-৪২.১৭। ওয়ানডে বোলার হিসেবে ৩১১ ম্যাচে গুণে গুণে ১০০ উইকেট।বেষ্ট বোলিং পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টরেন্টোতে ১৬ রানে ৫ উইকেট।
সৌরভ কোন জাতের নেতা? ২০০৪ সাল।অস্ট্রেলিয়া সফরে সৌরভের নেতৃত্বাধীন ভারত। সারা দুনিয়া তখন হিসাব কষছে স্টিভদের আক্রোশের আগুনে পুড়বেন সৌরভ। ২০০১ সালের লজ্জা নিবারণের জন্য ঘরের মাঠে ভারতের ওপর গুলি খাওয়া বাঘের মতো ঝাঁপিয়ে পড়বে বিশ্বজয়ীরা। কিন্তু বোদ্ধাদের সব হিসাব পাল্টে দিলেন সৌরভ। চার টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে ব্রিসবেনে ব্যাট করতে নেমেই ১৪৪ রানের ইনিংস খেললেন সৌরভ। বলা বাহুল্য, প্রথম ইনিংসে ভারতের একমাত্র সেঞ্চুরি এটা। এক সেঞ্চুরির কাছেই শেষ হয়ে গেল বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের সব জারিজুরি কারিকুরি। ব্রিসবেনে হারল অস্ট্রেলিয়া। সৌরভ-টনিকে উদ্দীপ্ত ভারতের বিপক্ষে পুরো সিরিজেই আর মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেনি স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। এটা ছিল আবার স্টিভ ওয়াহর বিদায়ী সিরিজ। জীবনের শেষ সিরিজে ড্র নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্টিভ ওয়াহকে। সিডনিতে জীবনের শেষ ইনিংসে ম্যাচে হারের লজ্জা এড়ানোর জন্য দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই করতে হয়েছে স্টিভ ওয়াহকে।অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা পাকিস্তানের মাটিতে ভারতীয় পেসাররা আজ যে সমানতালে লড়াই করার সাহস দেখাচ্ছে সবকিছুর মতো সেটার শুরুও করতে হয়েছিল সৌরভকেই।
গতকাল নাগপুরে সৌরভের বিদায় নিয়ে আবেগাপ্লুত ভাষায় ভারতের ব্যাটিং বিস্ময় শচীন টেন্ডুলকার বললেন, ‘আমরা সবাই দাদাকে ভীষণ মিস করব।’ সারা দুনিয়া মিস করবে ত্রিকেটার সৌরভকে। আর আমরা মানে বাঙালিরা অনুভব করব বিশ্বজয়ী বাঙালির অভাব। ঢাকায় ত্রিকেট খেলতে এসে আর কোনো ত্রিকেটার বলবে না 'দাদা, এখনো ইলিশ খাওয়া হলো না।' এই সৌরভ যে একান্তই আমাদের। তাই সৌরভের বিদায়ে আর চোখের জল গলায় বাষ্পনয়।
বিদায় বেলা বন্ধু নাজমুল হক তপন এর লাইনটা দিয়েই শেষ করছি..... নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুকে লেখা চিঠিতে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর লিখেছিলেন, 'বীরকে ভগবান ভালোবাসে আর ভগবানকে মানুষ পুজো দেয়। তুমি বীর আর আমি মানুষ।' সেই কথাকে শ্রেয় জ্ঞান করে কোটি কোটি বাঙালির পক্ষ থেকে বলছি 'বিশ্ববিজয়ী বাঙালি তোমাকে স্যালুট।'
লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): বিদায় সৌরভ ;
প্রকাশ করা হয়েছে: এলেবেলে, স্মৃতিকথা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৫১
প্রকাশ করা হয়েছে: এলেবেলে, স্মৃতিকথা বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৫১
১. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪২
বিডি আইডল বলেছেন: এই মহারাজাকেই না একবার ঢাকায় ধারাভাষ্যকার/দর্শকরা পা ধরাধরি করেও বাংলা বলাতে পারেনি?
জবাব দিন|মুছে ফেলুন | ব্লক করুন
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
লেখক বলেছেন: এটা কোন ব্যাপার না। বুঝতে হবে ভিক্টরিষ্ট্যান্ডে সৌরভ ভারতের রিপ্রেজেন্ট করছেন,প.বাঙলার নন।যদ্দুর জানি শেখ হাসিনার সাথে সৌরভ বাঙলাতেই কথা বলেছিল।আমিও বাঙলাতেই বলেছিলাম।
২. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪২
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: দাদা কে মিস করব খুব বেশি।দাদা র মাঝে একটা স্পিরিট ছিল,যা খুব টানত আমাকে।
দাদা মাঠে না নামলেও আমরা তোমাকে ভুলে যাবনা...
+
দাদা মাঠে না নামলেও আমরা তোমাকে ভুলে যাবনা...
+
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৬
লেখক বলেছেন: আমার ব্যক্তিগত মত এখন পর্যন্ত সর্বশ্রেষ্ঠ অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ। তার সাথে পারসোনালিটি ক্লাশে সৌরভ সমানে সমান লড়েছিল।টু গ্রেট ওয়ারিয়র।
৩. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: @ বিডি পা ধরা ধরি...এসব না বলে অন্যভাবেও কথা বলা যায়।দেশ কে অসম্মান না করলেই কি নয়?
আর দাদা বাংলা বলাতে সব সময় ভালো বাসেন।সেটা উনি অনেক বার সাক্ষাত কারে বলেছেন।
আর দাদা বাংলা বলাতে সব সময় ভালো বাসেন।সেটা উনি অনেক বার সাক্ষাত কারে বলেছেন।
৪. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১
লেখক বলেছেন: শালারা ষড়যন্ত্র কইরা পোলাডার দুই বছর ক্যারিয়ার কমাইয়া দিল!
৫. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৭
বিডি আইডল বলেছেন: এ. এস. এম. রাহাত খান বলেছেন: @ বিডি পা ধরা ধরি...এসব না বলে অন্যভাবেও কথা বলা যায়।দেশ কে অসম্মান না করলেই কি নয়?
ঘটনাটা তাই ঘটেছিল। দেখেছিলাম বলেই বলছি...দেশকে অসম্মানের কোন প্রশ্ন এখানে নেই।
বাংলার দাদার মুখ থেকে সবাই পুরস্কার বিতরণের সময় এক-দুটো বাংলা শব্দ শুনতে চেয়েছিল...আপসুস।
ঘটনাটা তাই ঘটেছিল। দেখেছিলাম বলেই বলছি...দেশকে অসম্মানের কোন প্রশ্ন এখানে নেই।
বাংলার দাদার মুখ থেকে সবাই পুরস্কার বিতরণের সময় এক-দুটো বাংলা শব্দ শুনতে চেয়েছিল...আপসুস।
৬. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫১
শওকত হোসেন মাসুম বলেছেন: আসলেই ক্রিকেট দেখার মজাটাই চলে যাচ্ছে।
(অফটপিক-আপনি কি নিউইয়র্কের মনজু ভাই, ভোরের কাগজে ছিলেন যিনি)।
(অফটপিক-আপনি কি নিউইয়র্কের মনজু ভাই, ভোরের কাগজে ছিলেন যিনি)।
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৪
লেখক বলেছেন:
ক্রিকেটের মজা চলে যাচ্ছে না, অলরেডি গেছে।
ভোরের কাগজের মনজু ভাই ঠিক আছে, কিন্তু কখনো নিউইয়র্কে তো ছিলাম না !
ক্রিকেটের মজা চলে যাচ্ছে না, অলরেডি গেছে।
ভোরের কাগজের মনজু ভাই ঠিক আছে, কিন্তু কখনো নিউইয়র্কে তো ছিলাম না !
৭. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৪
সুমন সালেহী বলেছেন: পুরো লেখাটা না পড়েই একটি মন্তব্য করছি....ভারতীয় ক্রিকেটে টেন্ডুলকারের চেয়ে সৌরভের অবদান বেশি...টেন্ডুলকার দ্রাবিড় তাদের নিজেদের রেকর্ডের জন্য খেলে ভারতকে হারিয়ে দিয়েছে....সৌরভ ভাল খেলেছে কিন্তু ভারত হেরেছে এমন হয়েছে খুব কম......
৮. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৫
বিষাক্ত মানুষ বলেছেন: ভাল্লাগছে লেখাটা । সৌরভের নাক উঁচা স্বভাব আছে কিছুটা। তবে সৌরভের অফ সাইডের শটগুলো সারাজীবন চোখে ভাসবে
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৮
লেখক বলেছেন:
সিলি মিডঅফ,কাভার,এক্সট্রাকাভার,সর্ট এক্সট্টাকাভার, পয়েন্ট,ডীপ মিডঅফ,লংঅফ.....অফ সাইডের এতগুলো ফিল্ডারের ফাঁক গলে কি অসাধারণ ভঙ্গিতে বল সীমানার বাইরে.....
সিলি মিডঅফ,কাভার,এক্সট্রাকাভার,সর্ট এক্সট্টাকাভার, পয়েন্ট,ডীপ মিডঅফ,লংঅফ.....অফ সাইডের এতগুলো ফিল্ডারের ফাঁক গলে কি অসাধারণ ভঙ্গিতে বল সীমানার বাইরে.....
৯. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৫৯
রাঙা মীয়া বলেছেন: স্পিনের বিপক্ষে আগ্রাসী শটগুলো চিরকাল মনে থাকবে। লড়াকু মনোভাবের জন্যই একজন গ্রেট খেলোয়াড় হয়েছিলো।
১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ২:৫৫
লেখক বলেছেন: এই শর্টটা ছয় বার মারলে পাঁচ বারই বাউন্ডারি অথবা ওভার বাউন্ডারি....
১০. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:০২
১১. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৬
১২. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৪
নাঈম বলেছেন: দাদার সমগ্র ক্রিকেট জীবনের আমি একজন চরম ভক্ত, সেটা তিনি একজন বাঙ্গালী বলে নয়, তাঁর লড়াকু মনোভাবটা অন্য সব ভারতীয় অধিনায়কের চেয়ে তাঁকে অনন্য করে রেখেছিল।
আপনার পোষ্টটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো। তবে ছোট্ট একটি অসঙ্গতি ধরিয়ে দেয়ার ধৃষ্টতা করছি: ২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টটি ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, ঐ টেস্টে দাদা ১৪৪ করেছিলেন, এটাও সঠিক তথ্য, তবে আপনি যে বলেছেন, সেই ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল, কথাটি সঠিক নয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ব্রিসবেন টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
সেই ম্যাচের স্কোরকার্ড
আপনার পোষ্টটি পড়ে খুবই ভাল লাগলো। তবে ছোট্ট একটি অসঙ্গতি ধরিয়ে দেয়ার ধৃষ্টতা করছি: ২০০৩-০৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজের প্রথম টেস্টটি ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত হয়েছিল, এটা আপনি ঠিকই বলেছেন, ঐ টেস্টে দাদা ১৪৪ করেছিলেন, এটাও সঠিক তথ্য, তবে আপনি যে বলেছেন, সেই ব্রিসবেন টেস্টে অস্ট্রেলিয়া হেরেছিল, কথাটি সঠিক নয়। বৃষ্টিবিঘ্নিত সেই ব্রিসবেন টেস্টটি ড্র হয়েছিল।
সেই ম্যাচের স্কোরকার্ড
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪০
লেখক বলেছেন: রাইট! এ্যাডিলেডে জিতেছিল? দ্বিতীয় টেস্টে? থ্যাংকস নাঈম।
১৩. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৪
১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫০
লেখক বলেছেন: আমার ধারণা শেষ টেস্টটাও ভারত জিততে পারত। কর্পোরেট স্বার্থের জন্য পারেনি। অস্ট্রেলিয়াকে ফলোঅনে সুযোগ পেয়েও ফেলেনি। স্টিভ ম্যাচটা ড্র করে দেয়! কেসটা ছিল স্টিভ,লারা,সচীন তিন জনই এমআরএফ এর ব্রান্ড আ্যামবাসেডর। কোন এক গোপন ইশারায় ড্র করতে দিয়ে স্টিভের বিদায় টেস্টটা স্মরণীয় করতে দেয়া হয়েছিল।
১৪. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫১
মেহরাব শাহরিয়ার বলেছেন: ভারতের ক্যাপ্টেন থাকাকালীন সময়ে সৌরভ বেশ স্নবিশ ছিলেন , তারপরও প্রিয় ক্রিকেটারের তালিকায় সে থাকবেই ।
আজহারউদ্দিন আর সৌরভ .......ভারতীয় এই দুই ক্রিকেটার সম্ভবত তাদের যোগ্য মর্যাদাটা পেলেন না
আজহারউদ্দিন আর সৌরভ .......ভারতীয় এই দুই ক্রিকেটার সম্ভবত তাদের যোগ্য মর্যাদাটা পেলেন না
১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৯
লেখক বলেছেন: হ্যাঁ।তবে এদের চেয়েও দুর্ভাগা সঞ্জয় মাঞ্জরেকার ! পাকিস্তানে ডেব্যু টেস্টে(১৯৮৮-৮৯) ২১৮ রানের এক মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছিলেন। মাত্র ২৭ বছর বয়সেই তাকে 'অপাংতেয়' করে দেওয়া হয়েছিল !
১৫. ১১ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৪
১৬. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
১৭. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:১২
১৮. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২০
১৯. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
২০. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪৫
২১. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৫৮
হিমালয়৭৭৭ বলেছেন: আমার কাছে সৌরভ গাঙ্গুলী মানেই ডাউন দ্য উইকেটে এসে স্পিনারকে ছয় মারা এক শিল্পী ব্যাটসম্যান।। অফস্ট্যাম্পেও তার দক্ষতা অসাধারণ, তবুও আমার মনে হয় এই শটটি যেন সৌরভ গাঙ্গুলী ছাড়া আর কাউকেই মানায়না।।। এটা সত্যি তাকে নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডে অনেক নোংরামি হয়েছে, এবং শচীন-দ্রাবিড় যতটা প্রশ্নাতীত সম্মান পেয়েছে, প্রশ্নাতীতভাবে সমসম্মানের দাবীদার হয়েও সে সেটা থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এই ব্যাপারটি খুবই পীড়াদায়ক।।।বর্তমানকালে ব্যাটসম্যানের যে আকাল পড়েছে তাতে শচীন-দ্রাবিড়-পন্টিং অবসর নিলে খেলা আর ক্রিকেট দেখবো কিনা সন্দেহ আছে।।
@সুমন সালেহী, তোমার বক্তব্যের সঙ্গে তীব্র দ্বিমত পোষণ করছি....শচীন-দ্রাবিড়-সৌরভ এরা ক্রিকেটের মহীরূহ.......ইন্ডিয়ান নির্বাচক-সমালোচকরা বিভাজন করুক, আমাদের সেই বিভাজন না করাই উচিৎ।।।
@সুমন সালেহী, তোমার বক্তব্যের সঙ্গে তীব্র দ্বিমত পোষণ করছি....শচীন-দ্রাবিড়-সৌরভ এরা ক্রিকেটের মহীরূহ.......ইন্ডিয়ান নির্বাচক-সমালোচকরা বিভাজন করুক, আমাদের সেই বিভাজন না করাই উচিৎ।।।
২২. ১২ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:৩৮
২৩. ১৩ ই নভেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৫:৫৬ হাইগ্যানী হাবাজন ব্যবিলন বলেছেন: অপরের লাগিয়া আর কান্দিয়া আর কী হইবে ভাইগনা? নিজের ভাবনায় কান্দা জরুরী এমতাবস্থায়। ফারহান দাউদ বলেছেন: সৌরভের ভক্ত না,তবে লড়াকু ক্যাপ্টেন ছিল। লারা অবসর নেয়ার পরে আর ব্যাটিং দেখেই মজা পাই না।