১৬ মার্চ, ২০১১

দেঁতো হাসি, নোবেল পুরষ্কার, ৩০ হাজার টাকা এবং একটি আত্মহত্যা



০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:১৪

কিছু কিছু মানুষের হাসি দেখলে পিলে চমকে ওঠে,মনে হয় মাংশ খেতে চাইছে ! কিছু কিছু মানুষের কান্না শুনলে মনে হয় আরশ(যদি থাকে)কেঁপে ওঠে ! মনে হয় সারা বিশ্ব যেন কাঁদছে! নোবেল লোরিয়েট মুহম্মদ ইউনূসের হাসি দেখে প্রয়াত ওয়াহিদুল হক বলতেন ‘হায়েনার হাসি’!ইউনূসের এই দেঁতো হাসি যত দেখি তত হায়েনার কথা মনে আসে।ঐ হাসির দমকে এবং খোমকে একে একে ঝরে পড়ে গ্রাম্য অবলা নারীরা। এটা এখন নিয়মে দাঁড়িয়ে গেছে। প্রতি বছরই একাধিক ঋণগ্রহীতা গ্রামিণ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে না পেরে নিজের জীবন দিয়ে ‘পাপের প্রায়াশ্চিত্ত' করছেন। গত বছর,তার আগের বছরও এই একই ভাবে আত্মহত্যা করে ঋণ শোধের দায় এড়াতে হয়েছে গ্রাম্য অসহায় নারীদের।

সেই তালিকায় এবার যোগ হলো কলারোয়া,সাতীরার পাকুড়িয়া গ্রামের রেখা রানী বিশ্বাসের নাম।খবরটা এভাবেই ছাপা হয়েছে ২রা নভেম্বর দৈনিক সমকাল-এ।

"কলারোয়া উপজেলার জলাবদ্ধ এলাকার পাকুড়িয়া গ্রামের রেখা রানী বিশ্বাস (৪০) কিস্তি দিতে না পেরে গ্রামীণ ব্যাংকের মাঠকর্মীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ঋণী সদস্য মারা গেলে তার কিস্তি কে দেয়। মাঠকর্মী বলেছিলেন, তার ঋণ মাফ করে দেওয়া হয়। পরের দিন অর্থাৎ শুক্রবার ভোরে পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আশ্রয়কেন্দ্রের পাশে কাঁঠাল গাছে রেখা রানী বিশ্বাসের ঝুলন্ত লাশ দেখা যায়।

এলাকাবাসী ও মৃতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পাকুড়িয়া গ্রামের নরেন বিশ্বাসের স্ত্রী ২ সন্তানের জননী রেখা রানী বিশ্বাস গত ২ মাস আগে গ্রামীণ ব্যাংকের খোরদো শাখা থেকে ৩০ হাজার টাকা ঋণ নেন। সম্প্রতি কপোতাক্ষের বেড়িবাঁধ ভেঙে ঘরবাড়িসহ মাঠের ফসল পানিতে নিমজ্জিত হওয়ায় অন্যদের সঙ্গে রেখা রানী বিশ্বাস স্বামী-সন্তান নিয়ে পাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয় নেন। জলাবদ্ধ এলাকায় ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধের নির্দেশ থাকলেও বৃহস্পতিবার ঋণের কিস্তির টাকা না দেওয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা রাত ১০টা পর্যন্ত রেখা রানী বিশ্বাসের কাছে বসে থাকেন। এক পর্যায়ে তারা থানা পুলিশের ভয়ও দেখান। এ সময় ঋণগ্রহীতা গ্রামীণ ব্যাংক কর্মীদের কাছে জানতে চান, কোনো ঋণী সদস্য মারা গেলে ঋণের টাকা কে দেয়। উত্তরে গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীরা জানান, টাকা মাফ করে দেওয়া হয়। এ কথায় রেখা রানী গ্রামীণ ব্যাংকের কর্মীদের পরদিন কিস্তি নেওয়ার জন্য আসতে বলেন। শুক্রবার ভোররাতে আশ্রয়কেন্দ্রের পাশে কাঁঠাল গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন রেখা রানী বিশ্বাস।

তার স্বামী নরেন বিশ্বাস ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ইসলামী ব্যাংক কলারোয়া শাখায় তার স্ত্রীর নামে ২০ হাজার টাকা ঋণ নেওয়া আছে। তারাও কিস্তির টাকা পরিশোধ না করলে কেস করবে বলে ভয় দেখাচ্ছে ।

এ ব্যাপারে গ্রামীণ ব্যাংক খোরদো শাখার ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ জানান, বন্যাদুর্গত এলাকায় ঋণ আদায় বন্ধের নির্দেশ তিনি পাননি।"
গ্রামীণ ব্যাংক কেন বিশ্বজোড়া ‘সুনাম’ অর্জন করেছে,কেন, কি ভাবে ড.ইউনূস নোবেল পেয়েছেন সেটা এখন আর কোন ফ্যাবুলাস ডিসকভার নয়। মোটামুটি সকলেই জানেন কোথাকার কাঠি কোথায় গিয়ে নাড়িয়ে নোবেল গাছের ‘শান্তিপুরষ্কারের’ফলটা পেড়ে নেওয়া হয়েছে! খোদ নোবেল পর্যবেক্ষণ কমিটিই এবছর ড.ইউনূসের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।এ নিয়ে সংবাদ পত্রে বহুবার লিখেছি।সম্ভবত সে কারণে ভোরের কাগজ গ্রামীণের কোন বিজ্ঞাপন পায় না। এক কথায় সারি-ড.ইউনূসই প্রথম ব্যক্তি,যিনি আবিষ্কার করেছেন যে, শুধু ধনী বা মধ্যবিত্ত নয়, একেবারে প্রান্তিক দরিদ্রদেরও অভিনব কায়দায় শোষণ করা যায়। যাদের কিছুই নেই তাদেরও কিছু দিয়ে তাদের ভোগেচ্ছা বাড়িয়ে,তাদের কাছে কমোডিটিজ বিক্রির ব্যবস্থা করে তার পর শোষণ চালু রাখা যায় ! এটা এদ্দিন পশ্চিমারা পারেনি,তারা শুধু টাকাওলাদেরই শোষণের কায়দা জানত।এদের বাইরেও যে বিশাল দরিদ্র শ্রেণী আছে তাদের এই ঋণের আওতায় এনে দুদিক থেকে ফায়দা। এক.ঋণ দিয়ে চক্রবৃদ্ধিহারে প্রায় ২৩ থেকে ২৫ % সুদ আদায়। দুই. বিশাল ব্যাপক জনগোষ্ঠিকে মোবাইল,প্রসাধনী,রেডিও,টেলিভিশন ইত্যাদি কমোডিটিজ বিক্রি এবং তার নিত্য-নতুন ভোগেচ্ছা বাড়িয়ে শোষণের কন্টিন্যুয়েশন। এই ‘মহান’ কম্মটি সাকসেসফুলি করতে পারার কারণে ড.ইউনূস বিশ্বব্যাপী ঋণ গেলানোর আইকন হয়ে গেছেন !

অন্য দিকে ইসলামী ব্যাংক? দেখুন তাদের ‘সুদবিহীন ব্যাংকিংয়ের নমূনা ! “আল্লাহ ব্যবসাকে করেছেন হালাল,আর সুদকে করেছেন হারাম”,এই ধাপ্পাবাজীর শ্লোগানের নমূনা দেখুন। ঋণ দিয়ে সুদ আদায় করছেন! আবার সুদ না দিতে পারলে থানা-পুলিশের হুমকি দিচ্ছেন! মাশাল্লাহ অপূর্ব সুদবিহীন কারবারের নমূনা !!
আসলে এই বেহায়া নির্লজ্জ লোকদের সামান্যতম চুক্ষু লজ্জাটুকুও নেই,ছিঃ



লেখাটির বিষয়বস্তু(ট্যাগ/কি-ওয়ার্ড): আত্মহত্যা ;
প্রকাশ করা হয়েছে: প্রবন্ধসমসাময়ীক রাজনীতি  বিভাগে । সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই জুন, ২০১০ রাত ৩:৪৯



০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৪
লেখক বলেছেন: এটাতো খবরে এসছে। এরকম অনেক মৃত্যু খবরেও আসে না। প্রতি বছর কমপক্ষে ২০/২৫ জন ঋণ গ্রহীতা এভাবে আত্মহত্যা করে "বাঁচেন" ! এসব খবর ছাপা হওয়ার পর কে কি করবে ? কার ক্ষমতা আছে এই বিজনেস টাইকুনের বিরুদ্ধে যাবার ? কাগজঅলারাতো তার টাকার বিজ্ঞাপনেই চলে।


০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৫
লেখক বলেছেন: এক দড়িতে 'ফাঁসী' চাই।


৩. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২০
প্রলয় হাসান বলেছেন: ঠিকমত কর্জ শোধ করতে না পারলে থানা পুলিশের হুমকি দেয়াটা স্বাভাবিক। সেক্ষেত্রে আত্নহত্যা করাটা বাড়াবাড়ি। এখানে ইউনুসের দোষ নাই। তবে পোস্টের শেষের কথাগুলোর সাথে একমত।

তার নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে নাকি? এটা তো জানতাম না।


ইসলামী ব্যাংকের কথা আর বইলেন্না। শালার ভন্ডের এক শেষ। ইসলামের নাম ভাংগায়া খাইতেছে।++

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪১
লেখক বলেছেন: "সেক্ষেত্রে আত্নহত্যা করাটা বাড়াবাড়ি।"

এর পর থেকে আমরা ওদেরকে এই "বাড়াবাড়ি" না করার জন্য উপদেশ দেব।

ধন্যবাদ আপনাকে।


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০০
লেখক বলেছেন:

"পরিপূর্ন সহমত।" এর জন্য ধন্যবাদ।


৫. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:২৭
মাহমুদ৬৯ বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংক আর ইসলামী ব্যাংক একই মুদ্রার দুই পিঠ।

আরো একটি মৃত্যু যা ক্ষুদ্রঋণকে আবারো কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে দিল।
এরা কি আসলেই মানুষ?

চাইনা এমন নোবেল প্রাইজ যা শুধু আমাদের অপমানের গ্লানিই দেয়।

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২২
লেখক বলেছেন: সারা বিশ্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মার্কিন অত্যাচারের সমর্থক, ডেমোক্র্যাটদের দালালি- আবার রিপাবলিকানদের কাছ থেকে দক্ষিণ পূবূ এশিয়ার প্রভার্টি হিউম্যুলুশনের কন্ট্রাক্ট.....এরকম শত শত বাণিজ্যের একচেটিয়া মুনাফা ভোগকারী সারা বিশ্বের হাজার হাজার মুসলিমের মৃত্যুতেও যার নূন্যতম আফসোস নেই। এই হচ্ছে আমাদের 'মহান নোবেল লরিয়েট" !! এরকম গ্লানিকেই আমাদের কর্পোরেট মিডিয়া অনবরত হাইলাইট করে...


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:২৩
লেখক বলেছেন: ইউনূসের হাজার হাজার এলিট বেনিফিশিয়ারিরা আছে না ! তারা পিঠ পেতে দেবে !!


৭. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩০
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২১
লেখক বলেছেন: গার্মেন্ট মালিকদের জিজ্ঞেস করে দেখেন। ৭/৮ বছর আগে রাবি তে যে বার শিবির মারা হইছিল, তখন এই ব্যাংকের প্রত্যেকটা শাখা তাদের সকল ক্লায়েন্ট থেকে বাধ্যতামূলক চাঁদা কালেকশন করছিল(মিনিমাম ১০হাজার)

থার্ড পার্টি বিদেশী ব্যাংকের দালালি তো ওপেনলিই করতেসে।


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২২
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।


৯. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৩৯
লাবণ্য প্রভা গল্পকার বলেছেন: দারিদ্রকে পুঁজি করে এভাবেই কনজুমারস সোসাইটি বানিজ্য করে। এটা আমরা সবাই জানি। যতদিন কনজুমারস সোসাইটি থাকবে। যতদিন এদেশের কুলসুম বেওয়া আর তার পরিবারের জন্য কোনো সুনির্দিষ্ট অর্থনীতি গড়ে না উঠবে, ততদিন ইউনূসরা এ সুবিধা নেবে- এটা আমাদের আর অজানা থাকার কথা নয়। আমাদের দেয়ালে বোধহয় এখনও পিঠ ঠেকে যায়নি অথবা ভোগ্য পণ্যের আকাঙ্ক্ষাটা আমাদের প্রবল।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৪
লেখক বলেছেন: দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে আগেই,কিন্তু রিটার্নব্যাক করার শক্তিটা কেউ যোগান দিচ্ছে না।বনিক সমাজেরও এক ধরণের হিউম্যান ক্যারেক্টার থাকে, কিন্তু ফিউডাল-কলোনিয়াল জগাখিঁচুড়ি সমাজের তাও নেই।

মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।


১০. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪০
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২২
লেখক বলেছেন: ঠিক তাই।


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৩
লেখক বলেছেন: অচেনা সৈকত কে ধন্যবাদ।


১২. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪১
মৃত হাসানের প্রেতাত্মা বলেছেন: তা ভাই ইসলামী ব্যাংক সুদ নেয় কিভাবে বলবেন কি? আপনার কথা শুনে বোঝা যাচ্ছে আপনি ইসলামী ব্যাংকিং সম্পর্কে অনেক জানেন। একটু Share করবেন কি? অনেকেরই উপকার হত...

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০০
লেখক বলেছেন: ইসলামী ব্যাংক সুদ নেয় না- দেয়ও না। ঠিক ? কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে যে ক্যাপিটাল ফান্ড রিলিজ করে সেখানে তো নূন্যতম ৬% সুদ দেওয়াই লাগে ! বাংলাদেশ ব্যাংক তো সুদবিহীন নয়।

লাভ-ক্ষতির আধা আধি হিসেব মানে কি ? ইনভেস্টে ক্ষতি হলে কি ভ্যালুড ক্লায়েন্টরা ক্ষতি স্বীকার করে নেন ? মোটেই না।


১৩. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
বেয়াকুফ বলেছেন: এই শালা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ নিয়াও নিজের ইমেজটারে একটা ধোঁয়ার ভিতর রাকসে। নোবেল পাওয়াটা ছিল বাঙালী জাতির জন্য একটা স্বপ্ন। সেখানে কোন নোবেল লরিয়েট যে নোবেল পাওয়ার দুবছরের মাথায় এত অজনপ্রিয় ব্যক্তিত্বে পরিনত হবে, সেইটা বাঙালী কেন, দুনিয়ার অন্য কোন জাতিও কোনদিন চিন্তা করবার পারবে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
লেখক বলেছেন: মিডিয়াব্যুম এর জমানায় এই ধেড়ে শয়তানগুলো জানে কি ভাবে মিডিয়া কিনতে হয়, সেল করতে হয়। এর পর দাস তস্য দাস মিডিয়াই এদের বাকি কাজগুলো করে দেয়...দিচ্ছে...দেবেও ।


১৪. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৩
মনজুরুল হক বলেছেন: আমি আইনজ্ঞ নই,কিন্তু সীমিত জ্ঞানে এটুকু বুঝতে পারি এই ঘটনাটা মোটামুটি "এ্যাটেম টু মার্ডার" ক্রাইম। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া,আতংক সৃষ্টি করে আত্মহত্যায় বাধ্য করা, ভিকটিমকে প্রভোক করে অসহায়-দুর্বল করে আত্মহননে ই একমাত্র পরিত্রাণ ভাবতে বাধ্য করাও এ্যাটেম টু মার্ডার ক্রাইম। এর বিচার হওয়া উচিৎ "হত্যাকান্ড" হিসেবেই।

আপনারা যারা মতামত দিচ্ছেন তারা এই বিষয়ে মতামত দিন। সকল মতামত সংকলিত করে এই সপ্তাহের কোন এক দিনে লেখাটি সমকালে ছাপা হবে। সেখানে সকল মতামত বিশ্লেষিত হবে।

ধন্যবাদ।

১৫. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৫
নিবিড় অভ্র বলেছেন: কথা ঠিক বলেছেন......

নিশ্চিতভাবেই ঋণ প্রদানের সাথে সাথে যথাযথ কর্মসংস্হান জরুরি.....
একজন মানুষ ঋণ পেলেই যে প্রাপ্ত ঋণকে ঠিকভাবে কজে লাগাতে পারবে এমনটা নাও হতে পারে.... দুর্যোগকালীন অবস্হার জন্য ঋণদাতাদের নীতিমালা শুধু তৈরি নয় বরং তার যথাযথ প্রয়োগ প্রয়োজন... সমাজের দরিদ্রতম মানুষের উন্নতির জন্য আক্ষরিক অর্থেই একটি সামগ্রিক ব্যবস্হা থাকা প্রয়োজন!

তবে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে..... গ্রামীন আর কত ব্যবসা করবে??

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৮
লেখক বলেছেন: ঋণ নিয়ে কোন মানুষ সাবলম্বি হতে পারে না। দেশও না।ঋণ শব্দটার মানেই হচ্ছে উৎপাদন সম্পর্ক বিহীন লগ্নি থেকে মুনাফা অর্জন।

গ্রামীণ ব্যাংক আরো অনেক ব্যবসা করবে। আমাদের সকল সরকারই তাকে হাই প্রিভিলেজে ব্যবসা করতে দেবে। তারা ক্রমান্বয়ে "ওনাসিস" বা "মিত্তাল গ্রুপ" এর মত হতে চায়।আর এই অর্ধশিক্ষিতদের দেশে সেটা ভাল ভাবেই সম্ভব।


১৭. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৪৭
অ্যামাটার বলেছেন: ইউনুস নামক ঐ দাঁতাল নেকড়েটাকে ঘাড় ধরে বাংলাদেশ থেকে বের করে দেওয়া হোক, আর এই সুদি মহাজনটাকে সম্পূর্ণরুপে দেশের মাটিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হোক, বেহায়া লোক্টা লবিং করে নোবেলটা নিয়ে এই গ্লোরিয়াস প্রাইজটার মান এক্কেবারে ওভার নাইট আকাশ থেকে পাতালে নামিয়ে দিয়েছে...
আমি বুঝিনা তসলিমা নাসরিন আর দাউদ হাইদারের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের কথা শুনলে কতিপয় মহলের আঁতে ঘা লাগে, অথচ ব্র‌্যাক, গ্রামীন ইত্যাদি মুখোশের আড়ালে থাকা জোঁক গুলোর বিরুদ্ধে কারো কন্ঠস্বর যেন হালে পানি পায় না!
আপনাকে ধন্যবাদ স্রোতের বিপরীতে দাঁড়ানোর জন্য।

১৮. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১০:৫৬
মনজুরুল হক বলেছেন: গ্রামীণ ব্যাংক, টেলিনর, গ্রামীণ ফোন, শক্তি দই, রেলওয়ের ফাইবার অপটিক নামমাত্র মূল্যে দখল, বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের হিডেন 'কমিশন এজেন্ট, ইউরোপের রাজা শাসিত দেশগুলোর দালালি, সারা বিশ্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মার্কিন অত্যাচারের সমর্থক, ডেমোক্র্যাটদের দালালি- আবার রিপাবলিকানদের কাছ থেকে দক্ষিণ পূবূ এশিয়ার প্রভার্টি হিউম্যুলুশনের কন্ট্রাক্ট.....এরকম শত শত বাণিজ্যের একচেটিয়া মুনাফা ভোগকারী সারা বিশ্বের হাজার হাজার মুসলিমের মৃত্যুতেও যার নূন্যতম আফসোস নেই। এই হচ্ছে আমাদের 'মহান নোবেল লরিয়েট" !!

১৯. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:০৬
অ্যামাটার বলেছেন: ভূতের মুখে রাম নাম...বেহায়াটা আবার বলে কিনা "আমাদের রাজনীতিবিদরা খেলে কেবল অর্থের জন্য"!!

তবে তৃতীয় বিশ্বের ক্ষুদ্র রাষ্ট্রগুলোতে পশ্চিমাদের এ'রকম কিছু পোষা ওবিডিয়েন্ট চতুষ্পদ থাকে বৈকি...

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৩
লেখক বলেছেন: বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের হিডেন 'কমিশন এজেন্ট, ইউরোপের রাজা শাসিত দেশগুলোর দালালি, সারা বিশ্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মার্কিন অত্যাচারের সমর্থক, ডেমোক্র্যাটদের দালালি- আবার রিপাবলিকানদের কাছ থেকে দক্ষিণ পূবূ এশিয়ার প্রভার্টি হিউম্যুলুশনের কন্ট্রাক্ট.....এরকম শত শত বাণিজ্যের একচেটিয়া মুনাফা ভোগকারী


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৩০
লেখক বলেছেন: চিৎকার জারি থাকুক কমরেড......জাগতেই হবে একদিন.....


২১. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১১
রাত্রী বলেছেন: কি লিখবো? ঘেন্নায় নিজের কাছেই নিজেকে লুকোতে ইচ্ছে করছে। এই না হলে মানুষ!!! ক'দিন আগে ব্র্যাকের নিউজ, আজ গ্রামীণ ব্যাংক। প্রতিদিনই তো কোথাও না কোথাও এমন ঘটছে। এর কি কোন প্রতিকার নেই?

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৪৪
লেখক বলেছেন: আপাতত কোন প্রতিকার নেই যতক্ষণ না ওই দরিদ্র মানুষগুলো সচেতন না হচ্ছে।


০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫৮
লেখক বলেছেন: নাফিস ইফতেখারকে অনেক শুভেচ্ছা।


২৩. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:১৯
তারার হাসি বলেছেন: যিনি বাংলাদেশের জন্য নোবেল প্রাইজ নিয়ে এসেছিলেন, যাকে আমরা অনেক শ্রদ্ধার চোখে দেখেছি আজ তিনি জনগণের কাঠগড়ায়।
কস্ট হচ্ছে ...... কেন এমন হয় ?

এমন অনেক অনেক মৃত্যু চাপা পড়ে গিয়েছে কেউ বলতেও পারে না।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৩৬
লেখক বলেছেন: লেখক বলেছেন: আমি অমন পুরষ্কারের ওপর পেচ্ছাপ করে দিই।অসহায় দরিদ্র মানুষকে কমোডিটিজ বানিয়ে আড়াইশ'বছর আগের ইষ্ট ইন্ডিয়া কোম্পানীর মত শোষণ করবে,আবার পুরষ্কার তকমা ঝুলিয়ে বাঙালকে বিশ্ব দরবারে ঋণ গ্রহীতার জাত বলে চালাবে....?

একজন সন্তানের মা কখন আত্মহত্যা করতে চায়? কি ভাবে , কত কষ্টে সে তা করতে পারে ?৩০ হাজার টাকা দিতে হবে না সে মরে গেলে !!
এই যে জীবন, তাকে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় নিঃশেষ করে দির !!ঘেন্না হয়...সব জ্বালিয়ে দিতে ইচ্ছে করে..


২৪. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২১
মনজুরুল হক বলেছেন: যে তিন মাস্কেটিয়ারের ভাল লাগেনি তাদের অপছন্দের কারণ বোঝা গেছে। আপনারা আপনাদের 'প্রিয়' ব্যাংকের আইডি,লোন রিকভার সেকশন আর বাংলাদেশ ব্যাংকের তপশীলী ব্যাংক ডিভিশনে খোঁজ নেয়া শুরু করেন। তথ্য মিলে যাবে।

আমার পোস্টে মাইনাস দাতাকে সন্মান দেখানো হয়। সুতরাং মাইনাসটা প্রকাশ্যে দিলে ভাল লাগত ।

২৫. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:২৭
আলমগীর কুমকুম বলেছেন: ++ আর সরাসরি প্রিয়তে। দেশের অর্থনৈতিক দুরাবস্থার জন্য দায়ী নীলকরদের তিন উত্তরসুরি গ্রামীন ব্যাংক, ব্র্যাক আর আশা।

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১০
লেখক বলেছেন:

আরো আছে। এদের শেঁকড় এত গভীরে চলে গেছে যে সেখান থেকে উৎপাটন সহজ না।


০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৭
লেখক বলেছেন: আমি ক্ষুব্ধ।


২৭. ০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৪৩
সত্যান্বেষী বলেছেন: @মনজুরুল হক:

পড়লাম। আরো জানলাম যা ইতোমধ্যে জানা ছিল। বদরুদ্দীন ওমরের 'ইউনুসের দারিদ্র বাণিজ্য' টা আগেই পড়া ছিল। গাছে ঝুলে থাকা অই ঋণগহীতার ছবিটি গ্রামীন সামগ্রীর জেনেরিক লোগো হলে বেশ মিলে যেত।

আপনার বিশ্লেষণ ভাল। আমিও এমনটি মনে করি।

আরেকটি কথা, ইসলামী ব্যাংকের সুদ বাণিজ্য নিয়ে বিস্তারিত জানার আগ্রহ রইল। সরল মানুষদের বলুন তারা কিভাবে সুদবিহীনতার কথা বলে সুদের পসার খুলে বসে আছে সারা বাংলা জুড়ে।

মনজুরুল হক নামটি কি আপনার নিজস্ব? পত্রিকায় কি এনামেই লিখে থাকেন? কোন পত্রিকা। লেনিন বলেছিলেন - চিন্তার ঐক্য মানুষকে এক করে। সেই অর্থে আমি আপনার সাথে একাত্ম বোধ করি। ধন্যবাদ।

০২ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১১:৫৮
লেখক বলেছেন: সময় পাচ্ছিনা। দৌড়ের উপর আছি।ইসলামী ব্যাংকের ভেরেন্ডা ফাস করার ইচ্ছে আছে আগামীতে।

হ্যাঁ,এটাই আমার নাম।পত্রিকাতেও এ নামেই লিখি। আগে ৪/৫ টায় লিখতে পারতাম,এখন দুটো। ভোরের কাগজ এবং সমকাল।অনিয়মিত ভাবে "দ্যা স্টেসম্যান"(কোলকাতা)।

এপনার একাত্মতা শ্রদ্ধার সাথে উপলব্ধি করলাম।চিন্তার ঐক্যই অটুট থাকে। ভালবাসা ও শুভেচ্ছা রইল।


২৮. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৪
মৃত হাসানের প্রেতাত্মা বলেছেন: নূন্যতম ৬% সুদের যে কথা বললেনে ওটা না দিলে তো ব্যাংকিং License ই পাবে না।

আর আমি যতদুর জানি ঋণের জন্য পাওনাদারকে তাগাদা দেওয়া ইসলাম সমর্থন করে।

ইসলামী ব্যাংকের ব্যাপারে উপর আপনার লেখাটার আপেক্ষায় থাকলাম।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২০
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ আপনাকে।
এটা স্টিকি হতে পারে না।এটা যে এশটাবলিশমেন্টের বিরুদ্ধে লেখা!!


৩০. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৫৩
মানবী বলেছেন: গ্রামীন ব্যাংক, ব্রাক- বাংলাদেশ যেন এদের জন্য স্বর্গভূমি।
হতদরিদ্রদের এমন অন্যায় ভাবে শোষন করার সুযোগ বিশ্বের আর কোন দেশে হয়তো এভাবে পাবেনা।

এর একটি সমাধান প্রয়োজন যদিও তা প্রায় অসম্ভব। এরা এমন এক জনগোষ্ঠিকে শোষন করছে যাঁদের প্রতিবাদের ভাষা জানা নেই, তাঁদের ক্ষীণ কন্ঠের আর্তনাদ জনমানুষের কানে পৌঁছে দেবার কেউ নেই- আর তাই এই রক্তচোষা এনজিওরা মনের আনন্দে এদের শুষে শুষে নিজেদের পকেট ভরছে।


ইসলামী ব্যাংক সুদ গ্রহন করে!!!! :-* :-* :-*
- সত্যিই খুব ভয়াবহ ব্যাপার ।।



০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২১
লেখক বলেছেন: ইসলামি ব্যাংক সুদ গ্রহণ করে এতে অবাক হওয়ার কি আছে?
তবে তারা শব্দচাতুরি করে সুদকে বলে "লাভক্ষতি"। ব্যাপারটা এমন যে, ক্ষতি হলে কাস্টমার তার দায় ভাগ নেয়! আসলে কি তা নেয়? না। নেয়না। কাস্টমারকে "ইন্টারেস্ট" নাম দিয়ে সুদ দেয়া হয়। আর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ইসলামি ব্যাংক যে টাকা নেয় তাতে তাকেও গুণে গুণে সুদ দিতে হয়।


৩১. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৩
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৬
লেখক বলেছেন: ঐডা উনারই মাইয়া !


৩২. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:১৬
ধীবর বলেছেন: মঞ্জুরুলকে ধন্যবাদ। মানবি ও লাবন্যের সাথে সহমত। আমাদের উদাসীনতা এবং রাজনীতিবিদদের নৈতিকতার দেউলিত্বের কারণেই আজ নব্য ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কয়েকশ শাখা সারা বাংলাদেশে মহাজনি শোষন ব্যাবস্থা চালু করেছে। এদের শেকরও বেশ শক্ত। ভয় হয়, আবারও না পলাশির পুনরাবৃত্তি হয় এই বাংলাদেশের মাটিতে।

লেখককে অনুরোধ, প্লাস মাইনাসের তোয়াক্কা করবেন না। শুভর পথে অশুভের বাধা ক্ষনিকের।



০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২২
লেখক বলেছেন: না। তোয়াক্কা করিনা। ধন্যবাদ।


৩৩. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:৪৪
হাসিব মাহমুদ বলেছেন: এক.ঋণ দিয়ে চক্রবৃদ্ধিহারে প্রায় ২৩ থেকে ২৫ % সুদ আদায়।

তথ্যটা ঠিক না । বিআইডিএসে যখন কাজ করতাম ২০০৩ সালের দিকে তখন আমরা ইফেক্টিভ ইন্টারেস্ট রেইট (সপ্তাহের ইন্টারেস্ট বাৎসরিকে কনভার্ট করলে যেইটা হয়) ৩০-৫০% পর্যন্ত জানতাম । ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে জাবিতে করা এক থিসিসে গ্রামীনের ইফেক্টিভ ইন্টারেস্ট রেইট ৩৩% দেখেছিলাম যদ্দুর মনে পড়ে ।
(এটা রেফারেন্স হিসেবে ধরবেন না । নিশ্চিত হতে বিআইডিএসের কোন অর্থনীতিবিদকে ফোন করে জেনে নিন । আমার হাতের কাছে নিশ্চিত হবার মতো কোন সূত্র নেই ।)

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩০
লেখক বলেছেন: আপনার তথ্যই ঠিক। ইন্টারেস্ট ৩০-৫০% পর্যন্ত হয়। আমার কাছেও এই ডকুমেন্টসটা আছে। এখানে একটা শুভংকরের ফাঁকির মত ব্যাপার আছে।

ওদের একটা ফান্ড আছে অনেকটা 'ইনসেন্টিভ কেয়ার ফান্ড' এর মত।ওই ফান্ডের টাকা ওরা বিভিন্ন "উন্নয়ন" বা "জনকল্যানমূলক" কাজে ব্যয় করে। সেটা পরিপূর্ণ ব্যয় না হলে সেই টাকাটা ইক্যুয়ালি শেয়ারহোল্ডারদের(ঋণ গ্রহীতা) মধ্যে ডিস্ট্রিবিউট করে। সেই টাকা যখন এ্যাড হয় তখন টোটাল ইন্টারেস্ট কমে আসে। আর যখন লোন টোটাল রিকভারি হয় তখনই কেবল ৩০-৫০% হয়। বাকি সময় (বেসিক) ইন্টারেস্ট ২৩ থেকে ২৫% দাঁড়ায়।

এটা ওদের রিটেন ইন্টারেস্ট ক্লাসিফিকেশন (!)

সুদীর্ঘ মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।


০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০০৮ বিকাল ৩:১১
লেখক বলেছেন:

জাহান্নামে যাক সুদখোর সওদাগরের বাচ্চা।


০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২২
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ এবং শত শুভেচ্ছা।


৩৬. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৫
বিবর্তনবাদী বলেছেন: সম্পূর্ণ পোস্টের সাথে সহমত এবং তথ্যের জন্য ধন্যবাদ।

নোবেল কমিটি তদন্ত শুরু করেছে, তার কোন লিংকটিংক দিতে পারেন।

০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৬
লেখক বলেছেন: আমার কাছে লিঙ্ক নাই। মাস কয়েক আগে সমকালে ছাপা হয়েছিল খবরটা।সময় নিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাব।সম্ভবত বদরুদ্দীন উমর এর কাছে লিঙ্ক আছে। কাল বা পরশু খুজে পেলে আপডেট দিয়ে দেব।


৩৭. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৮
সুখী মানুষ বলেছেন: ভাই বিশ্বাস করবেন কি না জানিনা, তবু বলি :( । আমার গ্রামে বহুত লোক এইসব সুধ এর টাকা নিছে, নিয়া সর্বশান্ত হইছে। এদের মধ্যে কিছু কিছু স্মার্ট লোক, সুধের টাকা দিয়ে ঘর তুলছে, পরে ভিটাসহ বিক্রি করে সেই সুধ মিটাইছে!!!

গ্রামীন ব্যাংক, ব্র্যাক এদের সাফল্যের কথা শুধু পেপারে / টিভিতেই দেখি, বাস্তবে শুধূ ধ্বংসের খেলা দেখেছি, দেখছি। সে পায় আবার নোবেল!!!

৩৮. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:২৯
নরাধম বলেছেন: সহমত পোষণ করছি। ইলুইচ্চার দারিদ্র-বাণিজ্য চলতেই থকুক, আরো হাজার হাজার মানুষ মরুক, আমাদের তবুও হুঁশ হবেনা।

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৩
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ নরাধম।


৩৯. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৭
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪৭
লেখক বলেছেন: আমার কাছে লিঙ্ক নাই। মাস কয়েক আগে সমকালে ছাপা হয়েছিল খবরটা।সময় নিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাব।সম্ভবত বদরুদ্দীন উমর এর কাছে লিঙ্ক আছে। কাল বা পরশু খুজে পেলে আপডেট দিয়ে দেব।

(কপি পেষ্ট)


৪০. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৩৭
৪১. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ২:৪১
০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৬
লেখক বলেছেন: বিবর্তনবাদীকে দেওয়া উত্তরটাই এখানে পেষ্ট করলাম.................


লেখক বলেছেন: আমার কাছে লিঙ্ক নাই। মাস কয়েক আগে সমকালে ছাপা হয়েছিল খবরটা।সময় নিয়ে খুঁজলে পেয়ে যাব।সম্ভবত বদরুদ্দীন উমর এর কাছে লিঙ্ক আছে। কাল বা পরশু খুজে পেলে আপডেট দিয়ে দেব।



৪২. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ৩:০৯
মনজুরুল হক বলেছেন: সুপ্রিয় বন্ধুদের যাদের মন্তব্যের উত্তর দেওয়া হলো না,সেগুলো কাল এসে দেওয়ার চেষ্টা করব।আজকের মত..........শুভরাত্রি।

৪৩. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:১২
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৪
লেখক বলেছেন: বিপুল অর্থের লালসা চক্ষুলজ্জা নামক ব্যাপারটা নেই করে দেয় কাঁকন।


৪৪. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ ভোর ৫:৩৮
০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৫
লেখক বলেছেন: "সবই ব্যাবসা আর আই ওয়াশ। " উইথ এক্সট্রা পাওয়ার ডিটারজেন্ট !


৪৭. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৪২
বিবিধ বলেছেন: গ্রামীণ ব্যাংক, টেলিনর, গ্রামীণ ফোন, শক্তি দই, রেলওয়ের ফাইবার অপটিক নামমাত্র মূল্যে দখল, বিভিন্ন দেশে রাষ্ট্রদূত নিয়োগের হিডেন 'কমিশন এজেন্ট, ইউরোপের রাজা শাসিত দেশগুলোর দালালি, সারা বিশ্বে ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে মার্কিন অত্যাচারের সমর্থক, ডেমোক্র্যাটদের দালালি- আবার রিপাবলিকানদের কাছ থেকে দক্ষিণ পূবূ এশিয়ার প্রভার্টি হিউম্যুলুশনের কন্ট্রাক্ট.....এরকম শত শত বাণিজ্যের একচেটিয়া মুনাফা ভোগকারী সারা বিশ্বের হাজার হাজার মুসলিমের মৃত্যুতেও যার নূন্যতম আফসোস নেই। এই হচ্ছে আমাদের 'মহান নোবেল লরিয়েট" !!

সহমত।

৪৮. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৪৪
যীশূ বলেছেন: মইরাও শান্তি নাই। এবার ইউনুস মৃতের সৎকারের জন্য ঋণ দেবে। তারপর কিস্তির টাকা বাকি পড়লে আরেকটা লাশ।

৪৯. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ সকাল ১০:৫১
মনির হাসান বলেছেন: যীশূ বলেছেন: মইরাও শান্তি নাই। এবার ইউনুস মৃতের সৎকারের জন্য ঋণ দেবে। তারপর কিস্তির টাকা বাকি পড়লে আরেকটা লাশ ।


৫০. ০৩ রা নভেম্বর, ২০০৮ দুপুর ১২:১১
শ্লেট: আমাদের অনুকাগজ বলেছেন:
আপনার সংবেদনশীলতা আমাকে অপরাধী করে দেয়। আপনার ঘৃনা আর বিদ্রোহ আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

আমরা সবাই একদিন এইরকম সংবেদনমীল হয়ে উঠবো। ঠকতে ঠকতে একদিন ঠকের কলিজাটা বের করে দা'র কোপ বসাতে পারবো। তখন আর আমাদের উত্তরসূরীদের দেখতে হবে না এই রকম দেঁতো হাসির মুখগুলোকে।

১৬ ই এপ্রিল, ২০০৯ রাত ১:২১
লেখক বলেছেন:
আমরা সবাই একদিন এইরকম সংবেদনমীল হয়ে উঠবো। ঠকতে ঠকতে একদিন ঠকের কলিজাটা বের করে দা'র কোপ বসাতে পারবো। তখন আর আমাদের উত্তরসূরীদের দেখতে হবে না এই রকম দেঁতো হাসির মুখগুলোকে


আমরা অপেক্ষায় আছি......


৫১. ০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৪১
মনজুরুল হক বলেছেন: সুপ্রিয় সহ ব্লগার বৃন্দ,
দুঃখজনক হলো আজ আমার ব্রডব্যান্ড বিকল। হ্যান্ড সেট দিয়ে কোনমতে লগইন করেছি। আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের প্রতিউত্তর করতে পরছি না। কাল লাইন ঠিক হলে অথবা অফিসে গিয়ে লেখার চেষ্টা করব। আপনারা ভাল থাকবেন সকলে।

শুভ রাত্রি।

০৪ ঠা নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১:২৩
লেখক বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।


১০ ই নভেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:০৪
লেখক বলেছেন: ধন্যবাদ।


০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:০৮
লেখক বলেছেন: টিক ২ বছর পর ধন্যবাদ জানালাম।


৫৫. ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ ভোর ৪:৫৫
০৮ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৭:৪৯
লেখক বলেছেন:

নাহ! কর্পোরেট টাইকুনদের বিরুদ্ধে সীমিত শক্তির সাধারণ মানুষের বেশি কিছু করার উপায়ও থাকে না। তবে দুটো কাজ আমরা করতে পারিঃ

প্রচন্ড ঘৃণা
ইগনোর

এবং এর হাত ধরেই আসতে পারে প্রতিবাদ-প্রতিরোধের শপথ। সম্মিলন। ভ্যানগার্ড।

ধন্যবাদ আপনাকে,প্রায় সারারাত জেগে ভোর বেলা এমন সুন্দর একটা মন্তব্য করার জন্য।


৫৬. ২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ সন্ধ্যা ৬:৫১
কলুর বলদ বলেছেন: শ্লেট: আমাদের অনুকাগজ বলেছেন:
আপনার সংবেদনশীলতা আমাকে অপরাধী করে দেয়। আপনার ঘৃনা আর বিদ্রোহ আমাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

আমরা সবাই একদিন এইরকম সংবেদনমীল হয়ে উঠবো। ঠকতে ঠকতে একদিন ঠকের কলিজাটা বের করে দা'র কোপ বসাতে পারবো। তখন আর আমাদের উত্তরসূরীদের দেখতে হবে না এই রকম দেঁতো হাসির মুখগুলোকে।


২০ শে ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ৯:৪৫
লেখক বলেছেন:
সেই অনাগত মাহেন্দ্রক্ষণের অপেক্ষায় আজো দিনগুনি..................


৫৭. ২৩ শে জুলাই, ২০০৯ সকাল ৭:০৯
২৪ শে জুলাই, ২০০৯ ভোর ৪:৫৬
লেখক বলেছেন:
গত তিন দিন আমার নেট কানেকশন ছিল না। আপনার লেখাটা পড়ে এলাম। বেশ ভাল হয়েছে।


০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১০ রাত ৩:৩৪
লেখক বলেছেন:

এ ছাড়া বড়লোক হওয়ার যুৎসই কোনো উপায়ও নেই।


৫৯. ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৩:০৮
নষ্টছেলে বলেছেন: ইউনূসের এই দেঁতো হাসি যত দেখি তত হায়েনার কথা মনে আসে।ঐ হাসির দমকে এবং খোমকে একে একে ঝরে পড়ে গ্রাম্য অবলা নারীরা

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৫
লেখক বলেছেন: ইউনূসের এই দেঁতো হাসি যত দেখি তত হায়েনার কথা মনে আসে।ঐ হাসির দমকে এবং খোমকে একে একে ঝরে পড়ে গ্রাম্য অবলা নারীরা


১০০% সহমত।


৬০. ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৪১
রাকিবুল হাসান রাজ বলেছেন: অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ অসাধারণ

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:২৬
লেখক বলেছেন:
ধন্যবাদ। ধন্যবাদ। ধন্যবাদ।


৬১. ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৪:৫৪
সন্যাসী বলেছেন: সব এন.জি.ও গুলোর অবস্থাই একইরকম। ব্র্যাকসহ কিছু এন.জি.ওর তবু অন্যান্য ফ্রি প্রোগ্রাম আছে, গ্রামীন ব্যাংকের একমাত্র কর্মসূচী ক্ষুদ্রঋণ নামক রক্তচোষা কার্যক্রম

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫৩
লেখক বলেছেন:
ক্ষুদ্রঋণ মানে একেবারে প্রান্তিক ইউজারকে ছিবড়ে খাওয়ার আধুনিক আবিষ্কার। এবং এই অভিনব আবিষ্কারের জন্যই পশ্চিমা বিশ্ব ইউনূসকে মাথায় তুলে নাচে। কারণ তারা এতকাল কেবল মিডল এন্ড লোয়ার মিডল ক্লাসকে টার্গেট করে কমোডিটিজ মেক এন্ড সাপ্লাই বিজনেস ম্যানিপুলেট করত। ইউনূস তাদের চোখ খুলে দিয়েছে!!!!!!!!!!!!


৬২. ০২ রা ডিসেম্বর, ২০১০ বিকাল ৫:১৪
জলের লজ্জা... বলেছেন: দেতো বলে গালি দেয়াটা ঠিক পছন্দ হল না, হাসলে দাত বের হয়, এটা নিশ্চই অপরাধের আওতায় পড়ে না।

আমার জ্ঞান বুদ্ধি এমনিতেই কম, তবু সাহস করে একটা জিনিষ জিজ্ঞেস করি, ধরেন, প্রতি মাসে গ্রামীন ব্যাঙ্ক থেকে ১০০ জন ক্ষুদ্রঋণ নিচ্ছে। তার মধ্যে ১০ জন আত্মহত্যা করল। বাকী ৯০ জনের কি হল? তারা কি উপকার পাচ্ছে? নাকি তাদেরও একই অবস্থা?

এখন পর্যন্ত লাখ লাখ ক্ষুদ্রঋণ গ্রহীতাদের মধ্যে অনেকেই নিশ্চই উপকার পাচ্ছে, আত্মহত্যা বা সর্বস্বান্ত হয়েছে কয়জন? কোন পরিসংখ্যান আছে?

ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে কিভাবে সর্বোতকৃষ্ট ভাবে কাযে লাগানো যায় সেটা আগে শিখতে হবে। সেটাও শিখিয়ে দেয়াও কি যে ক্ষুদ্রঋণ দিচ্ছে তার দায়িত্ব? আমি নিজে একটা ক্রেডিট কার্ড নিয়ে লাখ লাখ টাকা খরচ করে সর্বস্বান্ত হলে এর পিছনে দায়টা কিন্তু আমার, ব্যাংক এর না।

এই পোষ্ট দেখে মনে হল, দেশে অনেক মানুষ আছে যারা ক্ষুদ্রঋণ এর বিপক্ষে সচেতন, চলুন না এক কাজ করি, সমবায় এর ভিত্তিতে প্রতিটি গ্রামে যাই, যেয়ে লোকজনকে ক্ষুদ্রঋণ এর বিপক্ষে সচেতন করি। এরকম করা হলে দুটো ঘটনা ঘটতে পারে। সমবায়ে কাজ করার জন্যে সচেতন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না। অথবা, মানুষ খুজে পাওয়া গেলেও যাদের সচেতন করা হচ্ছে তারা একবার লেকচার শুনে আবার ক্ষুদ্রঋণ এর দিকেই যাবে।

আমরা কেন কারো নিরপেক্ষ সমালোচনা করতে পারি না?

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৫০
লেখক বলেছেন:
১. ‌'দেঁতো হাসি' কথাটায় আপত্তি তো? আসলে বলতে চেয়েছিলাম- হায়নার কুৎসিত হাসি।
একটু ভব্যতা দেখিয়ে "দেঁতো" বলা হয়েছে। ওই হাসিটা মোটেই স্বতঃস্ফূর্ত কোন হাসি নয়। আরোপিত এমন এক হাসি যা অন্যকে হাসায় না।

২. ১০০ জন ঋণ নিয়ে ৯০ জন উন্নতি করুক বা না করুক ১০ জনকে আত্মহত্যা করতে হবে কেন? নিঃস্ব সহায় সম্বলহীন মানুষ ঋণ নেয় কি আত্মহত্যা করার জন্য? নাকি জীবন মান আরো উন্নত করার জন্য? কি উত্তর দেবেন, দিন।

৩.ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে অবশ্যই সর্বোৎকৃষ্টভাবে কাজে লাগাতে হবে, ঠিক কথা। কিন্তু কিভাবে? উণের সুদ যদি মাত্র ৬ মাসেই ক্যাপিটালকে ছাড়িয়ে যায়, চক্রবৃদ্ধিহারে বাড়তে বাড়তে ৩০/৩৫% পর্যন্ত হয়ে যায় তখন কোন দরিদ্র মানুষের পক্ষে সম্ভব সেই ঋণ শোধ করা?

এদেশের শিল্পপতিরা মাত্র ৬% সুদে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে শিল্পকারখানা চালাতে না পেরে "রুগ্ন শিল্প" ঘোষণা দেয়ার জন্য দেন-দরবার করে সফলও হয়। এক সময় "সিক ইণ্ডাস্ট্রি" লেবেল লাগিয়ে সরকারের কাছ থেকে ইন্টেন্সিভও পায়। এই সুযোগ কি গ্রামের দরিদ্ররা পায়? নাকি তাদের তা দেয়া হয়? হিসেব বোঝেন তো?

এবার একজন আত্মহত্যাকারির শেষ সংলাপ শুনুনঃ
ক্রমাগত গ্রামীণের লোকজন বাড়িতে এসে গরুটা, ছাগলটা নিয়ে যেতে যেতে এদিন শেষ বারের মত বলে দিল- "আগামী কালকের মধ্যে বাকি টাকা না দিতে পারলে তোমাকে, তোমার স্বামীকে এবং তোমার শামুড়িকে বেঁধে নেয়া হবে"

তখন সেই ঋণ গ্রহীতা মহিলাটি বললঃ ‍‍" আমি যদি কোন কারণে কাল মরে যাই তাহলে কি করবেন?"

ফিল্ড অফিসার জানাল- "তাহলে আর টাকা দেয়া লাগবে না" (আসলে তারাও জানে গ্রহীতা মারা গেলেও তার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেচে টাকা আদায়ের নিয়ম, কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তারা অত কথা না বলে বলেছিল- তাহলে আর টাকা দেয়া লাগবে না।

পর দিন তারা এসে দেখল, সেই ঋণ গ্রহীতা মহিলা তার স্বামী, শাশুড়ি, সন্তান-সন্ততিদের বাঁচানোর জন্য নিজে আত্মহত্যা করেছে!

ঠিক এধরণের টাকা আদায়ের জন্য আইনবিরুদ্ধ, ন্যায় নীতি বিরুদ্ধ জুলুম কি সেই ইংরেজ নীলকররাও করেছিল? ইতিহাস কি বলে?

হাতে যদি সময় থাকে, নেটের স্পিড ভাল থাকলে এই ভিডিওটা দেখতে পারেন।

Click This Link


৬৩. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ ভোর ৬:০৭
বাদ দেন বলেছেন: ভাই, দুইদিন ধইরা এত কিছু শুনতাসি কিছুই বুঝতাসি না, আমারে একজন জানায় দিয়া গেল এইতা নাকি টেলনর কি ছাই জিনিশ তার ষড়যন্থ জাতীয় কিছু।
আর ভাল লাগে না, বাদ দেন

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৮
লেখক বলেছেন:
চোখ কান খোলা রাখেন সবই বুঝতে পারবেন। এটা সিঁড়িভাঙ্গা অংক নয়।


০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:০৯
লেখক বলেছেন:
নিশ্চই। তার নোবেল পাওয়ার কথা অর্থনীতিতে। সেখানে জোটেনি, জুটেছে শান্তিতে!
নোবেল ইতিহাসে শান্তিতে নোবেল দেয়াই হয় মতলববাজী করে। ইউনূসের এই নোবেলও তাই মতলববাজীর ফসল।

আর লজ্জা একারণেই যে, এমন এক লোককে এই পুরষ্কার দেয়া হয়েছে যার ঋনে পাওয়া ঋণ শোধ করতে এদেশের অনেক দরিদ্র মানুষকে আত্মহত্যা করতে হয়েছে!


৬৫. ০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১১:৩৪
০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১:৩৬
লেখক বলেছেন:
লিঙ্ক টিঙ্ক পাওয়ার পর ভাবলাম একটা নতুন পোস্ট দেই। কিন্তু আপনার পোস্ট দেখার পর আর দেইনি। যদিও ওই পোস্টে এখনো কমেন্ট করতে পারিনি।

আজ এক বিরাট ঘটনা ! ইউনূস সাব বাংলা ইংরেজি মিলিয়ে ৫/৬ পাতার বিরাট এক ফর্দ পাঠিয়ে বান মাছের মত পিছলিয়ে যেতে চেয়েছেন। তার ওই ব্যাখ্যাট্যাখ্যা পড়ে ধামাচাপা দেয়ার আনাড়ি কৌশলে বেশ আমোদিত হলাম!!


৬৬. ১০ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১০:২০
েভােরর স্বপ্‌ন বলেছেন: আমাদের কি কিছুই করার নেই ?? শুধুই সমালোচনা করবো ?? আমরা কি কোন স্টেপ নিতে পারি না ??

আপনার বিষয়ের সাথে সহমত ।।।

১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ৩:২৮
লেখক বলেছেন:

সাধারণ মানুষের তো খুব বেশি কিছু করার নেই। স্টেপ নেবে রাষ্ট্র। সরকার। আমরা পারি ভুলটা কোথায় বা ষড়যন্ত্র কিভাবে হচ্ছে তা উন্মোচন করতে।

ধন্যবাদ আপনাকে।

কোন মন্তব্য নেই: